দেশের কোটি কোটি বেকার ছাত্রলীগের তাদের ব্যবসার টার্গেট। এদেশে চাকরী পাওয়া মোটেই সহজ ব্যাপার নয়। চাকুরী পাওয়ার জন্য তাই সবাই ক্ষমতাসীনদের কাছে দ্বারস্ত হয়। সকল সরকারি চাকুরীর জন্যই এদেশে ক্ষমতাসীনদের ঘুষ দিতে হয়।
এই কাজে আওয়ামী এমপি, মন্ত্রী ও নেতারা বেশি জড়িত থাকলেও পিছিয়ে ছিল না ছাত্রলীগ। এই ক্ষেত্রেও পুরো নিয়োগ বাণিজ্যের চিত্র থেকে গেছে আড়ালে। যেসব ঘটনায় টাকা নেয়া হয়েছে কিন্তু চাকুরী দেয়া হয়নি এমন কিছু ঘটনা ও টাকা ভাগাভাগি নিয়ে সমস্যা হয়েছে এমন কিছু ঘটনা মিডিয়ায় এসেছে।
যারা টাকার বিনিময়ে চাকুরী পেয়েছেন তারা নিজেদের ধন্য মনে করেছেন তাই তারা এই বিষয়ে চুপ থেকেছেন। গত ছয় বছরসহ পুরো আওয়ামী আমলে পিয়ন, ক্লিনারের চাকুরী থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক পর্যন্ত সকল চাকুরীতে মোটা অংকের ঘুষ প্রদান করা নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। অল্প বেতনের চাকুরীর জন্যও অনেক মোটা অংকের ঘুষ বাধ্যতামূলক হয়ে গেছে ।
ঘুষ দিয়ে চাকুরী নেয়ার ফলে বাংলাদেশের সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতির বেশ প্রসার হয়েছে। প্রত্যেকেই তাদের ঘুষ দেয়া টাকা উদ্ধার করতে সচেষ্ট হয়েছেন দুর্নীতির মাধ্যমে।
২০১৮ সালের ২৮ নভেম্বর কালের কন্ঠে প্রকাশিত একটি খবরের শিরোনাম, ‘ছাত্রলীগ নেতার আপত্তিতে স্থগিত পবিপ্রবিতে নিয়োগ’। ছাত্রলীগ দাবী করেছে তাদের দেয়া তালিকা থেকেই নিয়োগ দিতে হবে।
২১ জানুয়ারী ১৪ সালে বাকৃবি ছাত্রলীগের নিয়োগ বাণিজ্য নিয়ে জনকন্ঠে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেখানে বলা হয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের বেপরোয়া হয়ে ওঠার নেপথ্যে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে টেন্ডারবাজি ও শতাধিক পদে কর্মচারী নিয়োগ বাণিজ্য। ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তারসহ পূর্ব শত্রুতার জের ও নিয়োগ বাণিজ্যে প্রশাসন এবং ছাত্রলীগের ভাগ বাটোয়ারা নিয়েই মূলত শনিবারের সংঘর্ষে নিহত হয় আট বছরের শিশু রাব্বি। চলতি সপ্তাহে এ নিয়োগ চূড়ান্ত হওয়ার কথা ছিল।
এই নিয়োগকে সামনে রেখে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব লাভে স্বপ্নে বিভোর ও ক্ষমতালোভী মিডলেভেলের একটি পক্ষ আজাদ-ইমন নেতৃত্বের বিভেদকে প্রকাশ্যরূপ দিতে পুরো ঘটনাকে উস্কে দেয়। আর এরকম পরিস্থিতিকে ক্যাম্পাসে নিজেদের শক্তির জানান দিতে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়ার এক পর্যায়ে গুলিবিনিময়ে লিপ্ত হয় ছাত্রলীগের দু’গ্রুপ। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মাঠে গরু চড়াতে এসে দুগ্রুপের সশস্র মহড়ার বলি হয়ে লাশ হয় স্থানীয় বয়রা গ্রামের অটো রিকশা চালক দুলালের শিশুপুত্র রাব্বি। অসহায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের কাছে আত্মসমর্পণ করলেও এসব নিয়ে এখন ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী।
তৎকালীন বাকৃবি ভিসি বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ড. রফিকুল হক জনকণ্ঠকে জানান, এটি ছাত্রলীগের নৈতিক অবক্ষয় ছাড়া আর কিছুই নয়। ছাত্রনেতাদের লেজুড়বৃত্তির কারণেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, অফিসার ও কর্মকর্তাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের জিম্মি কর্তৃপক্ষ অনেক সময় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারে না।
১১ জুলাই ২০১৮ তারিখে বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রকাশিত ‘ছাত্রলীগ নেতাকে চাকরি দিতে ইবির নিয়োগ বোর্ড স্থগিত’! শীর্ষক প্রতিবেদনে জানা যায়, ইবি’র ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ড চতুর্থবারের মত স্থগিত হয়েছে। সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতাকে চাকরির সুযোগ করে দিতেই প্রশাসন এবার শিক্ষক নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ড স্থগিত করেছে বলেঅভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ছাত্রলীগ নেতা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আনিচুর রহমান আনিচ। বর্তমানে তিনি কুষ্টিয়া সদর থানা ছাত্রলীগের আহবায়ক।
১৭ সালের ২৭ এপ্রিল প্রথম আলোর প্রতিবেদনে জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বিশেষ কর্মকর্তার’ পদ তৈরি করে এবং নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই ছাত্রলীগের ১২ জন নেতাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।’ এবং এদের বিশেষ যোগ্যতা ‘এরা ছাত্রলীগ করে’। এর আগেও এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন শত শত নিয়োগ হয়েছে শুধু ‘ছাত্রলীগ করে’ এই যোগ্যতায়।
এর আগে ২০১২ সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ছাত্রলীগের ৩১ জন নেতা-কর্মী নিয়োগ পেয়েছেন। এর মধ্যে ২২ জন নিয়োগ পেয়েছেন সাবেক উপাচার্য মেসবাহউদ্দিন আহমেদের সময়ে ২০১২ সালে।
জানতে চাইলে উপাচার্য মীজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের চাকরি দিতে আমি বাধ্য। নিয়োগপ্রাপ্ত ওই ১২ জন কঠোর পরিশ্রমী নেতা-কর্মী ছিলেন। এর মধ্যে দুজন গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার বাসিন্দা। এটাই তাঁদের সবচেয়ে বড় পরিচয়।’ তাহলে সাধারণ প্রার্থীদের কী হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ ছাত্র বা চাকরিপ্রার্থী বলতে কিছু নেই। এখানে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরাই চাকরি পাবেন। এটাই তাঁদের বিশেষ যোগ্যতা।’
নিয়োগ বাণিজ্যের কিছু খন্ডচিত্র
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি ‘যুবলীগের’, সেকশন অফিসাররা ছাত্রলীগের
উপাচার্য (ভিসি) নিজে ছিলেন আওয়ামী যুবলীগের নীতিনির্ধারণী পর্ষদ সভাপতিমন্ডলীর সদস্য। তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ে সেকশন অফিসার পদে ১০ জন ও স্টোর অফিসার হিসেবে একজনকে নিয়োগ দিয়েছেন, যাঁদের নয়জনই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী। বাকি দুজন চাকরি হয়েছে প্রশাসনের ‘পছন্দের’ কোটায়। এ ঘটনা ঘটেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। আর, এই ১১ জনের নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয় ‘একতরফা’ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের দিন ৪ জানুয়ারি।
১০ জানুয়ারি ২০১৪/ প্রথম আলো
নিয়োগের দাবিতে রেজিস্ট্রারের কক্ষে ছাত্রলীগের তালা
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) নেতা-কর্মীদের নিয়োগের দাবিতে রেজিস্ট্রারের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। আজ শনিবার বেলা একটা থেকে দেড়টা পর্যন্ত তারা ওই কক্ষে তালা ঝুলিয়ে রাখে। পরে উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনার পর তালা খুলে দেওয়া হয়। ক্যাম্পাস ও ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, ৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ডেটা প্রসেসর পদে বিজ্ঞাপিত চারটি পদের বিপরীতে ১০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। সেকশন অফিসার পদে একটি পদের বিপরীতে তিনজনের নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়। টেকনিশিয়ান পদে দুটি পদের বিপরীতে দুজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ ছাড়া আরও কয়েকটি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। এসব নিয়োগে নেতাদের কোনো সুপারিশ রাখা হয়নি বলে অভিযোগ এনেছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বেলা একটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আশরাফুল আলমের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪/ প্রথম আলো
ছাত্রলীগ নেতাকে শিক্ষক বানাতে যোগ্যতা শিথিল!
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় ২০১২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে গ্রেডিং পদ্ধতিতে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার উভয়টিতে ন্যূনতম জিপিএ-৩.০ পয়েন্ট এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে পৃথকভাবে ৩.৫ থাকতে হবে। কিন্তু এমন একজন শিক্ষার্থী উক্ত পদে আবেদন করেছেন, যিনি এইচএসসিতে পেয়েছেন ২.৯। তিনি হলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি রন্টু দাশ। বিভাগের প্ল্যানিং কমিটি এর প্রতিবাদ করলেও বিভাগের প্রভাবশালী এক শিক্ষকের চাপে আবেদনপত্রটি গৃহীত হয়। আর এরই মধ্যে শিথিল করা হয় শিক্ষক নিয়োগের যোগ্যতাও। এদিকে, কাল পয়লা এপ্রিল ইতিহাস বিভাগের নির্বাচনী বোর্ডের তৃতীয় দফা সভায় রন্টু দাশের নিয়োগ চূড়ান্ত করার সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
৩১ মার্চ ২০১৪/ প্রথম আলো
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ভন্ডুল করল ছাত্রলীগ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ভন্ডুল করে দিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। দলীয় এক নেতাকে ইন্টারভিউতে সুযোগ না দেওয়ায় তাঁরা ওই পরীক্ষা বন্ধ করে দেন। ওই কারণে বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষক পদে নিয়োগ বন্ধ হয়ে যায়। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাঙে১০টায় উপাচার্যের দপ্তরের সামনে এ ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, শর্ত পূরণ না হওয়ায় ফয়সাল আরেফিন নামের ওই আবেদনকারীকে ইন্টারভিউ কার্ড দেওয়া হয়নি।
১৫ অক্টোবর ২০১৪/ প্রথম আলো
ছাত্রলীগের সেই ১০ জনকে এবার গ্রেড–১–এ নিয়োগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সেকশন অফিসার পদে (গ্রেড-২) নিয়োগ পাওয়া ছাত্রলীগের সাবেক ১০ নেতা-কর্মীকে এক বছরের মাথায় গ্রেড-১-এ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে সেকশন অফিসারের ছয়টি শূন্য পদের উল্লেখ থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ওই পদে ও সমমানের পদে ১০ জনের নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, গত চার বছরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সেকশন অফিসার পদে (গ্রেড-১ ও গ্রেড-২) নিয়োগপ্রাপ্তদের সবাই ছাত্রলীগের সাবেক নেতা-কর্মী। পত্রিকায় নামমাত্র নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এবং অনিয়ম করে তাঁদের নিয়োগ করা হয়েছে। তবে উপাচার্য মীজানুর রহমান বলেছেন, সাক্ষাৎকারে যাঁরা ভালো করেছেন, যাচাই করে তাঁদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
২০ এপ্রিল ২০১৫/ প্রথম আলো
কলেজে তালা দিল ‘যুবলীগ–ছাত্রলীগ’
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বদরখালী কলেজের ১৪টি কক্ষে গতকাল শনিবার যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আলতাফ হোসেন নামের একজন শিক্ষককে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেওয়ার দাবিতে তালা ঝোলানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শিক্ষার্থীরা বলেন, সকাল নয়টায় কলেজের সামনে জড়োহন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। সকাল সাঙেনয়টায় বদরখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হামিদ উল্লাহ ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে তাঁরা কলেজে ঢুকে ২০-২৫ জন শিক্ষার্থীকে বের করে দিয়ে ১৪টি কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন। পরে তাঁরা বদরখালী বাজারে এসে বিক্ষোভ করেন।
২৫ মে ২০১৪/ প্রথম আলো
ছাত্রলীগের অবরোধের মুখে শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডের সভা স্থগিত
ক্যাম্পাস বন্ধ থাকা অবস্থায় সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ রাখার দাবিতে উপাচার্যের কার্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যকে আজ বৃহস্পতিবার তিন ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে ছাত্রলীগ। পরে নিয়োগ বোর্ডের সভা স্থগিতের ঘোষণা দিয়ে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত হন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য।
৪ জুন ২০১৫/ প্রথম আলো
কাজে যোগ দিলেন ছাত্রলীগের নেতারা
নিয়োগকৃত ছাত্রলীগের তিন নেতার মধ্যে একজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও অপর একজনের বিরুদ্ধে দলীয় কর্মীদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ আছে। বাকি দুজন হচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আত্মীয়-স্বজন। এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক বলেন, নিয়োগপত্র দেওয়া হলেও শিক্ষকদের চাপের মুখে ছাত্রলীগের এক নেতাকে কর্মস্থলে যোগদান করতে দেওয়া হয়নি।
ঈদুল ফিতরের ছুটির আগে শেষ কার্যদিবসে ১৩ জুলাই চার ছাত্রলীগ নেতাসহ ছয়জনকে অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগ দেন উপাচার্য। ওই দিনই তাঁদের প্রত্যেককে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। ওই সময় যাঁদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল তাঁরা হচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি রাজিব চক্রবর্তী, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক সোহেল রানা, ছাত্রলীগের সহসভাপতি আবু সৈয়দ জিন্নাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল হোসেন ওরফে দীপু, উপাচার্যের একান্ত সচিব মো. ছানোয়ার হোসেনের স্ত্রী তাসনিমা খন্দকার এবং উপাচার্যের কার্যালয়ের সিনিয়র সর্টার মো. সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মো. আবু হানিফ।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নির্দেশনা ও শিক্ষকদের বিরোধিতা উপেক্ষা করে এ নিয়োগ দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম।
৪ আগস্ট ২০১৫/ প্রথম আলো
নিয়োগ বোর্ড নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ১
শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডকে কেন্দ্র করে গতকাল বৃহস্পতিবার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পক্ষের সঙ্গে সহসভাপতি পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে সাইদুর রহমান নামে ছাত্রলীগের এক কর্মী গুলিবিদ্ধসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন।
গুলিবিদ্ধ সাইদুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তাঁকে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্র নেওয়া হয়। পরে তাঁকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সাইদুরের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন তাঁর পক্ষের নেতা-কর্মীরা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের জন্য গতকাল উপাচার্যের বাংলোতে শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি মিজানুর রহমানের পক্ষের নেতা মো. হালিমের নেতৃত্বে কিছু নেতা-কর্মী দুপুর পৌনে ১২টার দিকে উপাচার্যের কার্যালয়ে গিয়ে তাঁকে এই বোর্ড স্থগিত করতে চাপ দেন। একপর্যায়ে তাঁরা সেখান থেকে সরে এসে প্রশাসন ভবনের ভেতরে হট্টগোল শুরু করেন। দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলামের পক্ষের নেতা শিশির ইসলামের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন কর্মী ঘটনাস্থলে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শিশির পিস্তল বের করে সহসভাপতি পক্ষের সিদ্দিকী আরাফাতকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে সহসভাপতি পক্ষের সাইদুর রহমানের পায়ে লাগে। একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের ধাওয়া খেয়ে সভাপতি পক্ষের কর্মীরা প্রশাসন ভবন থেকে বেরিয়ে গিয়ে দলীয় টেন্টে অবস্থান নেন। সেখানেও তাঁদের ওপর চঙাও হয় সহসভাপতি পক্ষ। এ সময় সংঘর্ষ বেধে গেলে লাঠিসোঁটার আঘাতে সভাপতি-সম্পাদক পক্ষের শিশির ইসলাম, কামরুজ্জামান সাগর, নোমান রবিন, আতাউর রহমান, রাজু আহমেদ এবং সহসভাপতি পক্ষের মো. হালিম, সিদ্দিকী আরাফাত, মো. সবুজ, মো. আলো, অনিক, জুবায়েরসহ ১৪ জন আহত হন।
১৮ ডিসেম্বর ২০১৫/ প্রথম আলো
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বিশেষ কর্মকর্তা’ পদে ছাত্রলীগের ১২ জন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বিশেষ কর্মকর্তার’ পদ তৈরি করে এবং নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই ছাত্রলীগের ১২ জন নেতাকে নিয়োগ দিয়েছেন উপাচার্য মীজানুর রহমান। তাঁদের মধ্যে দুজন সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা, অন্যরা এই বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতা-কর্মী। গত ১৯ মার্চ উপাচার্যের আগের মেয়াদ শেষ হওয়ার এক মাস আগে ফেব্রুয়ারিতে অস্থায়ীভাবে ও চুক্তিভিত্তিক এই ১২ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের ওপর বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে। ২০ মার্চ মীজানুর রহমান দ্বিতীয় মেয়াদে আরও চার বছরের জন্য উপাচার্যের দায়িত্ব পান। এর আগে ২০১২ সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ছাত্রলীগের ৩১ জন নেতা-কর্মী নিয়োগ পেয়েছেন। এর মধ্যে ২২ জন নিয়োগ পেয়েছেন সাবেক উপাচার্য মেসবাহউদ্দিন আহমেদের সময়ে ২০১২ সালে।
২৭ এপ্রিল ২০১৭/ প্রথম আলো
শিক্ষক নিয়োগের প্রশ্নপত্র ফাঁসের চেষ্টা, সাবেক ছাত্রলীগ নেতাসহ আটক ১০
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করার পরিকল্পনার অভিযোগে বরিশালে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাসহ ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার গভীর রাত ও আজ শনিবার সকালে নগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করে কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ। আটক করা ব্যক্তিদের কাছ থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁসে ব্যবহৃত বেশ কয়েকটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও নগদ দেড় লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।
২৬ মে ২০১৮/ প্রথম আলো
অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ১৪২ কর্মচারী নিয়োগ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী পদে ১৪২ জনকে স্থায়ী ও অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাবশালী শিক্ষক-কর্মকর্তাদের আত্মীয়স্বজনের পাশাপাশি ছাত্রলীগের সাবেক নেতারাও রয়েছেন। এমনকি নানা অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত, অস্ত্রধারী এবং মামলার আসামিও নিয়োগ পেয়েছেন। অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় এই নিয়োগ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ জন্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ডামাডোলকে বেছে নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গত ১৭ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫১৯তম সিন্ডিকেট সভায় নিয়োগটি চূড়ান্ত হলেও ওই সভায় নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের নামই উপস্থাপন করা হয়নি।
তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বহিষ্কৃত, অস্ত্রধারী ও মামলার আসামি অন্তত তিনজন নিয়োগ পেয়েছেন। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ছাত্রলীগের সাবেক নেতা-কর্মীদের মধ্যে নিয়োগ পেয়েছেন অন্তত ১৭ জন। এ ছাড়া সিন্ডিকেট সদস্য, রেজিস্ট্রার ও মসজিদের খতিব, প্রভাবশালী শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের সন্তানসহ আত্মীয়স্বজন নিয়োগ পেয়েছেন ১৪ জন।
২৮ জানুয়ারি ২০১৯/ প্রথম আলো
নিয়োগ আটকাতে স্বর্ণপদক পাওয়া প্রার্থীকে ‘অপহরণ’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের স্নাতকে সিজিপিএ-৪-এর মধ্যে ৩ দশমিক ৮৮ এবং স্নাতকোত্তরে ৩ দশমিক ৯৬ পেয়েছিলেন এমদাদুল হক। দুটি পরীক্ষাতেই প্রথম হয়েছিলেন তিনি। এ জন্য অর্জন করেন ‘প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক’। কৃতিত্বপূর্ণ ফলের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার জন্য আবেদন করেন। কিন্তু ছাত্রলীগের কিছু নেতা-কর্মীর বাধায় শিক্ষক নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি তিনি। মৌখিক পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে থেকে তাঁকে ‘অপহরণ’ করে নিয়ে যান ছাত্রলীগের কিছু নেতা-কর্মী। দিনভর আটকে রেখে তাঁকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে টাকা ও মুঠোফোন ছিনিয়ে নেন। পরে ‘শিবিরকর্মী’ আখ্যা দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন। গত ২৭ মার্চ বুধবার এ ঘটনা ঘটে।
১ এপ্রিল ২০১৯/ প্রথম আলো
ঢাবির রোকেয়া হলে ২১ লাখ টাকা নিয়োগ-বাণিজ্যের অভিযোগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের হল সংসদের সহসভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও হল শাখা ছাত্রলীগের দুই নেত্রীর বিরুদ্ধে নিয়োগ-বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলেছেন হলের কয়েকজন ছাত্রী। হলে নিরাপত্তা প্রহরী, পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ কয়েকটি পদে নিয়োগ দিতে তিন ব্যক্তির কাছ থেকে ২১ লাখ টাকা নিয়েছেন তাঁরা, এমন অভিযোগ করেছেন ছাত্রীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে আজ মঙ্গলবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন রোকেয়া হলের প্রায় ১৫ জন ছাত্রী। ছাত্রীদের অভিযোগের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্র ফেডারেশনের কয়েকজন নেতা-কর্মীও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯/ প্রথম আলো
হাবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবনে ছাত্রলীগের তালা
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০ শিক্ষাবর্ষের øাতক প্রথম বর্ষের ২ হাজার ২শ’ শিক্ষার্থীর ওরিয়েন্টেশন ছিল সোমবার। কয়েকদিন ধরে ক্যা¤পাসে ছিল সাজ সাজ রব। নির্মাণ করা হয়েছিল নবীন শিক্ষার্থীদের বরণের জন্য মঞ্চ ও গেট। ক্যা¤পাসজুড়ে স্থাপন করা হয় বিভিন্ন ফেস্টুন।
কিন্তু রোববার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা ১৩ দফা দাবি পূরণ না হওয়ায় ওরিয়েন্টেশনের মঞ্চ ভাংচুর করে। পরের দিন সোমবার ছাত্রলীগের আরেকটি অংশের নেতারা ১১ দফা দাবি আদায়ের জন্য বিক্ষোভ মিছিল ও প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয়। দু’পক্ষের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ক্লাসরুম ও ল্যাব সংকট দ্রুত সমাধান করা, ক্রেডিট ফি কমানো,
যানবাহনের সংখ্যা বাড়ানো, বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের সংখ্যা বাড়ানো ইত্যাদি।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ছাত্রলীগ নেতা জানান, এসব দাবি কিংবা ওরিয়েন্টেশন কোনো বিষয় না। মূল বিষয় হল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের নোটিশে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সেখানে প্রার্থীর তুলনায় খুবই অল্পসংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলেই এ আন্দোলন।
২৮ জানুয়ারি ২০২০/ যুগান্তর
কুয়েটে ছাত্রলীগই শেষ কথা
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) হলের সিট বরাদ্দ, ডাইনিং ও কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগসহ প্রায় সব ক্ষেত্রেই রয়েছে ছাত্রলীগের খবরদারি। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি ছাত্র হল চলে ছাত্রলীগ নেতাদের কথামতো। মেধার ভিত্তিতে সিট বরাদ্দের কথা থাকলেও নেতাদের ‘দয়া’ ছাড়া কোনো শিক্ষার্থী সিট পায় না।
জোর করে ডাইনিং ম্যানেজারের পদও বাগিয়ে নেন নেতারা। বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ নিয়েও বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে। এছাড়া রয়েছে ক্যা¤পাসে মাদক বাণিজ্য ও ভিন্নমতের ‘ট্যাগ’ দিয়ে ছাত্রদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ। কুয়েটের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে কথা বলে এসব অভিযোগ পাওয়া গেছে।
০৬ ডিসেম্বর ২০২১/ যুগান্তর
রাবিতে ছাত্রলীগের কে কোন পদে নিয়োগ পেলেন?
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সদ্য ১৩৭ জনের মধ্যে ৪৭ ছাত্রলীগ -যুবলীগ নেতাকর্মী নিয়োগ পেয়েছেন। যাদের অধিকাংশই নিয়োগ পেয়েছেন তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদে।জাগো নিউজের হাতে আসা একটি তালিকা থেকে বিষয়টি জানা গেছে।
নিয়োগ পাওয়াদের মধ্যে রয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক কমিটির ৩১, মহানগর
ছাত্রলীগের ৯ এবং জেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সাত নেতাকর্মী।তাদের মধ্যে ফিশারিজ বিভাগের প্রভাষক পদে নিয়োগ পেয়েছেন মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ স¤পাাদক তাসকিন পারভেজ। কর্মকর্তা পদে পাঁচজনের মধ্যে রাবি ঘাদানিকের সাবেক সভাপতি মতিউর রহমান, রাবি ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের ছাত্রী বিষয়ক স¤পাদক সোনিয়া তাসনীম, রাবি ছাত্রলীগ কর্মী তারিফুজ্জামান, মুন্নুজান হল ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ স¤পাদক
আয়েশা সিদ্দিকা নিয়োগ পেয়েছেন।
০৬ ডিসেম্বর ২০২১/ যুগান্তর
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন