অনেকে মনে করেন এবং অনেককে বলতে শুনেছি জামায়াত নাকি হেফাযত সৃষ্টি করেছে। বিএনপি জামায়াত নাকি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য হেফাযতকে মাঠে নামিয়েছে। কিন্তু তাদের প্রটেকশন দেয় নি।
অনেকে মনে করেন শাহবাগ আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতেই হেফাযতের সৃষ্টি হয়েছে। এটাও শুদ্ধ কথা নয়। তবে শাহবাগীদের কাউন্টার হিসেবে হেফাযতের উত্থান হয়েছে, পরিচিতি পেয়েছে। শাহবাগ আন্দোলন ২০১৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি আত্মপ্রকাশ করলেও হেফাযত গঠিত হয়েছে ২০১০ সালের ১৯ জানুয়ারি।
মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনাল যখন শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় তখন শাহবাগে জামায়াতের বিরুদ্ধে ফাঁসী চাই আন্দোলন শুরু হয়। আমার কাছে প্রমাণ চাইলে আমি দিতে পারবো না, তবে আমার নিশ্চিত অনুমান এর পেছনে র' জড়িত। এই দেশে ভারত সরকারের একমাত্র শত্রু জামায়াত। এটা কেন সেটা সবাই জানে। প্রতিটা নির্বাচনে জামায়াত যাতে কোনোভাবে সরকারে না আসতে পারে সেজন্য ভারত সরকার বাংলাদেশের ছোট-বড় সবক'টি রাজনৈতিক দলের সাথে যোগাযোগ করে।
শাহবাগ আন্দোলনের মতো আগেও আরেকটি আন্দোলন হয়েছে বাংলাদেশে জামায়াতের বিরুদ্ধে '৯২ সালে। সেই আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু ছিলো 'ঘাদানিক'। ঘাদানিক আন্দোলন শাহবাগের আন্দোলনের চাইতেও অনেক বেশি জোরালো ছিলো। তারা বাংলাদেশের প্রায় সবগুলো উপজেলায় কমিটি দিতে পেরেছিলো। তাদের হামলায় জামায়াত- শিবিরের বহু মানুষ খুন হয়েছে। সময়ের স্রোতে ঘাদানিক হারিয়ে গেলো। ঘাদানিক হারিয়ে যেতে সময় লেগেছে প্রায় তিন বছর। '৯৫ সালে জামায়াত প্রস্তাবিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবীর আন্দোলনে যখন দেশবাসী একত্র হয়ে গেলো তখন ঘাদানিক সেই আন্দোলনের স্রোতে ভেসে গিয়েছিলো।
জামায়াতের বিরুদ্ধে শাহবাগে যখন ইসলামবিরোধীরা একত্র হয়েছে তখন জামায়াতের বাহিরে থেকে শুধুমাত্র একজন মানুষ কন্ঠ উচ্চ করে এর প্রতিবাদ করেছেন। তিনি বলেছেন এটা ফ্যাসিবাদ। বিচার নয়, ফাঁসী চাই এটা ফ্যাসিবাদী আন্দোলন। তার নাম মাহমুদুর রহমান।
আমার জানামতে বাংলাদেশে শুধুমাত্র ২০১৩ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে জামায়াত কর্মীরা নৈতিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। তাদের বিরুদ্ধে জনমত গঠন হওয়া শুরু হয়েছে। এর আগে অনেকবার জামায়াত কোণঠাসা হয়েছে কিন্তু কখনো তাদের বিরুদ্ধে জনমত গঠিত হয়নি।
বাংলাদেশে জঙ্গি কার্যক্রমের মূল নাটের গুরু যে র' এটা জানে না এমন কেউ নেই। এদেশের সব জঙ্গীদের প্রশিক্ষণ হয় ভারতে। অস্ত্র আসে ভারত থেকে। ব্লগার রাজিব নামে এক লোক জঙ্গিদের হাতে খুন হয় ১৫ ফেব্রুয়ারি। যেসব জঙ্গীরা রাজীবকে খুন করেছে বলে প্রমাণিত হয়েছে তারা কেউই জামায়াতের সাথে যুক্ত নয়।
আমার কাছে প্রমাণ চাইলে আমি দিতে পারবো না, তবে আমার নিশ্চিত অনুমান এই হত্যাকাণ্ড র'-এর পরিকল্পনা ছিলো। যে কোনো আন্দোলনে রক্ত ঝরলে তার যৌক্তিকতা বেড়ে যায়। এজন্য তারা এক নিরীহ নাস্তিক ব্লগারকে টার্গেট করে তাদের বি টিম জঙ্গীদের দিয়ে রাজিবকে খুন করিয়েছে। এতে করে জামায়াতের বিরুদ্ধে আরো কঠোর অবস্থানে যেতে পারবে সরকার। মানুষের ঘৃণাও বাড়বে জামায়াতের বিরুদ্ধে।
ব্লগার রাজিবকে নিরীহ বলেছি সে কোনো ভালো মানের নাস্তিক ছিলো না। তার লেখার হাতও ভালো ছিলো না। আমি ব্লগিং জগতে ২০০৯ সাল থেকে বিচরণ করেছি। কিন্তু তাকে চিনতাম না। অথচ তখন আমি জনা পঞ্চাশেক নাস্তিক ব্লগারের লেখা পড়েছি ও তাদের যুক্তির কাউন্টার যুক্তি দিয়েছি। তারা খুন করার জন্য একজন নন প্রোডাক্টিব নাস্তিককে খুঁজে বের করেছে।
রাজিব হত্যা নিয়ে র' এর পরিকল্পনা যেভাবে ছিলো ঘটনা তা-ই ঘটছিলো। কিন্তু এর মধ্যে অন্য একটি ব্যাপার সামনে চলে এলো। ব্লগার রাজিব বিভিন্ন স্থানে আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রাসূল সা.-কে নিয়ে কুৎসিত সব কথা ও গালি দিয়ে কমেন্ট করেছিলো। সেই বিষয়টা গবেষণা করে উদ্ধার করেছে মাহমুদুর রহমানের 'দৈনিক আমার দেশ'।
মাহমুদুর রহমান বিএনপিসহ সব ডানমনা দলকে এটা বুঝাতে চেয়েছিলেন এই আন্দোলন শুধু জামায়াতের বিরুদ্ধে এটা মূলত ইসলামের বিরুদ্ধে। আসলেও তাই। শাহবাগে প্রতিদিন ইসলামকে নিয়ে কটাক্ষ ও ব্যঙ্গ করা হচ্ছিলো। কিন্তু তিনি ততটা সফল হননি। যখন সারাদেশের সকল মিডিয়া রাজিবকে নিয়ে কাঁদছিল আর জামায়াতের পিণ্ডি চটকাচ্ছিল তখন আমার দেশ ও নয়া দিগন্তের ভিন্ন উপস্থাপনা এদেশবাসীকে আবারো ভিন্ন চিন্তা করতে শিখিয়েছে।
আমার দেশ বিজ্ঞাপন আকারে ব্লগার রাজিবের উক্তিগুলো প্রচার করেছে আর মুসলিমদের এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান করেছিলো। আমার যতদূর মনে পড়ে মাহমুদুর রহমান চট্টগ্রামের কওমী মাদ্রাসাগুলো সফর করেছেন রুখে দাঁড়ানোর জন্য। যেদিন শাহবাগ আন্দোলন শুরু হয় সেদিনই আমি চট্টগ্রামে গুলিবিদ্ধ ও এরেস্ট হই। আহত হওয়ার সুবাদে আমাকে কারাগারে সাথে সাথেই যেতে হয়নি। চিকিতসাধীন ছিলাম চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তখন টেলিভিশন না দেখতে পারলেও নিয়মিত তিনটি পত্রিকা পড়তাম।
ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষানীতির বিরোধিতা করে ২০১০ এর ১৯ জানুয়ারিতে চট্টগ্রামের প্রায় একশোটি কওমি মাদ্রাসার শিক্ষকদের নিয়ে হেফাযতে ইসলাম গঠিত হয়। এর মূল প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মুফতি ইযহারুল ইসলাম। হাটহাজারী মাদ্রাসার পরিচালক শাহ আহমদ শফীকে এই সংগঠনের প্রধান করা হয়। ২০১১ সালে তারা বাংলাদেশ নারী উন্নয়ন নীতি (২০০৯) এর কয়েকটি ধারাকে ইসলামের সাথে সাঙ্ঘর্ষিক দাবি করে এর তীব্র বিরোধিতা করে।
কওমী আলেমরা বুঝতে পারেন শাহবাগ আন্দোলন মূলত ইসলামবিরোধী আন্দোলন। এরপর তারা হেফাযতে ইসলামের ব্যানারে শাহবাগের বিরোধীতা করতে থাকেন। এবার জামায়াতের নেতা-কর্মীরা হালে পানি পায়। তারা হেফাযতের নেতৃত্বে শাহবাগবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে। মুহুর্তেই হেফাযত শক্তিশালী হয়ে উঠে। দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। শাহবাগের দর্প চূর্ণ করে দেয় অল্প দিনের মধ্যেই। চট্টগ্রাম থেকে সকল শাহবাগীদের উচ্ছেদ করে। এরপর ঢাকামুখী অগ্রযাত্রা শুরু হয় তাদের। ঢাকায়ও তারা বিভিন্ন স্থানে বড় বড় মিছিল করে। এসব মিছিলে অংশগ্রহণ করেছে সকল পর্যায়ের মুসলিম। তারা সবাই আহত হয়েছে রাজিবের আল্লাহ-রাসূল সা. বিরোধী উক্তিতে।
শাহবাগ ক্রমেই জনসম্পৃক্ততা হারায়। কালক্রমে এখন শাহবাগী একটি গালিতে পরিণত হয়। জামায়াত তার হারানো নৈতিক শক্তি ফিরে পায় এক মাসের মধ্যেই। হঠাত বিশাল সাফল্য কওমী নেতাদের বেপরোয়া করে তোলে। আমার জানামতে একমাত্র মুফতি ইযহার ছাড়া আর কেউ রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে পরামর্শ করতে পর্যন্ত রাজি ছিল না। ঢাকা ও ঢাকার বাহিরে হেফাযতের সমাবেশগুলোতে মঞ্চে কোনো রাজনৈতিক নেতাদের তারা উঠতে দেয় নি। জামায়াত তো বহু দূরের কথা। তবে জামায়াত কর্মীরা হেফাযতকে আশ্রয় করে শাহবাগ ঠেকাতে চেয়েছে এবং সেটায় তারা সফল হয়েছে।
৫ মে মহাসমাবেশে সারাদেশ থেকে জামায়াত তাদের কর্মীদের জড়ো করেছে ঢাকায়। যাতে ইসলামী গনজাগরণ স্পষ্ট হয়। দিগন্ত টেলিভিশন বহুস্থানে তাদের ক্যামেরা স্থাপন করে এই সমাবেশকে জাতির সামনে অসাধারণভাবে উপস্থাপন করেছে। সারা দেশের জনগণ পানি ও খাবার নিয়ে সমাবেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। আর সকাল থেকে জামায়াত শিবিরের কর্মীরা পুলিশকে ঠেকিয়ে রেখেছে যাতে সমাবেশ চলতে পারে। হেফাযত নেতারা কোনো কর্মপরিকল্পনা দিতে পারছিলেন না। সরকার শফি হুজুরকে হুমকির উপর রেখেছিলো।
যারা বলে থাকেন, খালেদা জিয়া হেফাযতের গণঅভ্যুত্থান দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বসেছিলেন, তাদের দাবি মোটেই সত্য নয়। বিএনপি এই সমাবেশে যাস্ট নৈতিক সমর্থন দিয়েছে। এর বেশি কিছু নয়। আর তাছাড়া হেফাযত নেতারাও খালেদা জিয়ার সাথে আলাপ আলোচনা করে আন্দোলন করেনি। এটা ঠিক যে বিএনপি'র একজন উপদেষ্টা হেফাযতকে মাঠে নামিয়েছেন। কিন্তু এটা সরকারবিরোধী আন্দোলন ছিলো না। এটা ছিলো শাহবাগ বিরোধী আন্দোলন। হেফাযতে ইসলামের দাবি থেকেই তা অনেকটা পরিষ্কার।
হেফাযতে ইসলামের ১৩ দফা দাবি :
১- সংবিধানে ‘আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনঃস্থাপন এবং কোরআন-সুন্নাহবিরোধী সব আইন বাতিল করা।
২- আল্লাহ্, রাসুল ও ইসলাম ধর্মের অবমাননা এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে কুৎসা রোধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে আইন পাস।
৩- শাহবাগ আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী স্বঘোষিত নাস্তিক এবং রাসুল এর নামে কুৎসা রটনাকারী ব্লগার ও ইসলামবিদ্বেষীদের সব অপপ্রচার বন্ধসহ কঠোর শাস্তিদানের ব্যবস্থা করা।
৪- ব্যক্তি ও বাকস্বাধীনতার নামে সব বেহায়াপনা, অনাচার, ব্যভিচার, প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ, মোমবাতি প্রজ্বালনসহ সব বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধ করা।
৫- ইসলামবিরোধী নারীনীতি, ধর্মহীন শিক্ষানীতি বাতিল করে শিক্ষার প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা।
৬- সরকারিভাবে কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা এবং তাদের প্রচারণা ও ষড়যন্ত্রমূলক সব অপতৎপরতা বন্ধ করা।
৭- মসজিদের নগর ঢাকাকে মূর্তির নগরে রূপান্তর এবং দেশব্যাপী রাস্তার মোড়ে ও কলেজ-ভার্সিটিতে ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন বন্ধ করা।
৮- জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সব মসজিদে মুসল্লিদের নির্বিঘ্নে নামাজ আদায়ে বাধাবিপত্তি ও প্রতিবন্ধকতা অপসারণ এবং ওয়াজ-নসিহত ও ধর্মীয় কার্যকলাপে বাধাদান বন্ধ করা।
৯- রেডিও-টেলিভিশনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে দাড়ি-টুপি ও ইসলামি কৃষ্টি-কালচার নিয়ে হাসিঠাট্টা এবং নাটক-সিনেমায় নেতিবাচক চরিত্রে ধর্মীয় লেবাস-পোশাক পরিয়ে অভিনয়ের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের মনে ইসলামের প্রতি বিদ্বেষমূলক মনোভাব সৃষ্টির অপপ্রয়াস বন্ধ করা।
১০- পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশব্যাপী ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত এনজিও এবং খ্রিষ্টান মিশনারিগুলোর ধর্মান্তকরণসহ সব অপতৎপরতা বন্ধ করা।
১১- রাসুলপ্রেমিক প্রতিবাদী আলেম-ওলামা, মাদ্রাসার ছাত্র রাসুলপ্রেমিক জনতার ওপর হামলা, দমন-পীড়ন, নির্বিচার গুলিবর্ষণ এবং গণহত্যা বন্ধ করা।
১২- সারা দেশের কওমি মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক, ওলামা-মাশায়েখ ও মসজিদের ইমাম-খতিবকে হুমকি-ধমকি, ভয়ভীতি দানসহ তাঁদের বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্র বন্ধ করা।
১৩- অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত সব আলেম-ওলামা, মাদ্রাসাছাত্র ও রাসুলপ্রেমিক জনতাকে মুক্তিদান, দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং আহত ও নিহত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণসহ দুষ্কৃতকারীদের বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি প্রদান।
আল্লাহর পরিকল্পনা বড় পরিকল্পনা। র' চেয়েছিলো রাজিবকে খুন করে শাহবাগ আন্দোলনকে আরো চাঙ্গা করবে, জামায়াতকে ঘৃণার বস্তু বানাবে। নিশ্চিহ্ন করে দিবে। কিন্তু এর মাধ্যমে তাদের আন্দোলন বানচাল হয়ে গেছে। জামায়াত সবল হয়েছে, শক্তিশালী হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা জামায়াতকে এমন একটি শক্তি দিয়ে উদ্ধার করেছেন যারা জামায়াতের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই জামায়াতের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়ে এসেছে। তাদের কাফের ফতোয়া দিয়েছে। আল্লাহু আকবার।
হেফাযতের উত্থানে মানুষ শাহবাগীদের ঘৃণা করেছে। এদেশে শাহবাগীদের খুবই নিকৃষ্ট ও অপমানজনক পরিণতি বরণ করতে হয়েছে। জনমানুষের ঘৃণার বস্তুতে পরিণত হয়েছে। অন্যদিকে হেফাযতে ইসলামের একটি দাবিও সরকার রাখে নি। স্বৈরাচারী সরকার হুমকি ও টাকা পয়সার লোভ দেখিয়ে তাদের কেনা গোলামে পরিণত করেছে।
তাদের সনদ দেয়ার অনুষ্ঠানে সরকারের এক কর্তাব্যক্তি তার বক্তব্যে বলেছেন ৫ মে মতিঝিলে একজন মানুষও মৃত্যুবরণ করেনি। হাজার হাজার কওমী আলেম সেখানে বলে হাততালি দিয়েছে। মুফতি শফি তার এক বক্তব্যে বলেছেন আওয়ামীলীগ অনেক ভালো, তারা আমাদের মোটা অংকের টাকা দেয়। আজ হেফাযতে ইসলামও জনমানুষের ঘৃণার মুখোমুখি।
আল্লাহ তায়ালা সম্মানিত করেছেন জামায়াতে ইসলামীকে। এই পুরো ঘটনা প্রবাহে জামায়াতের কারিশমা নেই বললেই চলে। তবে তাদের একটা কারিশমা আছে সেটা হলো আল্লাহর প্রতি অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস। এই বিশ্বাস তাদেরকে কোনো পরিস্থিতিতেই মাথানত হতে দেয়নি। মুসলিমদের এটা বড় শক্তি। জামায়াত যেদিন এই শক্তি হারাবে সেদিন তারাও আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে। তাদের জন্য থাকবে না আল্লাহর কোনো সাহায্য।
তথ্যবহুল সুন্দর গবেষণা মুলক লিখনী । আরও লেখার আশা করি ।।
উত্তরমুছুন