অনেকে আগের কথা। হাইস্কুলে উঠেছি মাত্র। তখন বাবার লাইব্রেরীতে পেয়েছিলাম একটি বই 'কারাগারে রাতদিন'। জয়নব আল গাজালীর সেই বই পড়ে কিশোর মনে হাহাকার শুরু হয়েছে। সেই বইতে পরিচিত হয়েছি সাইয়্যেদ কুতুব শহীদের সাথে। এরপর ফি যিলালিল কুরআন পড়ে তো আরো মুগ্ধ হলাম। সেই থেকে ভালোবাসা শুরু এই মহান মানুষের সাথে। ১৯৬৬ সালের ২৯ আগস্ট সুবহে সাদিকের সময় এই মহান মানুষ শাহদাতবরণ করেন। চলে যান প্রিয় রবের সান্নিধ্যে। ফাঁসীর সংবাদে তিনি প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন এভাবে
"আমি আল্লাহর দরবারে এমন অবস্থায় হাজির হতে চাই যে, আমি তাঁর প্রতি এবং তিনিও আমার প্রতি সন্তুষ্ট।"
জন্ম ও শিক্ষাজীবন
সাইয়েদ কুতুবের মূল নাম হলো সাইয়েদ; কুতুব তার বংশীয় উপাধি। তিনি ১৯০৬ সালে মিসরের উসইউত জিলার মুশা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পূর্বপুরুষরা আরব উপদ্বীপ থেকে এসে মিসরের উত্তরাঞ্চলে বসবাস শুরু করেন। তার পিতার নাম হাজী ইবরাহীম কুতুব। তিনি চাষাবাদ করতেন। তার মাতার নাম ফাতিমা হোসাইন উসমান, যিনি অত্যন্ত ধার্মিক মহিলা ছিলেন। তারা মোট দুই ভাই এবং তিন বোন ছিলেন। ভাইরা হলেন সাইয়েদ কুতুব এবং মুহাম্মাদ কুতুব। আর বোনেরা হলেন হামিদা কুতুব এবং আমিনা কুতুব। পঞ্চম বোনের নাম জানা যায়নি। সাইয়েদ কুতুব ছিলেন সবার বড়। তারা সব ভাই-বোনই উচ্চশিক্ষা লাভ করেন এবং ইসলামী আন্দোলনের জন্য প্রভূত ত্যাগ স্বীকার করেন।
কর্মজীবন
গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাইয়েদ কুতুবের শিক্ষা শুরু হয়। মায়ের ইচ্ছানুসারে তিনি শৈশবেই কোরআন হেফয করেন। পরবর্তীকালে তার পিতা কায়রো শহরের উপকণ্ঠে হালওয়ান নামক স্থানে বসবাস শুরুকরেন। সাইয়েদ তাজহিযিয়াতু দারুল উলুম মাদরাসায় শিক্ষা সমাপ্ত করে কায়রোর বিখ্যাত মাদরাসা দারুল উলুমে ভর্তি হন। ১৯৩৩ সালে ওই মাদরাসা থেকে বিএ ডিগ্রি লাভ করেন এবং সেখানেই অধ্যাপক নিযুক্ত হন।
কিছুকাল অধ্যাপনা করার পর তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্কুল ইন্সপেক্টর নিযুক্ত হন। মিসরে ওই পদটিকে অত্যন্ত সম্মানজনক বিবেচনা করা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেই তাকে আধুনিক শিক্ষাপদ্ধতি পড়াশোনার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়।
তিনি দু’বছরের কোর্স শেষ করে বিদেশ থেকে দেশে ফিরে আসেন। আমেরিকায় থাকাকালেই তিনি বস্তুবাদী সমাজের দুরবস্থা লক্ষ্য করেন। তার দৃঢ় বিশ্বাস জন্মে যে, একমাত্র ইসলামই সত্যিকার অর্থে মানবসমাজকে কল্যাণের পথে নিয়ে যেতে পারে।
আমেরিকা থেকে দেশে ফেরার পরই তিনি ইখওয়ানুল মুসলেমিন দলের আদর্শ, উদ্দেশ্য ও কর্মসূচি যাচাই করতে শুরু করেন। ১৯৪৫ সালে তিনি ওই দলের সদস্য হয়ে যান। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ সরকার যুদ্ধ শেষে মিসরকে স্বাধীনতাদানের ওয়াদা করেন।
যুদ্ধ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ইখওয়ান ব্রিটিশের মিসর ত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। এর ফলে তাদের জনপ্রিয়তা অত্যন্ত বেড়ে যায়। মাত্র দু’বছর সময়ের মধ্যে এ দলের সক্রিয় কর্মীসংখ্যা পঁচিশ লাখে পৌঁছে। সাধারণ সদস্য, সমর্থক ও সহানুভূতিশীলদের সংখ্যা ছিল কর্মী সংখ্যার কয়েকগুণ বেশি। ব্রিটিশ ও স্বৈরাচারী মিসর সরকার ইখওয়ানের জনপ্রিয়তা দেখে ভীত হয়ে পড়ে এবং এ দলের বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়।
গ্রেফতার ও নির্যাতন
১৯৫৪ সালে ইখওয়ান পরিচালিত সাময়িকী-‘ইখওয়ানুল মুসলিমিন’-এর সম্পাদক নির্বাচিত হন। ছ’মাস পরই কর্নেল নাসেরের সরকার পত্রিকাটি বন্ধ করে দেয়। কারণ, ওই বছর মিসর সরকার ব্রিটিশের সঙ্গে নতুন করে যে চুক্তিপত্র সম্পাদন করে, পত্রিকাটি তার সমালোচনা করে। পত্রিকা বন্ধ করে দেয়ার পর নাসের সরকার এ দলের ওপর নির্যাতন শুরু করে। একটি বানোয়াট হত্যা ষড়যন্ত্র মামলার অভিযোগে ইখওয়ানুল মুসলিমিন দলকে বেআইনি ঘোষণা করে দলের নেতাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ইখওয়ান নেতাদের মধ্যে সাইয়েদ কুতুবও ছিলেন। তাকে মিসরের বিভিন্ন জেলে রাখা হয়। গ্রেফতারের সময় তিনি ভীষণভাবে জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন। সামরিক অফিসার তাকে সে অবস্থায় গ্রেফতার করে। তার হাতে-পায়ে শিকল পরানো হয়। শুধু তা-ই নয়, সাইয়েদ কুতুবকে প্রবল জ্বরে আক্রান্ত অবস্থায় জেল পর্যন্ত হেঁটে যেতে বাধ্য করা হয়। পথে কয়েকবার বেহুঁশ হয়ে তিনি মাটিতে পড়ে যান। হুঁশ ফিরে এলে তিনি বলতেন— আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ।
জেলে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই জেল কর্মচারীরা তাকে মারপিট করতে শুরু করে এবং দু’ঘণ্টা পর্যন্ত এ নির্যাতন চলতে থাকে। তারপর একটি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর তার ওপর লেলিয়ে দেয়া হয়। কুকুর তার পা কামড়ে ধরে জেলের আঙ্গিনায় টেনে নিয়ে বেড়ায়। এ প্রাথমিক ‘অভ্যর্থনা’ জানানোর পর একটানা সাত ঘণ্টা তাকে জেরা করা হয়। তার স্বাস্থ্য এসব নির্যাতন সহ্য করার আর যোগ্য ছিল না। কিন্তু তার সুদৃঢ় ঈমানের বলে পাষাণ থেকে উচ্চারিত হতে থাকে : আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ।
জেলের অন্ধকার কুঠরী রাতে তালাবদ্ধ করা হতো। আর দিনের বেলা তাকে রীতিমত প্যারেড করানো হতো।
তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। বক্ষপীড়া, হৃদপিন্ডের দুর্বলতা ও সর্বাঙ্গে জোড়ায় জোড়ায় ব্যথা ইত্যাদি বিভিন্ন রোগে তিনি কাতর হয়ে পড়েন। তবু তার গায়ে আগুনের ছেঁকা দেয়া হতে থাকে। পুলিশের কুকুর তার শরীরে নখ ও দাঁতের আঁচড় কাটে। তার মাথায় খুব গরম পানি এবং পরক্ষণেই বেশি ঠাণ্ডা পানি ঢালা হতে থাকে। লাথি, কিল, ঘুষি, অশ্লীল ভাষায় গালাগাল ইত্যাদি তো ছিল দৈনন্দিন ব্যাপার।
১৯৫৫ সালের ১৩ জুলাই, গণআদালতের বিচারে তাকে ১৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। অসুস্থতার দরুন তিনি আদালতে হাজির হতে পারেননি। তার এক বছর কারাভোগের পর নাসের সরকারের পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেয়া হয় যে, তিনি সংবাদপত্রের মাধ্যমে ক্ষমার আবেদন করলে তাকে মুক্তি দেয়া যেতে পারে। মর্দে মুমিন এ প্রস্তাবের যে জবাব দিয়েছিলেন, তা ইতিহাসের পাতায় অম্লান হয়ে থাকবে। তিনি বলেন,
১৯৫৫ সালের ১৩ জুলাই, গণআদালতের বিচারে তাকে ১৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। অসুস্থতার দরুন তিনি আদালতে হাজির হতে পারেননি। তার এক বছর কারাভোগের পর নাসের সরকারের পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেয়া হয় যে, তিনি সংবাদপত্রের মাধ্যমে ক্ষমার আবেদন করলে তাকে মুক্তি দেয়া যেতে পারে। মর্দে মুমিন এ প্রস্তাবের যে জবাব দিয়েছিলেন, তা ইতিহাসের পাতায় অম্লান হয়ে থাকবে। তিনি বলেন,
‘আমি এ প্রস্তাব শুনে অত্যন্ত আশ্চর্যান্বিত হচ্ছি যে, মজলুমকে জালিমের নিকট ক্ষমার আবেদন জানাতে বলা হচ্ছে। আল্লাহর কসম! যদি ক্ষমা প্রার্থনার কয়েকটি শব্দ আমাকে ফাঁসি থেকেও রেহাই দিতে পারে, তবু আমি এরূপ শব্দ উচ্চারণ করতে রাজি নই। আমি আল্লাহর দরবারে এমন অবস্থায় হাজির হতে চাই যে, আমি তাঁর প্রতি এবং তিনি আমার প্রতি সন্তুষ্ট।’
পরবর্তীকালে তাকে যতবার ক্ষমা প্রার্থনার পরামর্শ দেয়া হয়েছে ততবারই তিনি একই কথা বলেছেন : ‘যদি আমাকে যথার্থই অপরাধের জন্য কারারুদ্ধ করা হয়ে থাকে, তাহলে আমি এতে সন্তুষ্ট আছি। আর যদি বাতিল শক্তি আমাকে অন্যায়ভাবে বন্দি করে থাকে, তাহলে আমি কিছুতেই বাতিলের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করব না।’
১৯৬৪ সালের মাঝামাঝি ইরাকের প্রেসিডেন্ট আবদুস সালাম আরিফ মিসর যান। তিনি সাইয়েদ কুতুবের মুক্তির সুপারিশ করায় কর্নেল নাসের তাকে মুক্তি দিয়ে তারই বাসভবনে অন্তরীণ করেন। এক বছর যেতে না যেতেই তাকে আবার বলপূর্বক ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। অথচ তিনি তখনও পুলিশের কড়া পাহারাধীন ছিলেন। শুধু তিনি নন, তার ভাই মুহাম্মাদ কুতুব, বোন হামিদা কুতুব ও আমিনা কুতুবসহ বিশ হাজারেরও বেশি লোককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এদের মধ্যে প্রায় সাতশ’ ছিলেন মহিলা।
১৯৬৫ সালে কর্নেল নাসের মস্কো সফরে থাকাকালীন এক বিবৃতিতে ঘোষণা করেন যে, ইখওয়ানুল মুসলিমিন তাকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করেছিল। আর এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই সারা মিসরে ইখওয়ান নেতা ও কর্মীদের ব্যাপক ধরপকড় শুরু হয়। ১৯৬৪-র ২৬ মার্চ জারিকৃত একটি নতুন আইনের বলে প্রেসিডেন্টকে যে কোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতার, তার সম্পত্তি বাজেয়াপ্তকরণ প্রভৃতি দণ্ডবিধির অধিকার প্রদান করা হয়। তার জন্য কোনো আদালতে প্রেসিডেন্টের গৃহীত পদক্ষেপের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা যাবে না বলেও ঘোষণা করা হয়।
কিছুকাল পর বিশেষ সামরিক আদালতে তাদের বিচার শুরু হয়। প্রথমত ঘোষণা করা হয় যে, টেলিভিশনে ওই বিচারানুষ্ঠানের দৃশ্য প্রচার করা হবে। কিন্তু অভিযুক্ত ব্যক্তিরা অপরাধ স্বীকার করতে অস্বীকার এবং তাদের প্রতি দৈহিক নির্যাতনের বিবরণ প্রকাশ করায় টেলিভিশন বন্ধ করে দেয়া হয়। তারপর রুদ্ধদ্বার কক্ষে বিচার চলতে থাকে। আসামিদের পক্ষে কোনো উকিল ছিল না।
অন্য দেশ থেকে আইনজীবীরা আসামি পক্ষ সমর্থনের আবেদন করেন। কিন্তু তা প্রত্যাখ্যান করা হয়। ফরাসি বার অ্যাসোসিয়েশনের ভূতপূর্ব সভাপতি উইলিয়াম ও মরোক্কোর দু’জন আইনজীবী আসামি পক্ষ সমর্থনের জন্য রীতিমত আবেদন করেন। কিন্তু তা নামঞ্জুর করা হয়। সুদানের দু’জন আইনজীবী কায়রো পৌঁছে তথাকার বার অ্যাসোসিয়েশনে নাম রেজিস্ট্রি করে আদালতে হাজির হন। পুলিশ তাদের আদালত থেকে ধাক্কা মেরে বের করে দেয় এবং মিসর ত্যাগ করতে বাধ্য করে।
সাইয়েদ কুতুব ও অন্য আসামিরা ১৯৬৬ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে বিচার চলাকালে ট্রাইব্যুনালের সামনে প্রকাশ করেন যে, অপরাধ স্বীকার করার জন্য তাদের ওপর অমানুষিক দৈহিক নির্যাতন চালানো হয়। ট্রাইব্যুনালের সভাপতি আসামিদের কোনো কথার প্রতিই কান দেননি। ইংরেজি ১৯৬৬ সালের আগস্ট মাসে সাইয়েদ কুতুব ও তার দু’জন সঙ্গীকে সামরিক ট্রাইব্যুনালের পক্ষ থেকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ শোনানো হয়। সারা দুনিয়ায় প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। কিন্তু ১৯৬৬ সালের ২৯ আগস্ট ওই দণ্ডাদেশ কার্যকর করা হয়। আমাদের প্রিয় নেতা চলে যান রবের সান্নিধ্যে যেমনটা তিনি চেয়েছিলেন।
জ্ঞান ও সাহিত্যচর্চা
সাইয়েদ কুতুব মিসরের প্রখ্যাত আলেম ও সাহিত্যিকদের অন্যতম। শিশুসাহিত্য দিয়ে তার সাহিত্যিক জীবনের সূচনা। ছোটদের জন্য আকর্ষণীয় ভাষায় নবীদের কাহিনী লিখে তিনি প্রতিভার পরিচয় দেন। শিশুদের মনে ইসলামী ভাবধারা জাগানোর জন্য এবং তাদের চারিত্রিক মান উন্নয়নের উদ্দেশ্যে তিনি গল্প লিখেন। পরবর্তীকালে ‘আশওয়াক’ (কাটা) নামে ইসলামী ভাবধারাপুষ্ট একখানা উপন্যাস রচনাকরেন। পরে ওই ধরনের আরও দুটি উপন্যাস রচনা করেন। একটি ‘তিফলে মিনাল কস্ফারীয়া’ (গ্রামের ছেলে) ও অন্যটি ‘মদিনাতুল মাসহুর’ (যাদুর শহর)।
তার রচিত গ্রন্থাবলির বিবরণ নিম্নরূপ :
- মুশাহিদুল ক্বিয়ামাহ ফিল ক্বুরআন (কুরআনের আঁকা কেয়ামতের দৃশ্য);
- আত্ তাসবিরূল ফান্নি ফিল ক্বুরআন (কুরআনের আলঙ্কারিক চিত্র);
- আল আদালাতুল ইজতিমাঈয়া ফিল ইসলাম (ইসলামের সামাজিক সুবিচার);
- ফি যিলালিল কুরআন (কুরআনের ছায়াতলে) - কুরআনের তাফসীর;
- ইসলাম ও পূজিবাদের দ্বন্দ্ব;
- বিশ্বশান্তি ও ইসলাম;
- দারাসাতিল ইসলাম (ইসলামী রচনাবলী);
- "ভবিষ্যৎ সংস্কৃতি" নামক পুস্তকের সমালোচনা;
- কুতুব ওয়া শাখসিয়াত( গ্রন্থাবলি ও ব্যক্তিত্ব);
- ইসলামী সমাজের চিত্র;
- আমি যে আমেরিকা দেখেছি;
- চার ভাই বোনের চিন্তাধারা: সাইয়েদ কুতুব, মুহাম্মদ কুতুব, আমিনা কুতুব ও হামিদা কুতুব;
- আশাতিল মাজহুল (কবিতগুচ্ছ);
- জীবনে কবির আসল কাজ;
- ইসলামী সমাজ বিপ্লবের ধারা (মা'অালিম ফিত তারিক্ব);
- আন নাক্বদুল আদাবি উসুলিহি ওয়া মানাহিযিহি (সাহিত্য সমালোচনার মূলনীতি ও পদ্ধতি);
- নবীদের কাহিনী।
এই বইগুলোর মধ্যে 'ইসলামী সমাজ বিপ্লবের ধারা' বইটি লেখার জন্যই মিসর সরকার সাইয়েদ কুতুবকে অভিযুক্ত করেন এবং ওই অভিযোগে তার মৃত্যুদণ্ড হয়। বইটি ইংরেজিতে মাইলস্টোন নামে অনূদিত হয়েছে এবং বেশ জনপ্রিয় বই হিসেবে সমাদৃত হয়েছে।
আল্লাহ তায়ালা এই মহান মানুষকে আখিরাতে সম্মানিত করবেন ইনশাআল্লাহ।
সাইয়্যেদ কুতুব শহীদের কোনো বই কি বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে?
উত্তরমুছুন