৭ ডিসে, ২০২১

স্বৈরাচারী এরশাদের পতন পরিক্রমা




১৯৮২ সালের ২৪শে মার্চ। তখন সেনাপ্রধান ছিল লে. জে. হু. মু. এরশাদ। হুট করে একটি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অবৈধভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে সে। সে সময় বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন বিএনপি মনোনীত ও জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত বিচারপতি আব্দুস সাত্তার। সেনাপ্রধান এরশাদ রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেই সামরিক আইন জারি করে। সেই সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিবাদ করে ছাত্ররা।

১৯৮৩ ও ১৯৮৪ সালে বেশ কয়েকটি ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের মিছিলে সেনাবাহিনীর হামলায় অনেক ছাত্র/ছাত্রী হতাহত হয়। তখন থেকে জেনারেল এরশাদের বিরুদ্ধে একটি লাগাতার ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়। ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন আমীর গোলাম আযম জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকাররমের উত্তর গেইটে একটি জনসভায় দেশের রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের জন্য 'তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফর্মুলা' ঘোষণা করেন। সেই থেকে জামায়াত এই ফর্মুলা বাস্তবায়নের জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছিল।

১৯৯০ সালের শুরুর দিকে দফায় দফায় বৈঠকে স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী রাজনৈতিক নেতারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফর্মুলার ব্যাপারে একমত হন। আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াত স্বৈরাচার এরশাদের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করে। এই আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি গতি আনে ছাত্ররা। তৎকালীন ডাকসু, ছাত্রদল ও ছাত্রলীগ ছিল আন্দোলনের কেন্দ্রে।

১৯৯০ সালের ১০ অক্টোবর জেহাদ নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র পুলিশ কর্তৃক গুলিবিদ্ধ হলে সেই মৃত জেহাদের লাশকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে তৎকালীন ক্রিয়াশীল সকল ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সেখানে উপস্থিত হয়। ২৪টি ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে গড়ে উঠে "সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য"। সেদিন থেকে এরশাদবিরোধী আন্দোলন তীব্রতর হয়।

বিরোধী রাজনৈতিক দলসমূহ এবং আইনজীবী, ডাক্তার, প্রকৌশলী, কৃষিবিদ, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হতে থাকেন। ১৯৯০ সালের ১৯ নভেম্বর ৩ জোট স্বৈরাচারের পতন এবং পরবর্তীকালে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি রূপরেখা প্রকাশ করে। এই ঐতিহাসিক রূপরেখা প্রকাশের সারদেশের সকল মানুষ এক মঞ্চে এসে আন্দোলনে যোগ দেয়।

এর ৮ দিনের মাথায় অর্থাৎ ২৭ নভেম্বর ডাক্তারদের সংগঠন বিএমএ'র যুগ্মমহাসচিব ডা. শামসুল আলম খান মিলনকে খুন করে এরশাদের লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসীরা। তিনি বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। টিএসসির মোড়ে গুলি করে হত্যা করা হয় তাকে। এর ফলে সারাদেশে আগুনের মতো বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভ দমনে সরকার জরুরী অবস্থা ঘোষণা করে। তাতেও কোনো লাভ হয়নি। বরং আন্দোলন আরো তীব্র থেকে তীব্রতর হতে থাকে।

২৭ তারিখ পুলিশ বেপরোয়া হয়ে যায়। বিকেলে গৃহবন্দি করা হয় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে। বিএনপি সভানেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তাঁর কর্মীরা মানবঢাল রচনা করে গাড়িতে তুলে নিয়ে পালিয়ে যায়। তিনি অজ্ঞাত স্থান থেকে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে থাকেন। ডা. মিলনের মৃত্যুর প্রতিবাদে স্বৈরাচার সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত ডাক্তাররা ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। ডাক্তারদের এ ঘোষণার পর আইনজীবীরাও স্বৈরাচারী সরকাররের পতন না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘটের ডাক দেন। রাত ৯টা থেকে সরকার জরুরি অবস্থা জারি করলে এর প্রতিবাদে সরকারবিরোধী ৩ জোট লাগাতার হরতাল কর্মসূচির ঘোষণা দেয়। এই ঘোষণার পর থেকে একই সঙ্গে চলতে থাকে কারফিউ এবং লাগাতার হরতল।

একইসাথে ২৭ তারিখ রাতে স্বৈরাচারী হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সকল সংবাদপত্রের উপর সেন্সরশিপ জারি করে এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিবকে সাংবাদিকদের লিখিত প্রতিবেদন দেখিয়ে ছাড়পত্র আনার বিধান করা হয়। এরই প্রতিবাদে বিএফইউজে ও ডিউজের ডাকে সাংবাদিকরা এরশাদের পতন না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট পালনের ঘোষণা দেয়। ফলে সারাদেশে সকল সংবাদপত্রের প্রকাশনা বন্ধ থাকে।

গভীর রাতে কারফিউ লঙ্ঘন করে হাজার হাজার মানুষ রাজধানীতে মিছিল সমাবেশ করে। এ সময় পুলিশ এবং বিডিআর-এর সঙ্গে ছাত্র জনতার সংঘর্ষ হয়। এরশাদের পতন না হওয়া পর্যন্ত সাংবাদিকরা ধর্মঘট পালন করার আন্দোলনের উত্তপ্ত সময়ে বাংলাদেশের মানুষ দেশের সঠিক চিত্র দেশের গণমাধ্যমগুলোর মাধ্যমে জানতে পারেনি। এ সময় এদেশের মানুষের প্রধানতম ভরসা ছিল বিবিসি এবং ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা সংবাদ।

২৮ তারিখ ঢাবি এলাকায় হরতালের সমর্থনে মিছিল হয়। ঢাকার অন্যান্য স্থানেও মিছিল অব্যাহত থাকে। সবকটি স্থানে পুলিশের সাথে ছাত্রজনতার সংঘর্ষ হয়। মালিবাগে দু'জনকে খুন করে পুলিশ।

২৯ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ছাত্রশিক্ষক যৌথ সমাবেশে উপাচার্যসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক পদত্যাগের ঘোষণা দেন। আর চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের সকল শিক্ষক পদত্যাগ করেন। অন্যদিকে হাজার হাজার সরকারি ডাক্তার প্রেসিডেন্ট এরশাদ পদত্যাগ না করা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন শুরু করেন। ছাত্রজনতা কারফিউ লঙ্ঘন করে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে। রাজধানীতে পুলিশ, বিডিআর-এর পাশাপাশি সামরিক বাহিনীর গাড়ির অবস্থান গ্রহণ করে। মালিবাগ, মৌচাক, রামপুরা এলাকায় জনতার সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর খণ্ডযুদ্ধে শাহজাহানপুরে ১ জন ও খিলগাঁওয়ে ২ জন মৃত্যুবরণ করেন। জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারে মার্কিন সরকারের আহ্বান জানিয়েছে।

৩০ নভেম্বর শুক্রবার জুমার নামাজের পর জামায়াতে ইসলামী গত কয়েকদিন পুলিশের গুলীতে নিহতদের গায়েবানা জানাজা আদায় করে। মূল জমায়েত অনুষ্ঠিত হয় বায়তুল মোকারমের স্টেডিয়াম সংলগ্ন গেটে। সেনাবাহিনীর প্রচুর সৈনিক অবস্থান নেয় দক্ষিণ গেটে। আর পুলিশ অবস্থা নেয় উত্তর গেটে। বায়তুল মোকাররমে হাজার হাজার মানুষ জমায়েত হয় । মুসুল্লিদের মসজিদে ঢুকতে সৈন্যরা বাধা দেয়। তবে বায়তুল মোকাররমের খতিবের হস্তক্ষেপে বিষয়টি নিস্পত্তি হয়। গায়েবানা জানাজা শেষে হাজার হাজার জনতার একটি বিশাল মিছিল বের হয়। জনতার এই মিছিল ভঙ্গ করতে পুলিশ কাকরাইলে জনতার উপর গুলিবর্ষণ করে। এসময় সেনাবাহিনী নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করে। কারফিউ বলবৎ থাকা সত্ত্বেও ৩০ নভেম্বর ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটেসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে জনগণ বিক্ষোভ সমাবেশ করে।

১৯৯০ সালের ১ ডিসেম্বর সারাদেশে স্বৈরাচারবিরোধী মিছিল সমাবেশ অব্যাহত থাকে। এদিন সারাদেশ ১২ জন নিহত হয়। মিরপুরে বিডিআরের গুলিতে নিহত হয় ৮ জন। আর চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেনাবাহিনীর গুলিতে নিহত হয় ১ জন। খুলনায় ৩ জন নিহত হয়। সারাদেশে প্রচুর বিক্ষোভকারী আহত হয় এবং গ্রেফতার হয়। এদিন আসলে আন্দোলনের ভাগ্য নির্ধারিত হয়। ঢাকা সেনানিবাসে সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মিটিং করে। 

সেনানিবাসের ভেতরে ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা সিদ্ধান্ত নিলেন যে দেশের চলমান সংকট একটি রাজনৈতিক বিষয় এবং এ সঙ্কট সমাধানের জন্য রাষ্ট্রপতিকে রাজনৈতিক উদ্যোগ নিতে হবে। ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা আরো সিদ্ধান্ত নিলেন যে চলমান রাজনৈতিক সংকটে সেনাবাহিনীর করনীয় কিছু নেই। এমন অবস্থায় প্রেসিডেন্ট এরশাদ সেনা সদরকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন যে দেশে সামরিক আইন জারী করা হবে। কিন্তু সেনাবাহিনী তাতে সম্মত হয়নি। তারা এরশাদের কুকর্মের দায় নিতে রাজি হয়নি।

২ ডিসেম্বর সারাদেশের লাখো বিক্ষোভকারী ছিল রাস্তায়। তারা ঢাকার জনজীবন স্থবির করে দেয়। এদিন পুলিশ অনেকটাই শান্ত ছিল। বিক্ষোভকারীরা ঢাকার সবক'টি প্রধান সড়ক বন্ধ করে দেয়।

১৯৯০ সালের ৩ ডিসেম্বরও একই অবস্থা চলতে থাকে। উগ্র বিক্ষোভকারীরা মতিঝিলের সেনাকল্যাণ ভবনে বোমা হামলা করে। এতে কিছু মানুষ হতাহত হয়। পুলিশ ও সেনাবাহিনী গুলি করে মতিঝিল থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়। ঢাকার বিভিন্ন স্থানে পুলিশ গুলি করে। বহু মানুষ হতাহত হয়। সন্ধ্যায় এরশাদ জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেয় এবং আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেয়। নির্বাচনের ১৫ দিন আগে পদত্যাগের ঘোষণা দেয়। তার এই ভাষণ সকল বিরোধী দল প্রত্যাখ্যান করে। তারা এরশাদের পদত্যাগের দাবি জানায়।

নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের শেষ দিন ৪ ডিসেম্বর তারিখে জনতার বিক্ষোভ সমাবেশে সারা দেশ ছিলো উত্তাল। এদিন পুলিশ একেবারেই শান্ত ছিল। ঢাকার বিজয় নগর, পুরানা পল্টন, মতিঝিল, গুলিস্তান, তোপখানা রোড ও কাকরাইলে ছিল লাখ লাখ মানুষের মিছিল। বিক্ষুব্ধ জনতার মুখে ছিল এরশাদের পদত্যাগ এবং বিচার দাবির শ্লোগান। এদিন বাংলাদেশ সচিবালয়সহ সকল সরকারী, আধা সরকারী স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার কর্মচারী কর্মকর্তারাও গণঅভ্যুত্থানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগ দেন। সচিবরা সবাই মহিউদ্দিন খান আলমগীরের নেতৃত্বে রাস্তায় জনতার কাতারে মিশে যায়।

ডিসেম্বর মাসের ৪ তারিখে সেনাবাহিনীর চীফ অব জেনারেল স্টাফ মেজর জেনারেল আব্দুস সালাম প্রেসিডেন্ট এরশাদের সাথে দেখা করেন এবং সরাসরি বলেন যে তার পদত্যাগ করা উচিত। জরুরী অবস্থা এবং কারফিউর মতো কঠোর পদক্ষেপের মাধ্যমেওে যখন গণআন্দোলন দমানো যাচ্ছিল না তখন সেনাবাহিনীর দিক থেকে চূড়ান্ত অসহযোগিতা পেল স্বৈরাচারী প্রেসিডেন্ট এরশাদ।

সেসময় ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলে মওদুদ আহমেদ। এরশাদের গতকালের ভাষণের ব্যাখ্যা ও আগামী নির্বাচনের রূপরেখা নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে তিনি জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। সেখানে সরকারের দৃঢ় অবস্থান ব্যক্ত করেন। এই ভাষণ প্রচারিত হয় রাত আটটার সংবাদের পর। মওদুদ বিটিভিতে ভাষণ রেকর্ড করে বাসায় ফেরার পর তার স্ত্রী তাকে জানিয়েছে প্রেসিডেন্ট ফোন করেছেন। মওদুদ এরশাদকে ফোন করলে এরশাদ জানায় সেনাবাহিনীর প্রতিবাদের মুখে তাকে পদত্যাগ করতে হচ্ছে। তিনি পদত্যাগ করবেন। এরপর মওদুদ এরশাদের বাসায় যায়। সেখান থেকে রাত দশটার খবরের পর এরশাদের পদত্যাগের ঘোষণা দেয় মওদুদ।

৪ ডিসেম্বর সারারাত বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় উল্লাস ও গান করে। ৫ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিজয় উল্লাস চলতে থাকে। এরশাদ বিরোধী দলগুলোর প্রস্তাব অনুযায়ী কেয়ারটেকার সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে রাজি ছিল। বিরোধী দলের সিনিয়র নেতারা ৫ তারিখ প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদকে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য রাজি করান।

১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর সামরিক স্বৈরাচারী হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেন এবং বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদের এই দায়িত্ব গ্রহণের মধ্য দিয়ে ৯০-এর ঐতিহাসিক গণআন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটে।

বিচারপতি শাহবুদ্দিন আহমেদ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হন। ২৫ ডিসেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিযুক্ত হন বিচারপতি আব্দুর রউফ। তাদের সেনাবাহিনী সহায়তা করে। ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৯১ সালে ৫ম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এটি বাংলাদেশের প্রথম সুষ্ঠু নির্বাচন। এর আগের সব নির্বাচন নিয়ে ভয়াবহ অভিযোগ আছে। নির্বাচনে বিএনপি জয়লাভ করে। তারা ১৪০ টি আসন পায়। এছাড়া উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৮৮ টি, জাতীয় পার্টি ৩৫ টি, জামায়াত ১৮ টি আসন লাভ করে।

সরকার গঠন করার জন্য ন্যূনতম ১৫১ আসনের প্রয়োজন হয়। বিএনপি জামায়াতের কাছে সমর্থন চাইলে জামায়াত গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে কোনো শর্ত কিংবা চাহিদা ছাড়াই সমর্থন দেয়। আলোচনায় জামায়াত বিএনপির কাছে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠন ও জনগনের সরকার গঠনের আহবান জানায়। ৫ এপ্রিল ১৯৯১ সালে বিএনপি নেতৃত্বে সরকার গঠিত হয়।

২টি মন্তব্য:

  1. আপনার হাত ধরে উঠে আসুক হারিয়ে যাওয়া সব সত্য ইতিহাস। আপনার প্রত্যেকটি লেখা মাশাআল্লাহ অসাধারণ।

    উত্তরমুছুন