১৯৪৭ সালে শেখ মুজিব নাইমুদ্দিনকে আহবায়ক করে ইস্ট পাকিস্তান মুসলিম স্টুডেন্টস লীগ (ছাত্রলীগ) গঠন করেন। সেই থেকে এখন পর্যন্ত ছাত্রলীগ ৩০ জন সভাপতি পেয়েছে।
অত্যন্ত অবাক করা ব্যাপার এই ৩০ জনের অর্ধেকও আওয়ামীলীগে যুক্ত থাকতে পারে নি। তারা ভিন্ন দলে চলে গেছে বা আওয়ামী লীগের সাথে অভিমান করে রাজনীতি থেকে দূরে চলে গেছেন।
৩০ জনের মধ্যে আওয়ামীলীগ করেছেন ১৪ জন, ভিন্ন দল করেছেন ১০ জন, নিষ্ক্রিয় থেকেছেন ৪ জন, বহিষ্কৃত হয়েছেন ২ জন।
যারা ভিন্ন দল করেছেন তাদের মধ্যে বিএনপি করেছেন ৫ জন, কৃষক প্রজা পার্টি করেছেন ২ জন, জাসদ করেছেন ১ জন, জাতীয় পার্টি করেছেন ১ জন ও গণফোরাম করেছেন ১ জন।
সর্বপ্রথম আহ্বায়ক ও সর্বশেষ কেন্দ্রীয় সভাপতি হয়েছেন বহিষ্কৃত।
সালভিত্তিক কেন্দ্রীয় সভাপতিদের তালিকা দেখুন
১৯৪৭ - নাঈমুদ্দিন - বহিষ্কৃত
১৯৪৭ - দবিরুল ইসলাম - কৃষক প্রজা পার্টি
১৯৫০ - খালেক নেওয়াজ খান - কৃষক প্রজা পার্টি
১৯৫২ - কামরুজ্জামান - আওয়ামীলীগ
১৯৫৩ - আব্দুল মোমিন তালুকদার - আওয়ামীলীগ
১৯৫৭ - রফিক উল্লাহ চৌধুরী - আওয়ামীলীগ (আমলা)
১৯৬০ - শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন - বিএনপি
১৯৬৩ - কে এম ওবায়েদুর রহমান - বিএনপি
১৯৬৫ - সাইয়েদ মাযহারুল হক বাকি - নিষ্ক্রিয়
১৯৬৭ - ফেরদৌস আহমেদ কোরেশি - বিএনপি, পিডিপি
১৯৬৮ - আব্দুর রঊফ - নিষ্ক্রিয়
১৯৬৯ - তোফায়েল আহমদ - আওয়ামী লীগ
১৯৭০ - নূরে আলম সিদ্দিকী - নিষ্ক্রিয়
১৯৭২ - শেখ শহিদুল ইসলাম - জাতীয় পার্টি
১৯৭৩ - মনিরুল হক চৌধুরী - বিএনপি
১৯৭৬ - এম এ আউয়াল - জাসদ
১৯৭৭ - ওবায়েদুল কাদের - আওয়ামী লীগ
১৯৮১ - মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন - আওয়ামী লীগ
১৯৮৩ - আব্দুল মান্নান - আওয়ামী লীগ
১৯৮৬ - সুলতান মনসুর - গণফোরাম
১৯৮৮- হাবিবুর রহমান - বিএনপি
১৯৯০ - শাহে আলম - আওয়ামী লীগ
১৯৯২ - মাইনুদ্দিন হোসাইন চৌধুরী - নিষ্ক্রিয়
১৯৯৪ - এনামুল হক শামীম - আওয়ামীলীগ
১৯৯৯ - বাহাদুর ব্যাপারি - আওয়ামী লীগ
২০০২ - লিয়াকত শিকদার - আওয়ামী লীগ
২০০৬ - মাহমুদ হোসেন রিপন - আওয়ামী লীগ
২০১১ - বদিউজ্জামান সোহাগ - আওয়ামীলীগ
২০১৫ - সাইফুর রহমান সোহাগ - আওয়ামীলীগ
২০১৮ - রেজোয়ানুল হক শোভন - বহিষ্কৃত
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন