৮ মে, ২০১৯

যে খাতে দান না করলে আপনার টুঁটি চেপে ধরা হবে!



রমাদান মাস চলছে। দান সদকার মওসুম। ফরজ সাদকা থেকে শুরু করে নফল সাদকা, এই মাসে আমাদের সবার দান করার পরিকল্পনা আছে। প্রশ্ন হলো কাকে দান করবেন? কোন খাতে দান করবেন? কোন খাতে দান না করলে আল্লাহ আপনার টুঁটি চেপে ধরবেন? আজ আমরা ইনফাক ফি সাবিলিল্লাহ নিয়ে আলোচনা করবো। 

আল্লাহ বলেন,
কী ব্যাপার? তোমরা আল্লাহর পথে কেন খরচ করছো না? অথচ যমীন ও আসমান সব তাঁরই। তোমাদের মধ্যে যারা বিজয়ের পরে অর্থ ব্যয় করবে ও জিহাদ করবে তারা কখনো সেসব ভাগ্যবানের সমকক্ষ হতে পারবে না যারা বিজয়ের পূর্বে ব্যয় করেছে ও জিহাদ করেছে। বিজয়ের পরে ব্যয়কারী ও জিহাদকারীদের তুলনায় তাদের মর্যাদা অনেক বেশী। যদিও আল্লাহ উভয়কে ভাল প্রতিদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তোমরা যা করছো আল্লাহ সে সম্পর্কে অবহিত। 

এমন কেউ কি আছে যে আল্লাহকে ঋণ দিতে পারে? উত্তম ঋণ! যাতে আল্লাহ তা কয়েকগুণ বৃদ্ধি করে ফেরত দেন। আর সেদিন তার জন্য রয়েছে সর্বোত্তম প্রতিদান। এই কথাগুলো প্রভুর কথা। তিনি এগুলো বলেছেন সূরা হাদীদের ১০ ও ১১ নং আয়াতে। 

তিনি আরো বলেন, “যারা সোনা-রূপা সঞ্চয় করে রাখে এবং আল্লাহর রাস্তায় তা খরচ করে না; অতএব, আপনি তাদেরকে সুসংবাদ শুনিয়ে দিন, অতি যন্ত্রণাময় শাস্তির। যা সেদিন ঘটবে। যেদিন জাহান্নামের অগ্নিতে সেগুলোকে উত্তপ্ত করা হবে, অতঃপর সেগুলো দ্বারা তাদের ললাটসমূহে এবং তাদের পার্শ্বদেশসমূহে এবং তাদের পৃষ্ঠসমূহে দাগ দেয়া হবে, এটা তাই যা তোমরা নিজেদের জন্য সঞ্চয় করে রেখেছিলে, সুতরাং এখন স্বাদ গ্রহণ কর নিজেদের সঞ্চয়ের”। (আত-তওবাঃ ৩৪-৩৫)

আপনি এই মাসে যেকোনো খাতে দান করতে পারেন। তবে জিহাদের জন্য যারা দান করবেন তারা আল্লাহর কাছে সর্বাধিক প্রিয় বলে গণ্য হবেন। আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠায়, তাওহীদ তথা আল্লাহর সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার জিহাদে অর্থ ব্যয় করুন। এই খাতে ব্যয় না করলে আল্লাহর পাকড়াওয়ের মুখোমুখি হতে হবে। 

জিহাদের জন্য জীবন ও সম্পদ বাজি রেখে কাজ করার জন্য অনেক আয়াত নাজিল করেছেন আল্লাহ তায়ালা। তাই আসুন রমাদানে আমরা জিহাদের জন্য সবচেয়ে বেশি খরচ করি। এতে আল্লাহ সবচেয়ে বেশি খুশি হবেন। আজকাল বাংলাদেশে জিহাদি বইয়ের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়, জিহাদের জন্য ভয়ংকর নির্যাতনের মুখোমুখি হতে হয়। জেনে রাখবেন আল্লাহ জিহাদকে ভালোবাসেন, যারা জিহাদ করে তাদের ভালোবাসেন, যারা জিহাদে অর্থব্যয় করেন তাদের ভালোবাসেন। আরো জেনে রাখবেন এই জিহাদের কথা বলার জন্য, জিহাদ করার জন্য ও জিহাদে অর্থব্যয় করার জন্য যদি আপনি নির্যাতিত হন ও শাহদাতবরণ করেন তবে আপনি পৃথিবীর সবচেয়ে সৌভাগ্যবান মানুষ। আসুন দ্বীন প্রতিষ্ঠার জিহাদে সর্বোচ্চ সামর্থ দিয়ে অংশগ্রহন করি। 

যারা আল্লাহর রাস্তায় স্বীয় ধন সম্পদ ব্যয় করে,তাদের উদাহরণ একটি বীজের মত,যা থেকে সাতটি শীষ জন্মায়। প্রত্যেকটি শীষে একশ করে দানা থাকে। আল্লাহ অতি দানশীল,সর্বজ্ঞ। যারা স্বীয় ধন সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে, আর ব্যয় করার পর সে অনুগ্রহের কথা প্রকাশ করে না এবং কষ্টও দেয় না,তাদেরই জন্যে তাদের পালনকর্তার কাছে রয়েছে পুরস্কার এবং তাদের কোন আশংকা নেই,তারা চিন্তিতও হবে না। (সূরা বাকারা: (২৬১-২৬২)

দান করতে হবে সচ্ছল অসচ্ছল সর্বাবস্থায়। আল্লাহ বলেন, তোমরা তোমাদের পালনকর্তার ক্ষমা এবং জান্নাতের দিকে ছুটে যাও যার সীমানা হচ্ছে আসমান ও যমীন,যা তৈরী করা হয়েছে পরহেযগারদের জন্য।যারা স্বচ্ছলতায় ও অভাবের সময় ব্যয় করে,যারা নিজেদের রাগকে সংবরণ করে আর মানুষের প্রতি ক্ষমা প্রদর্শন করে, বস্তুতঃ আল্লাহ সৎকর্মশীলদিগকেই ভালবাসেন। (সূরা আলে ইমরান: ১৩৩-১৩৪)

সূরা আলে ইমরানের ৯২ নাম্বার আয়াতে আল্লাহ রাব্বুল ‘আলামীন বলেন, ‘তোমরা প্রকৃত পুণ্য লাভ করতে পারবে না যেই পর্যন্ত না তোমরা তোমাদের প্রিয় বস্তুগুলো আল্লাহর পথে ব্যয় না করবে।’ এই সব আয়াতের দাবি পূরণের জন্য খাঁটি মুমিনগণ অত্যুজ্জ্বল উদাহরণ স্থাপন করে থাকেন। সূরা আল আহযাবের ৩৫ নাম্বার আয়াতে আল্লাহ রাব্বুল ‘আলামীন তাঁদেরকে,اَلْمُصَدِّقِيْنَ وَالْمُصَدِّقَاتِ (ইনফাককারী পুরুষ ও ইনফাককারী মহিলা) বলে উল্লেখ করেছেন। অর্থাৎ তাঁরা আল্লাহর পথে অকাতরে অর্থ-সম্পদ ব্যয় করেন। সমাজের অভাবী ব্যক্তিদের প্রতি তাঁদের সহযোগিতার হাত প্রসারিত হয়। আর আল্লাহর দ্বীনের আওয়াজ বুলন্দ করার কাজে তাঁরা উদারভাবে অর্থ-সম্পদ ব্যয় করে থাকেন।

দান সাদকা গুনাহ মিটিয়ে দেয়। রাসূল (সা.) বলেন, দান-সাদকা গুনাহ মিটিয়ে ফেলে যেমন পানি আগুনকে নিভিয়ে ফেলে। (সহীহুল জামে/৫১৩৬)

আল্লাহর রাস্তায় খরচ করতে হবে বিশুদ্ধ নিয়তে। খালেস নিয়তে, দায়িত্ব মনে করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে যদি দান করা হয়, তাহলে তার ব্যাপক ফযীলত রয়েছে। এসব ফযীলতের কিছুটা পার্থিব এই পৃথিবীতেও লক্ষ্য করা যায়, তবে বেশিরভাগ ফযীলতই পরবর্তী জীবনের পাথেয় হিসেবে জমা থাকে। এছাড়াও এ জন্য আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কারও পাবেন দানকারীরা। এ কারণেই দয়াময় আল্লাহ কুরআনে কারিমে দান-খয়রাতের ওপর ব্যাপক গুরুত্ব দিয়েছেন এবং সেই সঙ্গে দানের ব্যাপারে নিয়তের স্বচ্ছতার কথা বলেছেন। কেউ যদি লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে বা খ্যাতি লাভের উদ্দেশ্যে দান করে তবে তার জন্য আখিরাতে কিছুই থাকবে না কঠিন শাস্তি ছাড়া। 

দান করতে হবে শুধু আল্লাহ তায়ালার জন্য। কাউকে দেখানোর জন্য নয়। দান-খয়রাত করে ভবিষ্যতে কোনো স্বার্থ হাসিলের নিয়ত করা যাবে না। আত্মপ্রদর্শনের উদ্দেশ্য কৃত দানকে নিকৃষ্টতম দান বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে ইসলামে। এছাড়া যাকে দান করা হলো তার কাছ থেকে এর বিনিময়ে কোনো সুযোগ-সুবিধাও গ্রহণ করা যাবে না। 

ইসলামের ইতিহাসের শুরু থেকেই দাওয়াতী কাজকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ইসলামের হেফাজতের জন্য আর্থিক সহযোগিতার প্রয়োজন দেখা দিয়ে আসছে। এই জন্য স্বয়ং রাসূল (সা.) তাবুকের যুদ্ধের জন্য সাহাবীদের কাছ থেকে দান নিয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন সময় রাসুল (সা.) সাহাবিদেরকে দান করতে উৎসাহিত করেছেন। এমনকি খেজুরের এক টুকরা দান করে হলেও জাহান্নামের আগুন থেকে নিজেকে বাঁচাতে বলেছেন। ধন-সম্পদের প্রকৃত মালিক আল্লাহ তাআলা। তিনি যাকে ইচ্ছা উহা প্রদান করে থাকেন। এজন্য এ সম্পদ অর্জন ও ব্যয়ের ক্ষেত্রে তাঁর বিধি-নিষেধ মেনে চলা আবশ্যক। সৎ পন্থায় সম্পদ উপার্জন ও সৎ পথে উহা ব্যয় করা হলেই তার হিসাব প্রদান করা সহজ হবে। কিয়ামতের দিন যে পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে কোন মানুষ সামনে যেতে পারবে না, তন্মধ্যে দুটি প্রশ্নই ধন-সম্পদ বিষয়ক। প্রশ্ন করা হবে, কোন পথে সম্পদ উপার্জন করেছ এবং কোন পথে উহা ব্যয় করেছ।

রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেনঃ মানুষ বলে আমার সম্পদ! আমার সম্পদ!! অথচ তিনটি ক্ষেত্রে ব্যবহৃত সম্পদই শুধু তার। ১) যা খেয়ে শেষ করেছে, ২)যা পরিধান করে নষ্ট করেছে এবং ৩)যা দান করে জমা করেছে- তাই শুধু তার। আর অবশিষ্ট সম্পদ সে ছেড়ে যাবে, মানুষ তা নিয়ে যাবে। (মুসলিম)

আল্লাহর রাস্তায় দান খয়রাত করলে ৭০০ গুণ সাওয়াব বৃদ্ধি করা হয়: এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেনঃ مَنْ أَنْفَقَ نَفَقَةً فِي سَبِيلِ اللهِ كَانَتْ لَهُ بِسَبْعِ مِائَةِ ضِعْفٍ যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে কোন কিছু ব্যয় করবে তাকে সাতশত গুণ ছওয়াব প্রদান করা হবে। (মুসনাদে আহমাদ)

সহানুভূতি ও দান খয়রাত করা উত্তম চরিত্রে বহিঃপ্রকাশ: স্বাভাবিকভাবে এটি উত্তম গুণ। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আম্বিয়াকেরামদেরকে এই বিষয়ে অসিয়ত করেছেন। এবং আমাদেরকেও পবিত্র কুরআন উদ্ভুদ্ধ করেছেন। এবং এটি ঈমানদার হওয়ার একটি প্রমাণও। দান ও সহানুভূমি সম্পর্কে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, হে ঈমানদারগণ! আমি তোমাদেরকে যে রিজিক দিয়েছি, সেদিন আসার পূর্বেই তোমরা তা থেকে ব্যয় কর, যাতে না আছে বেচা-কেনা, না আছে সুপারিশ কিংবা বন্ধুত্ব। আর কাফেররাই হলো প্রকৃত যালেম। (সূরা বাকারা: ২৫৪)

রাসূলে কারীম (সা.) বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ দাতা,তিনি দাতাকে ভালোবাসেন। এবং উন্নত চরিত্রকে ভালোবাসেন। এবং মন্দ চরিত্রকে ঘৃণা করেন।

আবু হুরায়রা (রা:) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন:
“প্রতিদিন সকালে দু’জন ফেরেশতা অবতরণ করেন। তাদের একজন দানকারীর জন্য দু’আ করে বল, اللَّهُمَّ أَعْطِ مُنْفِقًا خَلَفًا “হে আল্লাহ দানকারীর মালে বিনিময় দান কর। (বিনিময় সম্পদ বৃদ্ধি কর)” আর দ্বিতীয়জন কৃপণের জন্য বদ দু’আ করে বলেন, اللَّهُمَّ أَعْطِ مُمْسِكًا تَلَفًا “হে আল্লাহ কৃপণের মালে ধ্বংস দাও।” (বুখারী ও মুসলিম)

আল্লাহ বলেন: ”যদি তোমরা প্রকাশ্যে দান-খয়রাত কর, তবে তা কতই না উত্তম। আর যদি গোপনে ফকীর-মিসকিনকে দান করে দাও, তবে এটা বেশী উত্তম। আর তিনি তোমাদের পাপ সমূহ ক্ষমা করে দিবেন।” (সূরা বকারা- ২৭১)

“যে ব্যক্তি হালাল কামাই থেকে একটি খেজুর সমপরিমাণ সদকা করবে (আর আল্লাহ তা‘আলা তো একমাত্র হালাল বস্তুই গ্রহণ করে থাকেন) আল্লাহ তা‘আলা তা ডান হাতে গ্রহণ করবেন। অতঃপর তা তার কল্যাণেই বর্ধিত করবেন যেমনিভাবে তোমাদের কেউ একটি ঘোড়ার বাচ্চাকে সুন্দরভাবে লালন-পালন করে বর্ধিত করে। এমনকি আল্লাহ তা‘আলা পরিশেষে সে খেজুর সমপরিমাণ বস্তুটিকে একটি পাহাড় সমপরিমাণ বানিয়ে দেন”। (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৪১০)

কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা‘আলার পথে সর্বদা সদকা-খয়রাতকারীর কোনো ভয়-ভীতি থাকবে না। 

আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “যারা নিজেদের ধন-সম্পদগুলো আল্লাহ তা‘আলার পথেই রাত-দিন প্রকাশ্যে এবং অপ্রকাশ্যে দান করবে তাদের প্রতিদান সমূহ তাদের প্রভুর নিকটই রক্ষিত থাকবে। কিয়ামতের দিন তাদের কোনো ভয়-ভীতি থাকবে না এবং তারা কখনো চিন্তাগ্রস্তও হবে না”। [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ২৭৪)

যারা আল্লাহ তা‘আলার পথে সর্বদা সদকা-খয়রাত করেন তাঁরা প্রকৃত ঈমানদার। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “সত্যিকারের মু’মিন ওরাই যাদের সামনে আল্লাহ তা‘আলার কথা স্মরণ করা হলে তাদের অন্তরগুলো ভয়ে কেঁপে উঠে, তাঁর আয়াত সমূহ পাঠ করা হলে তাদের ঈমান আরো বেড়ে যায়, উপরন্তু তারা সর্বদা নিজ প্রভুর উপর নির্ভরশীল থাকে। যারা সালাত কায়েম করে এবং তাঁর দেওয়া সম্পদ থেকে তাঁর পথে সদকা করে। তারাই হচ্ছে প্রকৃত ঈমানদার। তাদের জন্য রয়েছে তাদের প্রভুর নিকট সুউচ্চ আসন, ক্ষমা ও সম্মানজনক জীবিকা”। [সূরা আল-আনফাল, আয়াত: ২-৪]

আল্লাহ তা‘আলার পথে সর্বদা সদকা-খয়রাত সদকাকারীকে সকল প্রকারের গুনাহ্ ও পঙ্কিলতা থেকে মুক্ত ও পবিত্র করে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “(হে নবী!) তুমি তাদের সম্পদ থেকে সদকা-খয়রাত নিয়ে তাদেরকে পাক ও পবিত্র করো এবং তাদের জন্য দো‘আ করো। নিশ্চয় তোমার দো‘আ তাদের জন্য শান্তিস্বরূপ। আল্লাহ তা‘আলা তো সবই শোনেন এবং সবই জানেন। তারা কি এ ব্যাপারে অবগত নয় যে, নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা তাঁর বান্দাদের তাওবা কবুল করেন এবং তাদের দান-খয়রাত গ্রহণ করেন। নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা তাওবা কবুলকারী অতীব দয়ালু”। সূরা আত-তাওবা, আয়াত: ১০৩-১০৪]

আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে তাঁরই দ্বীন প্রতিষ্ঠা এবং মানবতার কল্যাণে যথাসাধ্য ব্যয় করার তাওফীক দান করুন। আমীন, সুম্মা আমীন। ইয়া রাব্বাল আলামীন।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন