ভবিষ্যত প্রজন্মকে মূর্খ ও অপদার্থ হিসেবে তৈরী করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করা নতুন কোন পদ্ধতি নয়। ফেরাউনও একই পদ্ধতি অনুসরণ করেছে। এদেশে ইংরেজরাও তার ব্যতিক্রম ছিল না। বামপন্থি নাহিদও সে পথই অনুসরণ করেছে। আপনারা একটা ভাইরাল হওয়া ভিডিও দেখেছেন যেখানে ছাত্ররা খুব কমন কিছু প্রশ্নের উত্তর জানেনা। অথচ তারা সর্বোচ্চ স্বীকৃতিপ্রাপ্ত। এটা দুঃখজনক। শিক্ষার মান ক্রমেই কমছে। এটা বড় একটা ষড়যন্ত্রের অংশ।
অনেক আগে ফেরাউন যখন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলো, তখন সে তার মন্ত্রী হামানকে তার ইচ্ছার কথা ব্যক্ত করেছিল। হামান তাকে ধৈর্য্য ধরতে বলেছিল এবং পরামর্শ দিয়ে বলেছিল আপনি এখনি যদি নিজেকে সর্বশক্তিমান দাবী করেন তাহলে জনগণ তা মেনে নিবে না। কারণ তারা অনেক কিছু জানে। আপনি প্রথমে সকল বিদ্যালয় বন্ধ করে দিন। তাহলে এখনকার কিশোরেরা সব মূর্খ হয়ে বড় হবে। কিছু বছর পর তারা যুবক হবে। তখন তারা আপনি যা বলবেন তাই শুনবে।
ফেরাউন তাই করলো। মন্ত্রী হামানের পরামর্শ মতো ফেরাউন সমগ্র রাজ্যের মাতব্বর প্রজাদের ডেকে একটা বড় সভা করলেন। সেই সভাতে তিনি তাদের বুঝিয়ে দিলেন যে, লেখাপড়া শিখে মিছামিছি সময় নষ্ট করবার আর প্রয়োজন নেই। কারণ, লোকের পরমায়ু অতি অল্পকাল। এই সংকীর্ণ সময়ের মধ্যে জীবনের বেশির ভাগ দিনই যদি মক্তবে এবং পাঠশালায় গমনাগমন করে এবং পড়ার ভাবনা ভেবে ভেবে কাটিয়ে দেওয়া যায়, তাহলে আমোদ আহলাদ এবং স্ফুর্তি করবার অবসর পাওয়া যাবে না। সুতরাং সারাজীবন ভরে আমোদ করো, মজা করো। তাহলে মরবার সময়ে মনে বিন্দুমাত্র অনুতাপ আসবে না।
প্রজারা ফেরাউনের ও হামানের এই উপদেশ সানন্দে গ্রহণ করলো এবং বংশধরদের কাউকে আর বিদ্যালয়ে প্রেরণ করবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিলো।অতঃপর হামান পাঠশালা ও মক্তব রাজ্য থেকে উঠিয়ে ঢাক পিটিয়ে দেশময় প্রচার করে দিলো যে, কেউ আর লেখাপড়া শিখতে পারবে না। রাজার আদেশ অমান্য করলে সবংশে তার গর্দান যাবে।
প্রজারা ফেরাউনের আদেশ মতো চলতে লাগলো। লেখাপড়া আর কেউ শিখতে চেষ্টা করলো না। সারাদেশে কিছুকালের মধ্যে একেবারে গণ্ডমুর্খতে পূর্ণ হয়ে গেল। মূর্খের অশেষ দোষ। কোন ধর্মাধর্ম, হিতাহিত জ্ঞান তার থাকে না। তারা হয় কাণ্ডজ্ঞানবিবর্জিত এবং কুসংস্কারাচ্ছন্ন। দুনিয়ার এমন কোন অসৎ কাজ নেই যা মূর্খরা না করতে পারে! যখন তার রাজ্যের প্রজাদের এই অবস্থা ফেরাউন মনে মনে হাসতে লাগলো। তার উদ্দেশ্য এতদিনে সিদ্ধ হয়েছে। তিনি প্রত্যেককে একটা করে নিজের প্রতিমূর্তি দিয়ে তাকে সৃষ্টিকর্তা এবং উপাস্য বলে পূজা করতে হুকুম দিলেন। মূর্খ ও অপদার্থ প্রজন্ম ফেরাউনের আনুগত্য করতে লাগলো।
বাম আদর্শে বড় হওয়া নাহিদরা ভালো করেই জানে এদেশবাসী যখন ভালো শিক্ষিত হয়ে গড়ে উঠবে তখন তাদের বস্তাপঁচা আদর্শ তারা গ্রহন করার প্রশ্নই আসে না। বরং তাই হচ্ছে। এদেশে যখন বাম আদর্শ বিস্তার শুরু করছিলো তখন তাদের চটকদার কথা শুনে অনেক জ্ঞানী মানুষ তাদের সাথে একাত্মতা ঘোষনা করেছিলো। কিন্তু কালক্রমে তাদের আদর্শের অসারতা বড় হয়ে ধরা পড়ে সকলের সামনে। বড় দলগুলো ক্রমেই ছোট হয়ে আসতে শুরু করে।
নতুন করে তারা আবার দলভারী করতে চায়। বস্তাপঁচা আদর্শ গিলাতে চায় এই জাতির ভবিষ্যত প্রজন্মের মগজে। তাই তাদের দরকার একটা অপদার্থ প্রজন্ম। সেটাই নাহদ তৈরী করতে সক্ষম হচ্ছে। এজন্য তারা পলিসি গ্রহন করেছে প্রকৃত মেধার মূল্যায়ন না দেয়া। ভালো ও খারাপের ক্যাটাগরি সমান করে দিয়েছে। ছেলেরা আরো ভালো কিছু করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ আরো এমনসব পলিসি গ্রহন করেছে যাতে একটা নির্বোধ জাতির সৃষ্টি হয়।
এর বিপরীতে আমাদের করণীয় কি হওয়া উচিত এই বিষয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। ইসলামের প্রথম নির্দেশ পড়। ইসলামিক সমাজে একজন মূর্খ ব্যক্তি অবশ্যই অপরাধী। মূর্খ ব্যক্তি নিজেকে চিনতে পারে না এমনকি স্রষ্টাকেও চিনতে পারেনা। তাই জ্ঞানঅর্জন করা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য অত্যাবশ্যকীয়। নিজের শিশুসন্তানকে সুশিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে আদর্শ মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে পরিবারের ভূমিকা অপরিসীম।
পিতা-মাতা তাঁদের সন্তানের সাথে জীবনের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন। বিশেষ করে জীবনের দর্শন কী তা সন্তানকে বুঝিয়ে থাকেন। জীবন কেন? জীবনের উদ্দেশ্য কি? দুনিয়ার জীবনে আমাদের করণীয় কি? আমাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য কি হওয়া উচিত এসব বিষয়ে যথাযথ শিক্ষা দিবেন। এক্ষেত্রে সাধারণ বাঙ্গালী সমাজে যা শিক্ষা দেয়া হয় তা হলো এই সমাজে পয়সা উপার্জন করে সুখে শান্তিতে থাকাই জীবনের সঠিক পথ। কিন্তু পিতা মাতাদের উচিত এই ধারণা থেকে বের হয়ে আল্লাহর দেয়া বিধি-নিষেধ এবং আল্লাহ কর্তৃক পরীক্ষার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়া।
পরিবার যথাযথ ভূমিকার মাধ্যমে সন্তানকে একজন সামাজিক ব্যক্তিত্বরূপে গড়ে উঠতে এবং বিভিন্ন নৈতিক গুণ অর্জন করতে সহায়তা করবে। সন্তানকে একজন ভালো নাগরিক তৈরীর উদ্দেশ্যে পরোপকারের শিক্ষা দিতে হবে। এই সমাজের প্রতি তার দায়বদ্ধতা। প্রতিবেশীদের অধিকার, অন্যান্য মুসলিমদের অধিকার শিক্ষা দিতে হবে। ভিন্ন ধর্মের অনুসারীদের আলোর পথে আসার জন্য যোগ্য দায়ী হওয়ার শিক্ষা দিতে হবে।
পরিবার থেকেই সন্তান সম্পদ উৎপাদন, জীবিকা বণ্টন এবং সম্পদের ব্যবহার বিষয়ে জ্ঞানলাভ করবে এবং দারিদ্র্য ও সচ্ছলতার অর্থ অনুধাবন করতে পারবে। ভাই বোন পিতা মাতাসহ সকল আত্মীয়ের প্রতি আর্থিকভাবে যত্নবান হতে শিখবে।
শিশুরা প্রকৃতিগতভাবে অজ্ঞতা নিয়েই জন্মলাভ করে। সকল শিশুই প্রথমে দুনিয়া সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞ থাকে। মানুষের মাঝে যে সকল সমস্যা রয়েছে এবং পৃথিবীতে যে সকল কর্মকান্ড সংঘটিত হয় সে সম্পর্কে শিশুরা অনেক কিছুই জানে না। শিশু বড় হওয়ার সাথে সাথে এ সকল বিষয়ে জানতে শুরু করে। তার মাঝে জ্ঞানার্জনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। জীবন ও জগৎ সম্পর্ক যতই সে প্রশ্নের সম্মুখীন হয় ততই তার মাঝে জানার আগ্রহ বাড়তে থাকে; ভালো-মন্দ সম্পর্কে সে বিচার করতে শুরু করে। এই সময়ে শিশুর পথ প্রদর্শকের প্রয়োজন। পিতামাতাই কেবল এই পর্যায়ে শিশুকে যথোপযুক্ত জ্ঞানদানের জন্য এগিয়ে আসতে পারেন। বরং বলা উচিত এ সময়ে শিশুর জ্ঞান বিকাশে সহায়তা করা মাতাপিতার অবশ্যকর্তব্য। শিশুর প্রতিটি প্রশ্নের পেছনে একটি প্রবল শক্তি কাজ করে যা তার জ্ঞানার্জনের পথকে উন্মোচিত করে দেয়। শিশুর অন্তর্নিহিত কৌতুহলই তাকে জীবন পথে চলার প্রাণশক্তি যোগায়।
পৃথিবীর জীবন সংগ্রামে বেঁচে থাকার জন্য শিশুর প্রয়োজন পৃথিবীকে ভালোভাবে জানা। এই পৃথিবীর সভ্যতার সত্যিকারের ইতিহাস শিশুর জানা উচিত যাতে ঘটে যাওয়া পুরনো ঘটনা থেকে সে শিক্ষা নিতে পারে। জীবন পথে চলার জন্য তার কোন দর্শন অবলম্বন করা উচিত, কোন লক্ষ্যে অগ্রসর হওয়া উচিত। এছাড়া কিভাবে তার পথ চলা উচিত তাও শিশুর জানা দরকার। এই বিষয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন পরিবারের গুরুজনেরা।
নিজে নিজে প্রতিভার বিকাশ ঘটানো শিশুর পক্ষে সম্ভব নয়। পৃথিবীর লোভ-লালসা থেকে বেঁচে থাকাও তার জন্য খুব কঠিন। তাই পিতা-মাতাই কেবল পারেন তার শিশুকে সঠিক পথে নিয়ে গিয়ে সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে, পিতামাতারা তার নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে মানব সভ্যতা ও সংস্কৃতির উত্তম বিষয়গুলো সন্তানদের শিখিয়ে দিতে পারেন।
শিশুর জীবনের প্রথম বছরগুলোতে পিতামাতাই হবেন একজন জ্ঞানী অভিভাবক। শিশুর নানা প্রশ্নের জবাব দিতে হয় এসময়। পিতাকে অকপটে এবং অবলীলাক্রমে শিশুর এ সকল কৌতুলহল মেটাতে হবে। কারণ, শিশুর ভবিষ্যৎ জীবনের অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করার দায়িত্ব তো পিতামাতার। তার ক্রমাগত প্রশ্নকে উপেক্ষা না করে বিরক্ত না হয়ে যথাযথ উত্তর করার চেষ্টা করা উচিত। মা-বাবা যদি শিশুদেরকে এসকল বিষয় জানা থেকে বঞ্চিত করেন তাহলে শিশুর মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়; শিশু অনেক প্রয়োজনীয় তথ্য থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়ে। এ জন্য বাবা-মার উচিত তার সন্তানের সাথে যতটা সম্ভব আন্তরিক এবং খোলামেলা হওয়া। পিতার আচার-ব্যবহার এমন হবে যাতে শিশু বুঝতে পারে যে, পিতা-মাতাই হলো তার শ্রেষ্ঠ বন্ধু। একটি পরিবারে অভিভাবকরা যতটা উপকারী ভূমিকা পালন করতে পারে অন্যরা তা পারে না।
আমাদের অনেকেরই একটি ভুল ধারণা যে, সাংস্কৃতিক ভূমিকা শুধু স্কুলই পালন করে। আমাদের এটা জানা উচিত শিশুর জ্ঞানার্জনের ভিত্তি স্থাপিত হয় পরিবারের দ্বারা। পরিবারেই একটি শিশু প্রথম বিশ্বজগতের বিশাল পরিমন্ডলে প্রবেশ করার সুযোগ পায়। পরিবারেই শিশু তার ভবিষ্যত জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে পৌঁছার ব্যাপারে দিকনির্দেশনা পেয়ে থাকে।
শিশুদের শিক্ষাদানের জন্য পিতামাতার পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকা দরকার। সেই সাথে পিতামাতার দৃষ্টিভঙ্গিও প্রসারিত হওয়া উচিত। পিতামাতা যদি শুধু সন্তানের দৈহিক চাহিদা মেটানোর প্রতিই মশগুল থাকেন তাহলে তাঁদের দায়িত্ব সম্পূর্ণ হয় না। শিশুসন্তানদের প্রতি মাতাপিতার অন্যতম দায়িত্ব হলো শিশুকে জ্ঞান শিক্ষা দেয়া। অর্থাৎ জীবনের সঠিক দিকনির্দেশনা দেয়া। পিতা-মাতা সাধারণত জীবন ও জগত সম্পর্কে যে ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেন শিশুরা তারই অনুসরণ করার চেষ্টা করে। তাই শিশুদের সামনে সঠিক এবং যথাযথ জীবন দর্শন উপস্থাপন করতে হবে।
শিশুর প্রশিক্ষণে সাহিত্যের গুরুত্ব অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কবিতা, প্রবন্ধ, গল্প, প্রবাদবাক্য প্রভৃতির মাধ্যমে সাহিত্য নৈতিকতা ও সভ্যতার জ্ঞান শিক্ষা দেয়, মানুষকে তার লক্ষ্যে পৌঁছতে সাহায্য করে। এ কারণে প্রত্যেক পিতারই উচিত তার সন্তানের পড়ালেখার জন্য এবং তার জ্ঞান বিকাশের জন্য উপযুক্ত বই-পুস্তক নির্বাচন করা। এমন অনেক বই-পুস্তক রয়েছে যা ধ্বংসাত্মক জ্ঞানের উৎস। যে সকল বইয়ে নৈতিক গুণাবলি শিক্ষার কিছু থাকে না সে সকল বই-পুস্তক শিশুদের জন্য মারাত্মক হতে পারে। এ নীতিজ্ঞান বিবর্জিত এবং সুশিক্ষার অভাব সম্বলিত বই শিশুকে কোন জ্ঞানই দেয় না; বরং তার ভবিষ্যত জীবনকে মূর্খতা ও অজ্ঞানতার অন্ধকারে ঠেলে দেয়। তাই শিশু কী পাঠ করছে এবং তাকে কী পড়তে দেয়া উচিত সে ব্যাপারে সতর্ক দৃষ্টি রাখা আবশ্যক। খেয়াল রাখতে হবে শিশু যেন আজেবাজে বই-পুস্তকের দিকে আকৃষ্ট হয়ে না পড়ে।
সাহিত্যের মতো শিল্পকলাও শিশুর জ্ঞান বিকাশে বিরাট ভূমিকা পালন করে। শিল্পচর্চার প্রতি শিশুদের উতসাহিত করা উচিত। কারণ, শিল্পকলা মানুষের মেধাশক্তিকে প্রখর করে মানসিকতাকে উন্নত করে। শিশুর মাঝে একাগ্রতা, সুনির্বাচন এবং ভালো কিছু করার আকাক্সক্ষা বৃদ্ধিতে শিল্পচর্চার বিকল্প নেই। তাই স্বল্প বয়স থেকেই সন্তানদেরকে শিল্পকলার সাথে পরিচিত করে তোলা উচিত। শিশুরা ছোটবেলা থেকেই অংকন, হস্তলিপি প্রভৃতির চর্চা করতে পারে। এভাবে শিশু তার অবসর সময়টাকে গঠনমূলক কোন কিছুতে ব্যয় করতে পারে। পরিবার অবশ্যই শিশুদের সুকুমার বৃত্তি উন্মোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
আমাদের সবার সন্তান, ছোট ভাই-বোন, ভাগ্নে-ভাগ্নী, ভাস্তে-ভাস্তি রয়েছে। তাদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব রয়েছে। ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিরোধে আমরা যদি আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে সঠিক শিক্ষার মাধ্যমে উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে পারি তাহলে আমাদের ভবিষ্যতে অবশ্যই উজ্জল। এজন্যে প্রতিটা পরিবারেই আন্দোলন প্রয়োজন। আমাদের প্রতিটা পরিবারকে যদি সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারি তাহলে শয়তানের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হতে বাধ্য। আল্লাহ তায়ালা ষড়যন্ত্রকারীদের মোকাবেলায় আমাদের দৃঢ় করুন। আমিন।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন