১৫ মার্চ, ২০২২

ছাত্রলীগের খুনের রাজনীতি



ছাত্রলীগ যেন একটি সব্যসাচী দল। যাদের কাছে খুন, রগ কাটা, নির্যাতন একটি সহজ ও রুটিন কাজে পরিণত হয়েছে। জাতীয় পত্রিকা ও গণমাধ্যমগুলোর রিপোর্টে এমন চিত্রই ফুটে উঠেছে। দৈনিক প্রথম আলো, যুগান্তর ও সাপ্তাহিক সোনার বাংলার রিপোর্ট ও কেস স্টাডিতে দেখা যায় গত ২০০৯ সাল থেকে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ একাই খুন করেছে অন্তত ২৫৩ জনকে। এর মধ্যে একটা বড় অংশ নিজ দলের নেতাকর্মী। বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী ঘৃণিত জঙ্গি সংগঠনসমূহের টোটাল স্টুডেন্টস হত্যা, এমনকি জঙ্গিদের হাতে সাধারণ মানুষ হত্যার হার, সংঘর্ষের হার ও হতাহতের হারকে ছাত্রলীগ ছাড়িয়ে গেছে মাত্র ১৩ বছরে।

প্রতি বছরেই তারা খুন করেছে প্রায় ১৮ জনকে। প্রকাশ্যে বিশ্বজিৎ হত্যাকান্ড, ঢাবির মেধাবী ছাত্র আবু বকর হত্যাকান্ডে দেশব্যাপী তোলপাড় শুরু হয়। তাছাড়া ২০১০ সালে বরিশাল পলিটেকনিকে দু’পক্ষের সংঘর্ষের সময় নজরুল ইসলামকে ধরে রেখে চুরি দিয়ে মুহুর্মুহু কোপানির দৃশ্য মানুষের মনে বীভৎসতার নতুন চিত্র তুলে ধরে। তাদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি শিশু ও সাংবাদিকও। ছাত্রলীগ নেতা তপুর নির্দেশে এসপি ফজলুল করিমকে হত্যা করা হয়।

ছাত্র সংগঠনটি শিক্ষা ও প্রগতির পথ ছেড়ে রুপান্তরিত হয় কিলিং মিশিনে। দৈনিক প্রথম আলোর রিপোর্টে দেখা যায়, ২০০৯-২০১৪ সালের ২১ নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ বছরে সংঘর্ষ হয় অন্তত ৪৩২ টি, আহত হয় ১ হাজার ৫শতাদিকেরও বেশি। প্রথম পাঁচ বছরে খুন হয়েছে ৫৫ জন, কিন্তু পরবর্তী ৫ বছরে খুন হয় ১২৯ জন; যা প্রথম ৫ বছেরর খুনের সংখ্যার দ্বিগুণেরও বেশি। দ্যা ডেইলি স্টার বাংলার রিপোর্টে দেখা যায় প্রথম আট বছরে ছাত্রলীগ হত্যা করে ১২৫ জনেরও বেশি। শুধু ২০১৮ সালেই ছাত্রলীগ হত্যা করে ৩১ জনকে(নভেম্বর পর্যন্ত)। প্রথম পাঁচ বছরের আহত(১,৫০০’র অধিক) ও সংঘর্ষের সংখ্যা দেখে বুঝা যায় শেষ পাঁচ বছরে আহত ও সংঘর্ষের সংখ্যা কেমন হতে পারে; যেখানে খুন হয়েছে দ্বিগুণের বেশি।

কেন খুনোখুনি করে ছাত্রলীগ?
পত্রিকাসমূহের রিপোর্ট ও কেস স্টাডিতে উঠে আসে এসব হত্যার পিছনে রয়েছে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, আধিপত্য বিস্তার, দলীয় কোন্দল, মাদকাসক্তি, অস্ত্রবাজি, পদের লোভ ও নারীঘটিত সমস্যা। হত্যাকান্ডের বিচারে না হওয়া আর হলেও প্রকৃত অপরাধীদের যথোপযুক্ত শাস্তি না হওয়ায় তাদের খুনের পরিমাণ দিনদিন বেড়েই চলেছে। প্রথম আলোর তথ্যমতে, শুধু ২০১৮ সালের ২৬শে নভেম্বর পর্যন্ত ১১ মাসেই তারা হত্যা করেছে ৩১ জনকে। সাধারণ মানুষের মনে এখন প্রশ্ন জেগেছে আর কত খুন হলে, আর কত স্বজন হারালে ছাত্রলীগকে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে চিহ্নত করে নিষিদ্ধ করা হবে। প্রথম আলোর কেস স্টাডিতে উঠে আসে ছাত্রলীগের হত্যাকাণ্ড ও অন্তকোন্দলের ঘটনায় একশরও বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়েছে বারে বারে; শিক্ষার সুস্থ পরিবেশ ব্যহত হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সমূহে।

কিছু আলোচিত হত্যাকাণ্ড
২০০৯ সালের ১৩ মার্চ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান নোমানীকে হত্যার মধ্যে দিয়ে ছাত্রলীগ খুনের যাত্রা শুরু করে, ৮ ফেব্রুয়ারি চবিতে দুই শিবিরকর্মী মুজাহিদ ও মাসুদকে, ৩১ মার্চ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ ওরফে রাজীবকে খুন করে ছাত্রলীগ। এছাড়া ২০১০ সালের ৭ জানুয়ারি রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ছাত্রমৈত্রীর সহ-সভাপতি রেজানুল ইসলাম চৌধুরী, ৮ জানুয়ারি জাবির ছাত্রলীগ কর্মী জুবায়ের আহমেদকে, ২১ জানুয়ারি পাবনা টেক্সটাইল কলেজের ছাত্রলীগ কর্মী মোস্তফা কামাল শান্ত, ৮ ফেব্র“য়ারি (ছাত্রলীগের দাবি) ফারুক হোসেন, ১১ ফেব্রুয়ারি রাবির মহিউদ্দিন, ২৮ মার্চ হারুন অর রশিদ কায়সার, ১৫ এপ্রিল আসাদুজ্জামান, ১৫ আগস্ট নাসিম এবং ১৬ জুলাই অভ্যন্তরীণ কোন্দলে খুন হন ছাত্রলীগ কর্মী সোহেল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ ফেব্রুয়ারি ছাত্রলীগ-পুলিশের সংঘর্ষে নির্মমভাবে খুন হন নিরীহ ও মেধাবী ছাত্র আবু বকর। ১২ জুলাই সিলেট এমসি কলেজে ছাত্রলীগ কর্মী পলাশকে খুন করে।

২০১৪ সালের ৪ এপ্রিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রুস্তম আলী আকন্দ নিজ কক্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের এই ছাত্র পরবর্তী সম্মেলনে সংগঠনের ওই হল শাখার সভাপতি পদপ্রার্থী ছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, পদ নিয়ে সংগঠনের নেতা-কর্মীদের অন্তঃকোন্দলেই প্রাণ হারান তিনি। এ হত্যাকাণ্ডের বহু বছর পেরিয়ে গেলেও হত্যায় জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে পারেনি পুলিশ।

২০১০ সালের ১৫ আগস্ট ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ মখদুম হলের তিনতলার ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হলে ছাত্রলীগ নেতা নাসিরুল্লাহ নাসিম মারা যান।

২০১৪ সালের ১৪ জুলাই অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে কুপিয়ে হত্যা করা হয় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাঈমুল ইসলামকে। ঘটনায় জড়িত থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই হত্যার বিচার তো দূরের কথা অভিযোগ পত্রই তৈরি করতে পারেনি পুলিশ।

২০১৪ বছরের ৩১ আগস্ট ঢাকায় সমাবেশ শেষ করে ফেরার পথে ট্রেন থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করা হয় চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা তৌকির ইসলামকে। আসনে বসা নিয়ে বিবাদের সূত্র ধরে সাতকানিয়া ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী তাঁকে ট্রেন থেকে ছুড়ে ফেলে দেন। তাঁকে টঙ্গীর নিমতলী থেকে উদ্ধারের পর ঢাকা মেডিকেল কলেজে নেওয়ার পর মারা যান তৌকির। এ ঘটনায় কোনো মামলা পর্যন্ত হয়নি।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের নিজেদের সংঘর্ষে প্রথম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে ওই বছরের ৩০ মার্চ। ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিহত হন কলেজ ছাত্রলীগের একাংশের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আসাদ। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যায় কলেজ। কিন্তু ওই ঘটনারও কোনো সুরাহা হয়নি।

এ ছাড়া ২০১০ সালের ১২ জুলাই সিলেট এম সি কলেজের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী উদয়েন্দু সিংহকে কুপিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের একটি অংশ। একই বছরের ১৯ জুলাই রাজধানীর গোড়ানে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে খুন হন ছাত্রলীগের নেতা আলী রেজা। ২০১১ সালের ৯ জানুয়ারি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের কর্মী জুবায়ের আহমেদ একই সংগঠনের কর্মীদের হামলায় নিহত হন। ২০১২ সালের ১৬ জুলাই অভ্যন্তরীণ কোন্দলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে ছাত্রলীগের নেতা আবদুলাহ আল হাসান সোহেল মারা যান।

ছাত্রলীগের হত্যাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত হত্যাকাণ্ড ছিল প্রকাশ্যে মিডিয়ার সামনে কুপিয়ে বিশ্বজিৎ হত্যা। রাজনীতি যে এত নিষ্ঠুর, মানুষ যে এত নৃশংস এবং একটি ছাত্রসংগঠন যে এমন দানব হতে পারে, তা ভাবলেও গা শিউরে ওঠে। বিশ্বজিৎ দাস নামের যে যুবকটি রোববার ভোরে বাসা থেকে নিজের কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন, তিনি কি ঘুণাক্ষরেও চিন্তা করছিলেন, মৃত্যুদূত তাঁর সামনে অপেক্ষা করে আছে। আর সেই মৃত্যুদূতের নাম ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগ নামধারী কতিপয় দুর্বৃত্ত তাঁকে পিটিয়ে, কুপিয়ে পুরো শরীর রক্তাক্ত করে হত্যা করেছে। রক্তে পুরো শরীর, জামাকাপড় ভেসে যাচ্ছে, তিনি করজোড়ে ক্ষমা চাইছেন, বারবার বলছেন, ‘আমি রাজনীতি করি না, আমি ছাত্রদল বা শিবির করি না, আমি হিন্দু। আমি দরজিখানায় কাজ করি।’ কিন্তু ছাত্রলীগের বীর পুঙ্গবেরা তাঁকে ক্ষমা করেনি। সর্বশক্তি নিয়ে তাঁর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে। যখন যুবকটি তাদের হাত থেকে ছাড়া পেয়ে কাছের হাসপাতালে যেতে চাইলেন তাতেও তারা বাদ সাধল। ওরা তাঁকে চিকিৎসাও নিতে দেবে না।

এই হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে দেশের মানুষ ভেবেছিলো এই হত্যার হয়তো সঠিক বিচার হবে। ছাত্রলীগের হত্যাকাণ্ডের মধ্যে শুধু এই হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছিলো। কিন্তু হাসিনা সরকার বিচারালয়কে ব্যবহার করে সমস্ত ছাত্রলীগের খুনীদের সাজা মওকুফ করে নিয়েছে। যাদের সাজা হয়েছে তারা সবাই পলাতক। নামে পলাতক হলেও তারা আসলে পলাতক নয়। কিন্তু রহস্যজনক কারণে পুলিশ তাদের এরেস্ট করছে না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু বকর হত্যার ঘটনা ঘটে ২০১০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি। সেদিন এফ রহমান হলে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মেধাবী ছাত্র আবু বকর নিহত হন। বহু বছর পেরিয়ে গেলেও ওই ঘটনার বিচার হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দিলেও বিচার পায়নি আবু বকরের পরিবার।

বকরের বাবা রুস্তম আলী (৭০) আক্ষেপ করে প্রথম আলোকে বলেন, ‘যারা মারামারি করল, তারা ক্লাস করে, রাজনীতি করে। কিন্তু আমার সোনার ছেলে মইর‌্যা গেল, কোনো বিচার নাই। আমি একটা দিনমজুর। আমার জজ-ব্যারিস্টার, এমপি-মিনিস্টার নাই। আমি ক্যামনে তাদের সাথে পারমু?’

২০১৬ সালের ২০ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকায় একটি ভবনের দ্বিতীয় তলার ভাড়া বাসা থেকে দিয়াজের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সেদিন বাসায় দিয়াজ ছাড়া পরিবারের আর কেউ ছিল না।

ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দিয়াজ গ্রুপের প্রধান দিয়াজ ইরফান চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৫ কোটি টাকার টেন্ডারের বলি হয়েছেন!

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহসম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরী আত্মহত্যা করেননি, তাঁকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে—দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল রোববার বিকেলে প্রথম আলোকে এ কথা বলেছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) চট্টগ্রাম অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. হুমায়ুন কবির।

ছাত্রলীগের খুনের কিছু খন্ডচিত্র 

সিলেটে অভ্যন্তরীণ বিরোধে ফের ছাত্রলীগ কর্মী খুন
সিলেটে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ বিরোধে খুন হয়েছেন সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ছাত্র  ও ছাত্রলীগ কর্মী কাজী হাবীব। মঙ্গলবার রাত ১১টায় নগরীর নয়াসড়ক মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। কোতোয়ালী থানার ওসি সোহেল আহমদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত হাবীব সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিবিএ চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় বলে জানা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় নগরীর শামীমাবাদে অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মাঠে হোসাইন আহমদ সাগর ও সোহেলের নেতৃত্বে একদল ছাত্রলীগ কর্মী হাবীবের উপর হামলা চালায়। এ সময় তাকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে তারা। পরে আশপাশের শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। তার অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
২০ জানুয়ারি ২০১৬/ বাংলা ট্রিবিউন

পলাশ থেকে মিয়াদ ছাত্রলীগের হাতে ১০ খুন! কমিটি বিলুপ্ত: তদন্ত কমিটি গঠন
২০১০ সালের ১২ জুলাই সিলেট নগরীর টিলাগড়ে অভ্যন্তরীণ বিরোধের জেরে নিজ সংগঠনের ক্যাডারদের ছুরিকাঘাতে খুন হন উদেয়েন্দু সিংহ পলাশ। এমসি কলেজের গণিত বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র ও ছাত্রলীগ কর্মী ছিলেন উদয়েন্দু সিংহ পলাশ। ২০০৮ সালে মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর এটাই ছিল ছাত্রলীগের হাতে প্রথম প্রাণহানীর ঘটনা। উদয়েন্দু সিংহ পলাশ হত্যাকান্ডের ঘটনায় ছাত্রলীগের ৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০-১৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন নিহতের বাবা বীরেশ্বর সিংহ। পরবর্তীতে মূল অভিযুক্তদের বাদ দিয়ে ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। এই মামলার বিচার আজও শেষ হয়নি। এরপর গত ৭ বছরে ছাত্রলীগের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৯ জন। এর মধ্যে একজন ব্যবসায়ী ছাড়া বাকি সবাই নিজ সংগঠনের নেতাকর্মী। ৭ বছরে ১০টি খুনের ঘটনা ঘটলেও এখন পর্যন্ত কোন হত্যা মামলার বিচার সম্পন্ন হয়নি। ফলে এসব হত্যাকান্ডের বিচার নিয়ে নিহতের পরিবার ও সহকর্মীদের মধ্যে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
১৯ অক্টোবর ২০১৭/ সিলেটের দিনকাল 

কলেজছাত্র খুন: ছাত্রলীগ নেতার বাসা থেকে রক্তমাখা অস্ত্র উদ্ধার
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী নাঈম ইসলাম হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে পুলিশ প্রথম থেকেই ছাত্রলীগ নেতা অনন্ত শ্রাবন বিষুকে সন্দেহ করে আসছিল। এই বিষুর ভাড়া করা বাসা থেকেই গতকাল রোববার (১৮ নভেম্বর) রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রক্তমাখা অস্ত্রসহ অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার করেছে।
১৯ নভেম্বর ২০১৮/ সিলেট ভয়েস

নারীঘটিত বিরোধে খুন ছাত্রলীগ নেতা রাকিব
নারীঘটিত বিরোধে ছাত্রলীগ নেতা রাকিব হোসেন হামজাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।এ ঘটনায় সজীব ও জসিম নামে দু'জন এবং অজ্ঞাতপরিচয় পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করে বনানী থানায় মামলা করেছেন নিহতের বাবা আলতাফ হোসেন। তবে জড়িত কেউ এখনও গ্রেফতার হয়নি। এজাহারে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১২টার দিকে রাজধানীর মহাখালীর কড়াইলের টিঅ্যান্ডটি কলোনিতে রাকিব ও তার বন্ধু নূর ইসলামকে উপর্যুপরি কোপায় সজীব ও জসিম এবং অজ্ঞাত পাঁচ-ছয়জন। গুরুতর অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক রাকিবকে মৃত ঘোষণা করেন। নূর ইসলাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
৭ ডিসেম্বর ২০১৮/ সমকাল 

মেয়েকে উত্ত্যক্তের ঘটনায় বাবা খুন, ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে মেয়েকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই ব্যক্তি মারা যান। দুপুরে উপজেলার পাটগ্রাম এলাকায় হামলার শিকার হন তিনি। পুলিশ অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে। নিহত ব্যক্তির নাম আবদুর রউফ (৪৫)। গ্রেপ্তার হয়েছেন আমিনুল ইসলাম (২৮)। তিনি কাজিপুর পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।
২ অক্টোবর ২০১৯/ প্রথম আলো 

স্কুল ছাত্রকে গুলি করে হত্যা করলো ছাত্রলীগ সভাপতি
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটিতে সভাপতির পদ পেয়েই বেপরোয়া থেকে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম মিসবাহ। গত ২৭ মে ২০২০ বুধবার পাঠাগারে জুয়া খেলার প্রতিবাদ করায় আইয়ুব আলী নামের ১৫ বছরের এক স্কুল ছাত্রকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠে। নিহত পরিবারের অভিযোগ কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন  ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম মিসবাহ পিস্তল দিয়ে আইয়ুবের মাথায় গুলি করলে সে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। 
৩০ মে ২০২০/ দৈনিক আধুনিক বাংলা 

ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে খুন, নির্যাতন, নৃশংসতার পাঁচ চাঞ্চল্যকর অভিযোগ
আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা ও কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। তাদের কর্মীদের হাতে নৃশংসভাবে খুন ও নির্যাতনের অনেক ঘটনা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বার বার সংবাদ শিরোণাম হয়েছে। যারা এরকম ঘটনার শিকার হয়েছেন তাদের মধ্যে সাধারণ শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ যেমন আছেন, তেমনি নিজের দলের অনেক নেতা-কর্মীও রয়েছেন। গণমাধ্যমে সমালোচনা-বিতর্কের ঝঙ উঠলেও এসব ঘটনায় দায়ীদের খুব কম ক্ষেত্রেই বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে।
৮ অক্টোবর ২০১৯/ বিবিসি বাংলা

১০ বছরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের যত খুন!
গত ১০ বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), বুয়েট, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ (চবি) দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসে লাশ হয়েছেন ২৪ জন শিক্ষার্থী।এই ২৪ জনের মধ্যে রয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮ জন, রাজশাহীতে ৫ জন, ময়মনসিংহ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ জন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ জন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ জন, দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩ জন। এছাড়াও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও ৩ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এসব হত্যাকান্ডের ১৭টি ঘটেছে ছাত্রলীগের আভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে! বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, লেজুড়ভিত্তিক ছাত্ররাজনীতি, বিচারহীনতার সংস্কৃতি, ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের আধিপত্য বিস্তার, অভ্যন্তরীণ কোন্দল, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজির কারণেমূলত এসব হত্যাকান্ড ঘটেছে।
৮ অক্টোবর ২০১৯/ যুগান্তর

বুয়েট ছাত্র আবরার খুন, ১১ নেতা ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার
বাংলাদেশ প্রকৌশল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় ছত্রলীগ থেকে ১১ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে গঠিত তদন্ত কমিটির তথ্যের ভিত্তিতে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় সংগঠনটির ১১ জন নেতা-কর্মীকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। সোমবার রাতে ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রতিক অনাকাঙ্খিত ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তাদেরকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতরা হলেন- বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহতাসিম ফুয়াদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদেী হাসান রবিন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার, ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, সাহিত্য সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, উপ সমাজসেবা সম্পাদক মোশাররফ সকাল, উপ দপ্তর সম্পাদক  মুজতবা রাফিদ, সদস্য মুনতাসির আল জেমি, সদস্য এহতেমামুল রাব্বি তানিম ও মুজাহিদুর রহমান।
৮ অক্টোবর ২০১৯/ ক্যাম্পাস লাইভ

বিগত ১০ বছরে ছাত্রলীগের হাতে খুন ৩৩ মেধাবী ছাত্র
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট সরকার গঠিত হওয়ার পর থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত গত ১০ বছরে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খুন হয়েছেন ৩৩ জন মেধাবী ছাত্র। ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের আধিপত্য বিস্তার, সিট দখল, হল দখল নিয়ে অভ্যন্তরীণ কোন্দল, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি মূলত এসব হত্যাকান্ডের প্রধান কারণ।
১৪ অক্টোবর ২০১৯/ সংগ্রাম 

‘ছাত্রলীগ মানেই খুন-র‌্যাগিং’
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ছাত্ররাজনীতি থাকলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার হত্যাকান্ড হতো না। রাত আটটার সময় আবরারকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন যদি ক্যাম্পাসে ছাত্রদল, বামপন্থী ছাত্র সংগঠন এবং অন্যান্য ছাত্র সংগঠন থাকতো তাহলে আবরারকে ধরে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ-মিছিল বের হতো, সাংবাদিকদের ফোন দেওয়া হতো, পুলিশ আসতো। আবরার হত্যা হয়তো ঠেকানো যেত। তিনি আরও বলেন, আবরার হত্যাকান্ড এখন সমগ্র জাতির ওপর চাপিয়ে দেয়ার ষঙযন্ত্র চলছে। এই হত্যাকান্ড ছাত্রলীগ ঘটিয়েছে। এই হত্যাকান্ডের সঙ্গে আর কোনো রাজনৈতিক ছাত্র ও সামাজিক সংগঠন জডড়ত ছিল না। তাই ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার কথা ছিল। কিন্তু ষঙযন্ত্র করে সমগ্র ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার চেষ্টা চলছে।
১৭ অক্টোবর ২০১৯/ আমার সংবাদ 

যশোরে ছাত্রলীগ নেতাদের কোন্দলে যুবক খুন
যশোরে ছাত্রলীগের দুই নেতার মাটি কেনাবেচার ব্যবসার বিরোধের কোন্দলে এক যুবক খুন হয়েছে। তবে এতে জড়িত থাকা সন্দেহে কয়েকজনকে আটক করলেও পরিচয় জানায়নি পুলিশ। সোমবার গভীর রাতে সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের গ্রামের মাস্টারপাড়ায় ব্যবসায়িক কোন্দল নিয়ে এই ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জিএম সবুজ হাসান ও বর্তমান সভাপতি শাহিন হাসানের পক্ষের মধ্যে সমঝোতা বৈঠককালে এ হত্যাকান্ড ঘটে বলে স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন।
১০ ডিসেম্বর ২০১৯/ বিডিনিউজ২৪ 

ছাত্রদল নেতা অভি হত্যা মামলায় ৪ ছাত্রলীগ কর্মী গ্রেফতার
চট্টগ্রাম নগরের ডবলমুরিং থানা ছাত্রদল নেতা অভি হত্যা মামলায় ৪ ছাত্রলীগ কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকালে তাদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৩ জুলাই) ভোরে নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতারকে করা হয়। গ্রেফতাররা হলেন- মো. শাহরিয়ার ফারদিন প্রকাশ তুহিন (১৯), মো. ইয়াছিন আরাফাত প্রকাশ টিটু (৩০), মো. ইরফান প্রকাশ বাবু (২৩) ও মো. ইব্রাহিম মুন্না (২৬)। পুলিশ জানায়, গ্রেফতার চারজন নিজেদের ছাত্রলীগ কর্মী বলে পরিচয় দেয়। 
৩ জুলাই ২০২০/ জাগো নিউজ 

ভাইকে খুন, বোনকে নিপীড়নের অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে
চট্টগ্রামের আকবর শাহ এলাকায় ছোট বোনকে কুপ্রস্তাবের প্রতিবাদ করায় বখাটের হামলায় খুন হয়েছেন বড় ভাই। এই হত্যার বিচার চেয়ে মামলা করায় উল্টো বাদির পরিবারকে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। এ হত্যা নিয়ে কতিপয় পুলিশ কর্তাদের অবহেলার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে রেশমী আক্তার নামের এক তরুণী। সোমবার (৩১ আগস্ট) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওই তরুণী অভিযোগ করে বলেন, হত্যামামলা দায়েরের পর আকবরশাহ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি জুয়েল সিদ্দিক প্রকাশ মেন্টাল জুয়েল, একই এলাকার শহীদ প্রকাশ গুটি, মেম্বার শহীদসহ এলাকার বখাটেরা আমাকে বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি লোকমান আলী, সাধারণ স¤পাদক কাজী আলতাফসহ কতিপয় কিছু আওয়ামী লীগ 
নেতা অপরাধীদের পক্ষ নিয়ে আমাদের হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। 
২ সেপ্টেম্বর ২০২০/ চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন, দুজনই ছাত্রলীগের
ছাত্রলীগের স্থানীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে আনোয়ারা উপজেলা সদরের মা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে কৌশলে ডেকে আনা হয় আশরাফকে। এ সময় সন্দেহভাজন নয়ন সরকার ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করেন আশরাফকে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানোর পর সেখানেই মৃত্যু ঘটে আশরাফের।
২০ ফেব্র“য়ারী ২০২১/ চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বগুড়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু
বৃহ¯পতিবার ধুনট উপজেলায় ছাত্রলীগের দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি সমাবেশকে কেন্দ্র করে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। সেখানে ছাত্রলীগের ডাকা বিক্ষোভ সমাবেশে  যাওয়ার পথে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম স¤পাদক তাকবীর ইসলামের মোটরসাইকেলে ধাক্কা লাগে জেলা ছাত্রলীগের সদস্য জাহিদ হাসানের মোটরসাইকেলের। এতে দুই নেতার মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা ও কথা-কাটাকাটি হয়। এর জেরে ধুনট থেকে বগুড়া শহরের সাতমাথায় ফেরার পর সরকারি আজিজুল হক কলেজ ছাত্রলীগের নেতা আবদুর রউফ ও তাঁর সমর্থকদের সঙ্গে তাকবীর ইসলাম ও তাঁর সমর্থকদের  সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে তাকবীর ইসলাম খানকে ছুরিকাহত করা হয়।
১৬ মার্চ ২০২১/ প্রথম আলো

মুক্তিযোদ্ধাকে কুপিয়ে হত্যা করল 'ছাত্রলীগের' কিশোর গ্যাং
চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলায় মোহাম্মদ শাহজাহান (৬০) নামে আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধাকে কুপিয়ে খুন করেছে একই এলাকার ছাত্রলীগের কিশোর গ্যাংশুক্রবার সকালে উপজেলার ৫নং ওচমানপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ 
শাহজাহান ওচমানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ স¤পাদক ও বর্তমান সদস্য।
২৮ মে ২০২১/ ঢাকা নিউজ ৭১

সিলেটে রাহাত হত্যা: প্রধান আসামি ছাত্রলীগ কর্মী সাদি গ্রেফতার
বৃহ¯পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় দক্ষিণ সুরমা সরকারি কলেজের মূল ফটকের ভেতরে ছুরিকাঘাতে খুন হন পুরান তেতলি গ্রামের সুরমান মিয়ার ছেলে ও কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয়বর্ষের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র আরিফুল ইসলাম রাহাত। তাকে উপুর্যুপুরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় একই কলেজের বহিস্কৃত ছাত্র ও ছাত্রলীগের কর্মী সামসুদ্দোহা সাদি ও তার সহযোগীরা।
২৭ অক্টোবর ২০২১/ যুগান্তর    

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন