১৮ এপ্রি, ২০২২

খিলাফত পর্ব-২১ : ইরাকে মুসলিমদের পরাজয় ও পুনরুত্থান


মুসলমানদের হাতে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়ে পার্সিয়ানরা সেনা কমান্ডার জালিনুস পালিয়ে গিয়েছিল। সে নিজের রাজধানীতে ফিরে যাওয়ার পর রুস্তম ওর ওপর প্রচণ্ডভাবে ক্ষুব্ধ হয়। রুস্তম এর প্রতিশোধ নেয়ার জন্য বিশাল বাহিনী তৈরি করে। এর সেনাপতি করে বাহমান হাদাবিয়্যাহকে। মুশরিকদের এই বাহিনী মুসলিমদের মুকাবিলা করার জন্য ফোরাতের তীরে আসে।

ওরা মুসলমানদের নিকট এসে পৌঁছে। উভয় বাহিনীর মাঝে একটি নদী ছিল। সেখানে ছিল একটি সেতু। পার্সিয়ানরা প্রস্তাব দিল যে, হয় তোমরা সেতু পার হয়ে আমাদের নিকট আসো, নতুবা আমরা সেতু পার হয়ে তোমাদের নিকট যাবো। মুসলিম কমান্ডাররা আবু উবাইদকে পরামর্শ দিলেন যাতে মুশরিকরা নদী পার হয়ে এদিকে এসে যুদ্ধ করে। কিন্তু মুসলিম সেনাপতি আবু উবাইদ আস সাকাফি বললেন, আমরা মৃত্যুর ব্যাপারে যত নির্ভীক ওরা ততটা নির্ভীক নয়। এই বলে তিনি সেতু পেরিয়ে নিজ সৈন্যসহ ওদের নিকট পৌঁছে গেলেন। সংকীর্ণ এক জায়গায় সকলে সমবেত হলো। উভয় পক্ষে সেখানে ভীষণ যুদ্ধ হয়। মুসলমান সৈন্যের সংখ্যা ছিল প্রায় দশ হাজার। অন্যদিকে মুশরিক সৈন্যের সংখ্যা ছিল প্রায় ৫০ হাজার। 

পার্সিয়ান মুশরিকরা সাথে করে বড় বড় অনেক হাতি নিয়ে এসেছিল। ওইগুলোর পিঠে ছিল প্রচণ্ড শব্দ সৃষ্টিকারী ঘণ্টা। হাতীগুলো দাঁড়িয়েছিল যাতে মুসলিমদের ঘোড়াগুলো হাতি দেখে আর প্রচণ্ড শব্দ শুনে ভয় পায়। তারা মুসলমানদের উপর হামলা চালায়। বস্তুত বিশাল বিশাল হাতি দেখে এবং প্রচণ্ড ঘন্টাধ্বনি শুনে মুসলিমদের ঘোড়াগুলো ভয়ে পালিয়ে যেতে থাকে। শক্তিপ্রয়োগ করে অল্প সংখ্যক ঘোড়াকে ধরে রাখা সম্ভব হয়। মুসলিমরা তাদের নিয়ে এগুতে পারছে না তদুপরি হাতির ওপর থেকে তীর নিক্ষেপের ফলে ঘোড়াগুলি রক্তাক্ত হয়ে পড়ে। ফলে মুসলিমরা বেকায়দায় পড়ে। 

তারপরও মুসলিম সৈন্যরা বীরবিক্রমে যুদ্ধ করতে থাকে। ওদের প্রায় ৬ হাজার সৈন্যকে হত্যা করে। সেনাপতি আবু উবাইদ নির্দেশ দেন আগে হাতিগুলোকে মেরে ফেলতে। মুসলিম সৈন্যরা একে একে হাতিগুলোকে টার্গেট করে হত্যা করতে থাকে। এভাবে একটি ছাড়া সব হাতি মারা পড়ে। পার্সিয়ানরা একটি সুবিশালদেহী সাদা হাতিকে সামনে ঠেলে দেয়। সেটি হত্যা করার জন্যে সেনাপতি আবু উবাইদ সামনে অগ্রসর হন। তিনি তরবারির আঘাত হানেন হাতীটির উপর। হাতির শুড় কেটে যায়। হাতি মাতাল ও বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এবং ভয়ংকর একটি চিৎকার দিয়ে সেনাপতি আবু উবাইদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। দু'পায়ে তাঁকে দলিত-মথিত করে ফেলে। তিনি শাহদাতবরণ করেন। হাতিটি তার দেহের উপর দাঁড়িয়ে থাকে।  

আবু উবাইদ তার অবর্তমানে যাকে সেনাপতির দায়িত্ব দিয়েছিলেন তিনি এসে হাতির ওপর আক্রমণ করলেন। হাতিটি তাকেও মেরে ফেলে। এরপর তার পরবর্তী দায়িত্ব প্রাপ্ত সেনাপতি এসে হামলা করলেন। হাতিটি তাকেও মেরে ফেললো। এভাবে আবু উবাইদের মনোনীত সাতজন সেনাপতি নিহত হন। এরা সকলে ছিলেন সাকিফ গোত্রের লোক। এরপর সেনাপতি আবু উবাইদের অসিয়ত অনুযায়ী সেনাপতির দায়িত্ব পান মুসান্না ইবনে হারিস। সেনাপতি আবু উবাইদের স্ত্রী দাওমা স্বপ্ন দেখেছিলেন যা হুবহু বাস্তবায়িত হলো। এসব ঘটনায় মুসলমানগণ সাহস হারা হয়ে গেলেন। বাকি থাকল শুধু পার্সিয়ানদের বিজয়। 

মুসলিমরা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন। সকলে পালাতে শুরু করে। পার্সিয়ানরা ধাওয়া করতে থাকে। ওরা বহু মুসলমানকে হত্যা করে, মুসলমানগণ বিক্ষিপ্ত ও পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তারা সেতু পর্যন্ত আসে। কেউ কেউ সেতু পার হয়ে আসে। এরই মধ্যে ভেঙ্গে যায় ওই সেতু। ফলে ওপাড়ে যারা ছিল পার্সিয়ানরা তাদেরকে আটক করে ফেলে। সেখানেও তারা বহু মুসলমানকে হত্যা করে। প্রায় চার হাজার মুসলমান নদীতে ডুবে শহীদ হন। 

সেনাপতি মুসান্না ইবনে হারিসা পলায়নপর মুসলিমদের নিয়ে আরেকটি সেতুর উপর এসে দাঁড়ালেন। সেতুর উপর দাঁড়িয়ে সেনাপতি মুসান্না ডেকে ডেকে বললেন, হে লোক সকল! শান্ত হোন, স্থির হোন, আমি সেতুর মুখে দাঁড়িয়ে আছি। আপনাদের সকলে পার না হওয়া পর্যন্ত আমি সেতু পার হবো না। আপনারা ধীরে ধীরে পার হলে আমরা সবাই পার হতে পারবো। নতুবা এটিও ভেঙে পড়বে। সকল মুসলমান সেতু পার হলো। এরপর মুসান্না রা. সেতু পার হয়ে ওদের নিকট গেলেন। তিনি এবং সাহসী সৈনিকগণ সেনাদলকে পাহারা দিতে লাগলেন। 

উপস্থিত অধিকাংশ সৈন্য ছিলেন আহত, রক্তাক্ত ও ক্ষত-বিক্ষত। কতক মুসলমান বনে-জঙ্গলে চলে যায়। শেষ পর্যন্ত তাদের গন্তব্য জানা যায়নি। ওদের কতক ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে মদীনায় ফিরে আসে। এই দুঃখজনক পরাজয়ের সংবাদ মদিনায় খলীফার নিকট নিয়ে আসেন আবদুল্লাহ ইবনে যায়দ। তিনি এসে দেখেন খলীফা উমার রা. মিম্বরে উপবিষ্ট আছেন। খলীফা বললেন, হে আবদুল্লাহ ইবনে যায়দ, কী সংবাদ? আবদুল্লাহ বললেন, নিশ্চিত সংবাদ এনেছি আপনার নিকট। এরপর মিম্বরে খলীফার নিকট গেলেন এবং কানে কানে প্রকৃত ঘটনা জানালেন। এই যুদ্ধ সেতুর যুদ্ধ নামে পরিচিত।

এ ঘটনা ঘটেছিল ১৩ হিজরি সনের শাবান মাসে। ইয়ারমুক যুদ্ধের ৪০দিন পর। মদিনার মুসলিমদের কাছে ইয়ারমুকের রোমানদের সাথে সফলতা ম্লান হয়ে যায় ইরাকে পার্সিয়ানদের কাছে ব্যর্থতার সংবাদে। ইরাকে মুসলমানগণ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে গিয়েছিলেন। তারপর দলবদ্ধ হয়েছিলেন। তাদের কেউ কেউ মদিনায় ফিরে এসেছিলেন। হযরত উমর রা. কাউকে তিরস্কার করেন নি। মন্দ বলেন নি বরং তিনি বলেছেন, আমি আপনাদের অন্তর্ভুক্ত। খলিফা উমার রা.-এর এই সান্ত্বনা সৈন্যদের দুঃখকে কমিয়ে দিয়েছিল। 

এই যুদ্ধের পর্যালোচনায় দুটো বিষয় উঠে এসেছে। এক. সেনাপতি আবু উবাইদ অন্যান্য বিজ্ঞ সাহাবাদের পরামর্শ গ্রহণ না করে সেতু পার হওয়াতে সংকীর্ণ স্থানে কোণঠাসা হয়েছেন। অনেকে পানিতে ডুবে মারা গিয়েছেন। এটাও সেতু পার হওয়াতে হয়েছে। দুই. শ্ত্রুদের ব্যাপারে পর্যাপ্ত খবর নেওয়া হয় নি। যেহেতু এই প্রথম হাতির মুকাবিলা করতে হচ্ছে এই ব্যাপারে পূর্বপ্রস্তুতি নেওয়া হয়নি।  

এদিকে যুদ্ধ জয়ের পর পার্সিয়ানরা অন্তর্দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয়। তাদের একটি দল মাদায়েনের দিকে যাত্রা করতে গিয়ে মুসান্না রা.-এর নেতৃত্বে থাকা মুসলিম বাহিনীর মুখোমুখি হয়। মুসলিমরা তাদের পরাজিত করে। তাদের অনেককে হত্যা ও মুক্তিপণ আদায় করেন। এরপর সেনাপতি মুসান্না রা. ইরাকে অবস্থানরত মুসলিম সেনাপতিদের সাহায্য চেয়ে লোক পাঠালেন। সবাই তার নিকট সাহায্য পাঠালো। মদিনা থেকে খলীফা উমর রা. তাঁর নিকট প্রচুর সাহায্য পাঠান। ওই সাহায্য দলে ছিলেন জারীর ইবন আবদুল্লাহ বাজালী ও তার পূর্ণ গোত্র। শীর্ষস্থানীয় অন্যান্য মুসলিম নেতৃবৃন্দও সেই দলে ছিল । ফলে এবারকার সৈন্য সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পায়। 

মুসলিমরা নতুনভাবে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে থাকলেন। মুসলমানদের রণপ্রস্তুতির কথা পার্সিয়ান সেনাপতিগণ অবগত হলো। মুসলিমদেরকে প্রতিরোধ করার জন্যে তারা মিহরানের সেনাপতিত্বে একটি বিশাল সেনাদল প্রেরণ করে। উভয়পক্ষ বুওয়াইব নামক স্থানে মুখোমুখি হয়। বুওয়াইব হলো কুফার নিকটবর্তী একটি স্থান। উভয় পক্ষের মাঝে ছিল ফোরাত নদী। পার্সিয়ানরা আগের মতো বললো, 'হয় তোমরা নদী পার হয়ে আমাদের নিকট আসো নইলে আমরা নদী অতিক্রম করে তোমাদের নিকট যাবো।' 

মুসলমানগণ বললেন, "তোমরাই নদী পার হয়ে আসো।" তারা নদী পার হয়ে এলো। তারপর উভয় পক্ষ যুদ্ধের জন্যে প্রস্তুত হতে থাকল। এটি রমজান মাসের ঘটনা। সেনাপতি মুসান্না মুসলিম সৈনিকদের রোজা না রাখার কথা বললেন। সকলে রোজা ছেড়ে দিলো, যাতে যুদ্ধে শক্তি পায়। সৈন্যগণ প্রস্তুত হলো। সেনাপতি মুসান্না প্রত্যেক গোত্রের সেনাপতিদের পতাকা ঘুরে ঘুরে পরিদর্শন করতে লাগলেন এবং তাদেরকে জিহাদে উৎসাহ দিয়ে ধৈর্য ও নীরবতা অবলম্বনের উপদেশ দিচ্ছিলেন। ওই যুদ্ধে নিজ গোত্রসহ জারীর ইব্‌ন আবদুল্লাহ বাজালী এবং বহু শীর্ষস্থানীয় মুসলিম নেতৃবৃন্দ ছিলেন। 

সবার উদ্দেশ্যে মুসান্না রা. বললেন, আমি তিনবার আল্লাহু আকবর বলবো। তাতে সকলে প্রস্তুত হয়ে যাবে। আমি চতুর্থ বার আল্লাহু আকবর বলার সাথে সাথে শত্রুপক্ষের ওপর আক্রমণ করবে। জবাবে সকলে তার নির্দেশ মান্য ও তার প্রতি আনুগত্যের ঘোষণা দিল। কিন্তু তাঁর ১ম তাকবীরের সাথে সাথে পার্সিয়ানরা হামলা চালায় মুসলমানদের উপর। তারা ঘিরে ফেলে মুসলিম সৈন্যদেরকে। উভয়পক্ষে প্রচণ্ড যুদ্ধ হয়। এই যুদ্ধ বুওয়াইবের যুদ্ধ নামে পরিচিত। 

সেনাপতি মুসান্না একটি সারিতে কিছুটা ত্রুটি লক্ষ্য করেন। তিনি সেখানে একজন লোক পাঠালেন। তিনি মুসলিমদের সুশৃঙ্খল করে যুদ্ধে গতি এনে দেন। মুসলমানদের পক্ষ থেকে আনুগত্য ও হৃদ্যতা দেখে মুসান্না খুশি হলেন এবং বললেন, "হে মুসলিমগণ! যুদ্ধ ও জিহাদ তো আপনাদের নিয়মিত কার্যক্রম। আপনারা আল্লাহকে সাহায্য করুন,  আল্লাহ আপনাদেরকে সাহায্য করবেন।" সেনাপতি মুসান্না ও অন্যান্য মুসলিম সাহায্য ও বিজয়ের জন্যে আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করছিলেন। দীর্ঘক্ষণ যুদ্ধ চলার পর মুসান্না রা. তার কতক সাহসী অনুসারীকে একত্রিত করে পেছনের দিক পাহারায় নিয়োজিত করলেন। এরপর তিনি নিজে শত্রু সেনাপতি মিহরানের ওপর আক্রমণ করলেন। মিহরানকে তার স্থান থেকে সরিয়ে দিলেন। মিহরান তার সৈনিকদের নিয়ে ডান পার্শ্ব দলে ঢুকে গেল। 

এরপর মিহরানের উপর আক্রমণ করেছিলেন মুনযির ইবন হাসান। তিনি তাকে মারাত্মকভাবে আহত করে। এরপর জারীর ইবনে আবদুল্লাহ বাজালী তার মাথা কেটে নেন। তার বর্ম ও অস্ত্রশস্ত্র তারা দু'জনে ভাগ করে নেন। জারীর নিলেন অস্ত্রশস্ত্র আর মুনযির নিলেন কোমরবন্দ ও তীরের কুলি। সেনাপতির মৃত্যু দেখে অগ্নিপূজক মুশরিকরা পালাতে শুরু করে। মুসলমানগণ ওদের ঘাড়ে আঘাত করে ওদেরকে ধরাশায়ী করতে থাকেন। মুসান্না ইবনে হারিসা এগিয়ে গিয়ে সেতুর উপর অবস্থান গ্রহণ করেন। যাতে পার্সিয়ানরা সেতু অতিক্রম করে পালাতে না পারে। আর তাতে মুসলমানগণ ওদেরকে হত্যা করার সুযোগ পায়। সেদিনের অবশিষ্ট সময়, ওই রাত এবং পরের দিনেও রাত অবধি মুসলমানগণ ওদেরকে খুঁজে খুঁজে হত্যা করতে থাকেন। কথিত আছে যে, ওই যুদ্ধে প্রায় এক লাখ পার্সিয়ান সৈন্য অস্ত্রের আঘাতে ও পানিতে ডুবে মারা যায়। মুসলমানদের পক্ষেও অনেক নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ওই যুদ্ধে শহীদ হন। এই ঘটনায় পার্সিয়ানরা গর্ব ও অহংকার ধূলায় মিশে যায়। তারা চরমভাবে লাঞ্ছিত হয়। মুসলিম সৈনিকগণ প্রচুর গনিমত সংগ্রহ করেন।  

বুওয়াইবের যুদ্ধ শেষে মুসান্না রা. পরামর্শ সভা ডাকেন। সেখানে যুদ্ধ বিষয়ে নানান পর্যালোচনা উঠে এসেছে। মুসান্না রা. বলেন, "আরব ও পার্সিয়ানদের মধ্যে বহু যুদ্ধ হয়েছে। জাহিলি যুগে হয়ে। ইসলামী যুগেও হয়েছে। আল্লাহর শপথ! জাহিলি যুগে একশ পার্সিয়ান একহাজার আরবের চাইতে শক্তিশালী ছিল। কিন্তু আজ একশ আরব একহাজার পার্সিয়ানের চাইতেও শক্তিশালী। আল্লাহ তায়ালা তাদের ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছেন ও তাদের দুর্বল করে দিয়েছেন। সুতরাং তাদের জাঁকজমক ও বিশাল সংখ্যা দেখে বিভ্রান্ত হয়ো না।" 

তিনি একটি বিষয়ে অনুশোচনা করে বললেন, "আমি ভুল করেছিলাম। তাদেরকে কোণঠাসা করে দেওয়ার জন্য সেতুর দড়ি কেটে দিয়ে আমি যে ক্ষতি করেছি আল্লাহ তার ক্ষতিকর প্রভাব কমিয়ে দেন। তাই আমার উদাহরণ অনুসরণ করে তোমরা কখনো এমনটা করো না। আমার ভুল হয়েছিল। কাউকেই কোণঠাসা করা উচিত নয়। শত্রুদের পালিয়ে যেতে বাধা দিলে তারা আত্মরক্ষার্থে আরো ভয়ংকরভাবে যুদ্ধ করে।" 

এই বিজয় ইরাকে দারুণ প্রভাব তৈরি করে। ইরাকের আশেপাশের গোত্র ও সীমান্তের মানুষেরা দলে দলে ইসলামে দাখিল হয়। মুসান্না রা. এসকল মানুষদের মধ্যে ইসলামের শিক্ষা প্রসারে মুজাহিদদের দায়িত্ব দেন। মুসলিমরা ইরাকের মানুষদের ইসলাম শেখাতে লাগলো। যখন ইরাকে এই অবস্থা তখন পার্সিয়ান মুশরিকরা নিজেদের নেতৃত্ব ব্যাপক দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয়ে রইলো। 


1 টি মন্তব্য: