খলিফাতুর রাসূল আবু বকর রা.-এর সময়ে এখনকার মতো মন্ত্রী ও মন্ত্রীপদ ছিল না। কিন্তু মন্ত্রীত্বের যে দায়িত্ব রয়েছে তা কয়েকজন বিশিষ্ট সাহাবীর ওপর ন্যস্ত ছিল। উমার রা. ছিলেন আবু বকর রা.-এর প্রধান উপদেষ্টা এবং রাষ্ট্রীয় কাজে প্রধান সহায়ক। বিচারের দায়িত্বও তিনি পালন করতেন। আবু বকর রা. তাকে মাদীনায় নিজের সাথে রাখতেন। বাইরে খুব একটা যেতে দিতেন না। আবু উবাইদাহ ইবনুল জাররাহ রা.-এর ওপর অর্থ বিভাগের দায়িত্ব ন্যস্ত ছিল। যায়িদ ইবনু ছাবিত রা. ছিলেন আবু বাকর রা.-এর একান্ত সচিব। তিনি রাষ্ট্রের যাবতীয় চিঠিপত্র লিখতেন ও প্রেরণ করতেন। তা ছাড়া কখনো উসমান রা. ও আলী রা.ও এ দায়িত্ব পালন করতেন।
বিচার বিভাগ :
আবু বকর রা.-এর সময়ে বিচার ব্যবস্থা মূলত নির্বাহী বিভাগের অধীনেই ছিল। এ সময় প্রধানত কুর'আন ও হাদীসের বর্ণিত বিধি-বিধানের ভিত্তিতে বিচারকার্য পরিচালিত হতো। তবে কখনো প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞগণের নিকট পরামর্শ চাওয়া হতো। বিবদমান দু-পক্ষের মধ্যে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা আবু বকর রা. তার একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব মনে করতেন। তিনি নিজেই অনেক বিচারকার্য সম্পন্ন করতেন। বিচারকার্যে সহায়তার জন্য তিনি উমার রা.-কে দায়িত্ব দেন।
উমার রা. স্বাধীনভাবে বিচারকের দায়িত্ব পালন করতেন। এ ব্যাপারে তিনি আবু বকর রা.-এর মতকেও প্রয়োজনে উপেক্ষা করতেন। একদিন আকরা ইবন হাবিস ও উয়াইনা ইবন হিসন আল-ফাযারী আবু বকর রা.-এর কাছে উপস্থিত হয়ে একটি পতিত জমি তাদেরকে প্রদান করার জন্যে আবেদন করেন। তারা দুর্বল মুসলিম ছিলেন। যেহেতু তারা উভয়ে দোদুল্যমান অন্তরের লোক ছিলেন, তাই আবু বকর রা. তাঁদের আবেদন মঞ্জুর করেন এবং এই জমির দলিল তাদের নামে লিখে দেন।
তখন তাঁরা খলিফার নির্দেশ সত্যায়িত করার জন্যে উমার রা.-এর নিকট আসেন। কিন্তু উমার রা. নির্দেশটি তাদের হাত থেকে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলেন এবং বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. সেই যুগে তোমাদের সন্তুষ্টির জন্য এরূপ করতেন যখন ইসলাম খুব দুর্বল ছিল। এখন ইসলাম শক্তিশালী হয়েছে, অতএব তোমাদের যা খুশি তা করতে পারো না। তখন উভয়ে সেখান থেকে আবু বকর রা.-এর কাছে আসেন এবং বলেন, খালীফা কি আপনি, না উমার?
আবু বকর রা. বলেন, 'খালীফা উমার রা. হতেন যদি তিনি ইচ্ছে করতেন। ইতোমধ্যে উমার রা. সেখানে পৌছেন এবং আবু বকর রা.-এর কাছে যুক্তি দেখিয়ে বলেন, "আপনি কীভাবে এদেরকে এ জমি দান করলেন? এটার মালিক আপনি, না সমগ্র মুসলিম?' তিনি বললেন, সমগ্র মুসলিম। তখন উমার রা. বললেন, 'তা হলে কিভাবে আপনি এ দু'জনকে তা দান করলেন?
আবু বাকর রা. বললেন, 'এই সময় যারা আমার নিকট উপস্থিত ছিলেন তাদের সাথে পরামর্শ করেছি। অবশেষে আবু বকর রা. স্বীয় সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিলেন এবং উমার (রা.)-এর সিদ্ধান্তই বহাল রাখেন।
স্বাধীন ফতওয়া বিভাগ :
ইসলামী আইন সম্পর্কে গবেষণা, অনুসন্ধান এবং বিচার-বিশ্লেষণের গুরুত্বপূর্ণ কার্য সম্পাদনের জন্য আবু বাকর রা. একটি ফতওয়ার দফতর স্থাপন করেন। দ্বীনী ইলম ও ইজতিহাদের জন্য সুখ্যাত উমার রা., উসমান রা., আবদুর রহমান ইবন আওফ রা., আলী রা., মু'আয ইবন জাবাল রা., উবাই ইবন কা'ব রা., যায়িদ ইবন ছাবিত রা. এবং আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ রা. প্রমুখ সাহাবাকে এ দফতরের দায়িত্ব দেয়া হয়। এ কয়জন ব্যতীত অন্য কারো ফতওয়া দেওয়ার অনুমতি ছিল না।
নিরাপত্তা বিভাগ :
খালীফার প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা বিধান করা এবং তাদের সম্মান রক্ষা করা। তবে আবু বকর রা. নিরাপত্তার জন্য কোনো বেতনধারী পুলিশ বাহিনী তৈরি করেননি। তিনি আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ রা.-কে প্রহরা ও মসজিদে নববীর নিরাপত্তার দায়িত্ব অর্পণ করেন। আর যখনই কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা দেখা দিত, তখন সেখানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সাহসী যোদ্ধা পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হতো। নিরাপত্তার দিকে লক্ষ্য রাখার জন্য তিনি প্রত্যেক প্রাদেশিক নেতাকেও দায়িত্ব দিয়েছেন।
জিম্মী নাগরিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠা
অমুসলিমরা ইসলামী রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ও আনুগত্য মেনে নেয়ার পর তাদের মৌলিক নাগরিক অধিকারসমূহ সুনিশ্চিত করা ইসলামী রাষ্ট্রের একটি প্রধান কর্তব্য। তারা জীবন সম্পদ ও সম্মানের নিরাপত্তা লাভ করবে। স্বাধীনভাবে চলাফেরা করবে ও ধর্ম-কর্ম পালন করবে। সর্বোপরি ইসলামী রাষ্ট্রের মুসলিম নাগরিকরা যে সকল নাগরিক অধিকার ভোগ করে, অমুসলিমরাও একইরূপ নাগরিক অধিকার ভোগ করবে। রাসূলুল্লাহ সা.-এর শাসনামলে অমুসলিম নাগরিকদের সাথে সম্পাদিত একটি চুক্তিপত্রে তাদের সকল অধিকার নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়। আবু বকর রা. ঐ সব অধিকার শুধু বহালই রাখেননি; বরং তার খিলাফাতের মোহর ও স্বাক্ষর দ্বারা ঐ চুক্তিপত্রটি সত্যায়িত করেন।
তাঁর শাসনামলে যে সব রাজ্য ইসলামী রাষ্ট্রের শাসনাধীনে এসেছিল, তিনি ঐ সব রাজ্যের অমুসলিমদের জন্যে চুক্তিপত্রে উল্লেখিত সকল অধিকারই বলবৎ রাখেন। হীরাবাসীদের সাথে সম্পাদিত চুক্তিপত্রের ভাষা নিম্নরূপ,
“তাদের খানকাহ ও গির্জাগুলো ধ্বংস করা হবে না। প্রয়োজনের সময় শত্রুর আক্রমণ থেকে আত্মরক্ষার জন্য যে সব ইমারতে তারা আশ্রয় গ্রহণ করে থাকে সেগুলোও নষ্ট করা হবে না। নাকুস ও ঘন্টা বাজাতে নিষেধ করা হবে না। আর উৎসবের সময় ক্রুশ মিছিল বের করার ওপরও কোনো বিধি-নিষেধ আরোপ করা হবে না।”
আবু বকর রা.-এর সিরিয়া বিজয়ের পনের বছর পর একজন পাদ্রী মন্তব্য করেছেন, “এই আরব জাতি, যাদেরকে আল্লাহ তা'আলা রাজ্য প্রদান করেছেন, আমাদের মালিক হয়ে গেছেন, তারা কখনো খ্রিস্টান ধর্মের প্রতি বিরূপ আচরণ করেননি; বরং আমাদের ধর্মের হিফাজত করেন, আমাদের পাদ্রী ও মহাপুরুষদের সম্মান করেন এবং আমাদের গির্জা ও উপাসনালয়ের জন্যে আর্থিক সাহায্য প্রদান করেন।”
অর্থ ও ভূমিব্যবস্থা বাইতুলমাল প্রতিষ্ঠা :
রাসূলুল্লাহ সা.-এর যুগে পৃথক অর্থ বিভাগ কায়েম করা হয়নি। বিভিন্ন উৎস থেকে যা যা আয় হতো, তা সাথে সাথেই উপযুক্ত প্রাপকদের মধ্যে বিতরণ করে দেয়া হতো। আবার প্রয়োজন হলে মুসলিমদের নিকট থেকে চেয়ে নেয়া হতো। আবু বকর রা.-এর শাসনকালেও ঐ ব্যবস্থাই বলবৎ থাকে। অবশ্য তাঁর খিলাফাতের শেষাংশে তিনি একটি সাধারণ বাইতুল মাল বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন। এর সকল ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব আবু উবাইদাহ ইবনুল জাররাহ রা.-এর ওপর ন্যস্ত ছিল।
আবু বকর রা.-এর মৃত্যুর পর উমার রা. কয়েকজন সিনিয়র সাহাবীদের সাথে নিয়ে বায়তুলমাল হিসাব পরীক্ষা করতে গিয়ে মাত্র এক দিনার পেয়েছেন। আবু উবাইদাহ রা.-এর কাছে হিসাব চাওয়া হলে তিনি জানান প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাইতুলমালে দুই লক্ষ দিনার জমা পড়েছে। আবু বকর রা.-এর নির্দেশে আমি তা খাতভিত্তিক বিতরণ করেছি।
আবু বকর রা. বাইতুলমাল প্রতিষ্ঠা করলেও যেহেতু বেতনধারী সরকারি কর্মচারী ও কর্মকর্তা ছিল না তাই তিনি অর্থ জমা করার প্রয়োজন বোধ করেননি। বাইতুলমাল ব্যবস্থা পরিপূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে উমার রা.-এর শাসনামলে।
বাইতুল মালে আয়ের উৎস
১. দান
মদিনার মুসলিমদের দান। রাষ্ট্রের প্রয়োজনে জনগণের নিকট দান চাওয়া হতো। সাধারণত যুদ্ধাভিযানের পূর্বে দান চাওয়া হতো। এছাড়া সাহাবীরা বিভিন্ন উপলক্ষে স্বেচ্ছায় দান করতেন।
২. যাকাত
ইসলামী রাষ্ট্রে রাসূল সা.-এর সময় থেকে মুসলিমদের যাকাত কালেকশন ও তা খাতভিত্তিক বিতরণ করা হতো। আবু বকর রা.-এর সময় একই নিয়ম অব্যাহত থাকে।
৩. উশর
ভূমি থেকে উৎপাদিত ফসলের যাকাতকে উশর বলে। এটাও যাকাতের নিয়মে আদায় করা হতো।
৪. জিজিয়া
ইসলামী রাষ্ট্রের অনুগত সকল অমুসলিম নাগরিকের কাছ থেকে তাদের নিরাপত্তা বাবদ কর নেওয়া হয়। এটাকে জিজিয়া বলে। এটি সক্ষম অমুসলিম পুরুষদের ওপর আরোপিত কর। রোগাক্রান্ত, নারী, শিশু, বৃদ্ধ এই করের আওতামুক্ত। জিজিয়ার নির্ধারিত হার নেই। আবু বকর রা. বাৎসরিক ১০ দিরহাম জিজিয়া কর নির্ধারণ করেন যার বর্তমান মূল্য মাত্র ২৭০০ টাকা প্রায়। যাদের নিয়মিত আয়ের উৎস নেই, ব্যবসা নেই ও ভূমি নেই তাদের জিজিয়া মাফ করে দিয়েছেন আবু বকর রা.
মুসলিমরা জিজিয়া দিতে হতো না কারণ তারা রাষ্ট্রের নিরাপত্তায় তাদের জান ও মাল সমর্পন করতে বাধ্য হতো। রাষ্ট্রের নিরাপত্তায় যুদ্ধ করা ও সম্পদ ব্যয় করা মুসলিমদের জন্য ফরজ। রাষ্ট্রের প্রয়োজনে মুসলিমদের আর বেশি টাকা দিতে হয়। সুতরাং জিজিয়া হলো নামমাত্র একটা সাহায্য নেওয়া যার মাধ্যমে অমুসলিমরা নিশ্চিত করবে তারা এই রাষ্ট্রের প্রতি অনুগত। আর রাষ্ট্রও এই আনুগত্যের জন্য তাদের নিরাপত্তা বিধান করবে।
৫. জমি ইজারা
রাষ্ট্রের মালিকানাধীন জমি কৃষকদের কাছে ইজারা দিয়ে সেখান থেকে উৎপন্ন ফসলের নির্দিষ্ট অংশ আয় করা ছিল বাইতুলমালের আয়ের উৎস।
৬. গনিমতের এক পঞ্চমাংশ
রাসূল সা.-এর সময় গনিমত বা যুদ্ধলব্ধ সম্পদের পাঁচভাগের এক ভাগ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হতো। এর আবার পাঁচ ভাগ করা হতো। ১ম ভাগ রাসূল সা.-এর, ২য় ভাগ রাসূল সা.-এর আত্মীয়দের, ৩য় ভাগ ইয়াতিমদের, ৪র্থ ভাগ মিসকিনদের এবং ৫ম ভাগ মুসাফিরদের। আবু বকর রা.-এর সময়ে গণিমতের সম্পদ একইভাবে ভাগ হতো। ১ম ভাগ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা থাকতো, বাকি ভাগগুলো আহলে বাইত, ইয়াতিম, মিসকিন ও মুসাফিররা পেয়ে যেত। রাসূল সা.-এর অংশ দিয়ে যুদ্ধ সরঞ্জাম কেনা হতো।
৭. ফাই
যুদ্ধ ছাড়াই শত্রুপক্ষ থেকে যেসব সম্পদ অর্জিত হতো সেগুলোকে ফাই বলা হয়। ফাইয়ের পুরোটাই বাইতুলমালে জমা হতো।
৮. খনিজ সম্পদ
খনির মালিক রাষ্ট্র। এর আয় বাইতুলমালে জমা হতো।
বাইতুলমালের ব্যয়ের খাত
খলিফাতুর রাসূল আবু বকর রা.-এর সময়ে বাইতুল মাল থেকে যেসব খাতে ব্যয় করা হতো তা নিম্নরূপ
১. রাসূল সা.-এর প্রতিশ্রুতিসমূহ
রাসূল সা. তাঁর জীবদ্দশায় যাকে যাকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সেগুলো বাইতুল মাল থেকে পরিশোধ করেছেন আবু বকর রা.
২. সরকারি অর্থের সমবন্টন
বিভিন্ন খাত থেকে আসা অর্থ যখন রাষ্ট্রের প্রয়োজন পূরণ করে অতিরিক্ত থাকতো আবু বকর রা. তখন সেগুলো জনগণের মধ্যে সমবন্টন করে দিতেন।
৩. প্রশাসক/ কর্মকর্তাদের ভাতা
প্রশাসক বা কর্মকর্তাদের মধ্যে কারো প্রয়োজন হলে তাদেরকে বাইতুলমাল থেকে ভাতা দেওয়া হতো।
৪. আবু বকর রা. এর ভাতা
আবু বকর রা. খলিফা হওয়ার পরও যখন কাপড়ের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এতে রাষ্ট্রের কাজ ও ব্যবসার কাজ দুটোই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছিল। উমার রা. এবং সাহাবাদের অনুরোধে তিনি বাইতুলমাল থেকে ভাতা গ্রহণ করেন। এটা ছিল নিতান্তই সামান্য। ততটুকু নিতেন যতটুকু নিলে তার পরিবারের খরচ মিটে।
৬. গনিমতের এক পঞ্চমাংশ বিতরণ
রাসূল সা.-এর সময় গনিমত বা যুদ্ধলব্ধ সম্পদের পাঁচভাগের এক ভাগ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হতো। এর আবার পাঁচ ভাগ করা হতো। ১ম ভাগ রাসূল সা.-এর, ২য় ভাগ রাসূল সা.-এর আত্মীয়দের, ৩য় ভাগ ইয়াতিমদের, ৪র্থ ভাগ মিসকিনদের এবং ৫ম ভাগ মুসাফিরদের। আবু বকর রা.-এর সময়ে গণিমতের সম্পদ একইভাবে ভাগ হতো। ১ম ভাগ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা থাকতো, বাকি ভাগগুলো আহলে বাইত, ইয়াতিম, মিসকিন ও মুসাফিররা পেয়ে যেত। রাসূল সা.-এর অংশ দিয়ে যুদ্ধ সরঞ্জাম কেনা হতো।
৭. জায়গীর প্রদান
কোনো ভালো কাজের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি স্বরূপ মুসলিমদের রাষ্ট্রের জমির কিছু অংশ দেওয়া হতো ব্যবহার করার জন্য। এটাকে জায়গীর বলা হয়। এর মাধ্যমে ঐ ব্যক্তি জমির মালিক হয়ে যেতেন না। জমি রাষ্ট্রেরই থাকতো। তবে উপকারভোগী হতেন ঐ ব্যক্তি ও তার পরিবার।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন