মাওলানা মওদূদী। উপমহাদেশের এক দারুণ মুজাদ্দিদ। তুর্কি খিলাফত ভেঙ্গে যাওয়া, মুসলিমদের মধ্যে জাতীয়তাবাদের উত্থান, উম্মাহর ভাঙ্গন, সারা পৃথিবীতে পরাজিত ও লাঞ্চিত হওয়ার মাধ্যমে মুসলিমরা যখন তাদের গতি, উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য হারিয়ে ফেলেছে তখন উত্থান হয়ে মাওলানা মওদূদীর।
মুসলিমদের প্রয়োজনীয় সব দিককে সামনে রেখেই তিনি কলম চালিয়েছেন। মুসলিমদের দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। মুসলিমদেরকে তাদের ঈমান ও দায়িত্বের ওপর অবিচল থাকার ব্যাপারে নসিহত করেছেন।
মুহাররম নিয়ে মুসলিমদের মধ্যে শোক প্রকাশ তিনি দেখেছেন। কিন্তু কেন হুসাইন রা. জীবন কুরবানী করলেন, তার কী উদ্দেশ্য ছিল এই নিয়ে মুসলিমদের কোনো কর্মকান্ড বা কর্মতৎপরতা তিনি লক্ষ্য করেন নি। তাই এই উদ্দেশ্যে তিনি একটি বই লিখেছেন 'মুহাররমের শিক্ষা' নামে। এই বইটি বাংলায় অনুবাদ করেছেন আব্দুল মান্নান তালিব।
মাওলানা বইয়ের শুরুতে বলেন, হুসাইন রা.-এর উদ্দেশ্যের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে যদি আমরা কিছু না করি, বরং তার বিপরীত কাজই করে যেতে থাকি, তখন নিছক তাঁর ব্যক্তিত্বের জন্যে শোক প্রকাশ এবং তাঁর হত্যাকারীদেরকে গালিগালাজ করে কিয়ামতের দিন আমরা ইমামের নিকট থেকে কোনো বাহবা লাভেরও আশা রাখতে পারিনা। উপরন্তু আমরা এও আশা করতে পারি না যে, আল্লাহ্ও আমাদের এ কাজের কোনো মূল্য দিবেন।
এরপর মাওলানা শাহদাতের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলেন, হুসাইন রা.-এর দৃষ্টি ইসলামী সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রকৃতি, প্রাণশক্তি এবং ব্যবস্থার মধ্যে কোনো বিরাট পরিবর্তনের পূর্বাভাস লক্ষ্য করছিল এবং এর গতিরোধের জন্যে সব ধরণের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া তাঁর নিকট অত্যাধিক প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছিল। এমনকি এজন্যে প্রয়োজনবোধে সশস্ত্র জিহাদে অবতীর্ণ হওয়াকেও তিনি শুধু বৈধই নয়, অবশ্য করণীয় বা ফরজ বলে মনে করেছেন।
ইয়াজিদের ক্ষমতা দখলের ফলে কী পরিবর্তন এসেছে এই নিয়ে মাওলানা বলেন, শাসনব্যবস্থায় তিনটি পরিবর্তন এসেছে।
১। বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন
২। উদ্দেশ্যে পরিবর্তন
৩। প্রাণশক্তির পরিবর্তন
ইসলামী রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য হলো, দেশের মালিক আল্লাহ, জনসাধারণ আল্লাহর প্রজা এবং এই প্রজাপালনের ব্যাপারে রাষ্ট্রকে আল্লাহর নিকট জবাবদিহি করতে হবে। রাষ্ট্র জনসাধারণের মালিক নয় এবং জনসাধারণও রাষ্ট্রের গোলাম নয়। ইয়াজিদের ক্ষমতা দখলের মাধ্যমে রাজতান্ত্রিক শাসন চালুর সাথে সাথে এই বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন হতে থাকলো।
ইসলামী রাষ্ট্রের উদ্দেশ্য হলো, আল্লাহর পৃথিবীতে তাঁরই পছন্দের কাজগুলোর প্রতিষ্ঠা এবং প্রসার আর অসৎ কাজের পথরোধ এবং বিলুপ্তি সাধন। কিন্তু মানবীয় কর্তৃত্ব ভিত্তিক রাজতন্ত্র চালু করার পর রাজ্য জয়, মানুষের উপর মানুষের প্রভুত্ব, কর উসূল এবং বিলাসী জীবন যাপন করা ছাড়া রাষ্ট্রের অন্য কোনো উদ্দেশ্য থাকলো না।
ইসলামী রাষ্ট্রের প্রাণশক্তি ছিল তাকওয়া বা আল্লাহ্ভীতি। রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যেই হতো এর শ্রেষ্ঠ প্রকাশ। রাষ্ট্রের সকল কর্মচারী, বিচারপতি এবং সেনাপতিগণ এই রুহানী শক্তিতে ভরপুর হতেন। কিন্তু রাজতন্ত্রের পথে পা রাখার সাথে সাথেই মুসলমানদের রাষ্ট্র এবং শাসক সমাজ রোমের কাইসার ও ইরানের কিসরার রীতিনীতি এবং চাল চলন অনুকরণ করলো। ইনসাফের পরিবর্তে জুলুম ও নিপীড়ন, আল্লাহ্ ভীতির পরিবর্তে উচ্ছৃংখলতা, চরিত্রহীনতা, গান-বাজনা এবং বিলাসিতার স্রোত প্রবাহিত হলো।
এরপর মাওলানা ইসলামী রাষ্ট্রের ৭ টি ধারা/ মূলনীতি নিয়ে আলোচনা করলেন।
১। জনগণের স্বাধীন মতামতের ভিত্তিতে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে
২। রাষ্ট্রপরিচালিত হবে পরামর্শের ভিত্তিতে এবং পরামর্শও করতে হবে তাদের সাথে যাদের ইলম, তাকওয়া এবং নির্ভুল সিদ্ধান্তে পৌঁছার মতো বুদ্ধিবৃত্তির উপর জনসাধারণ আস্থা রাখে।
৩। স্বাধীন মতামত প্রকাশের ব্যাপারে জনসাধারণকে পুর্ণ সুযোগ দান।
৪। খলীফা এবং তাঁর রাষ্ট্রকে আল্লাহর এবং জনগণ উভয়ের নিকট জবাবদিহী করতে হবে।
৫। রাষ্ট্রের কোষাগার আল্লাহর সম্পত্তি এবং মুসলমানদের আমানত।
৬। রাষ্ট্রে আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে।
৭। অধিকার এবং মর্যাদার দিক দিয়ে পূর্ণ সাম্যের প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
ইসলামী খিলাফতকে রাজতন্ত্রে রূপান্তরিত করার ফলে ইসলামী রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য, উদ্দেশ্য ও প্রাণশক্তির পরিবর্তন হয়। ইয়াযিদের উত্তারাধিকার সূত্রে সিংহাসন দখলের ফলে ইসলামী রাষ্ট্রের অত্যাবশ্যকীয় মূলনীতিরও পরিবর্তনের সূত্রপাত হয়েছে।
হুসাইন রা. ভেবেছেন, ইসলামী রাষ্ট্রের বিচ্যুতির ফলে সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থায় ইসলাম যে পরিবর্তন সাধন করেছিল তা চিরতরে বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এজন্যেই হুসাইন রা. পেরেশান হয়ে গেলেন। তিনি এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালেন। বিপদসাগরে ঝাঁপিয়ে পড়ে এ কথা প্রমাণ করে গেছেন, ইসলামী রাষ্ট্রের বুনিয়াদী নীতিগুলোর সংরক্ষণের জন্য মুমিন যদি তাঁর জান কুরবান করে দেয়, তাঁর আত্মীয় পরিজনকে কুরবানী করে, তাহলেও তাঁর উদ্দেশ্যের তুলনায় এবস্তু নেহায়েত কম মূল্যই রাখে।
আর এই নীতিগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে উপরোল্লিখিত সাতটি পরিবর্তন ইসলাম ও মুসলমানদের জন্যে কেউ হয়তো তাচ্ছিল্ল ভরে একে নিছক একটা রাজনৈতিক কার্য বলতে পারে, কিন্তু হুসাইন ইবনে আলী রা.-এর দৃষ্টিতে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত এটি ছিল একটি দ্বীনি কর্তব্য। এজন্যে শাহাদাতের জযবা নিয়েই তিনি এ কার্যে প্রাণ উৎসর্গ করেছেন।
সুতরাং মুহাররম/ কারবালার শিক্ষা হলো ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও রাষ্ট্রকে তার মূলনীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত রাখা দ্বীনি কর্তব্য। এর জন্য প্রয়োজনে জীবন দিতে হবে। এই শিক্ষা ধারণ করা ছাড়া হুসাইনের জন্য শোক প্রকাশ ও ইয়াজিদের জন্য ঘৃণা কোনো কল্যাণ বয়ে নিয়ে আসবে না। আসুন দ্বীনি দায়িত্ব পালনে আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টায় লিপ্ত হই। এই ছিল মাওলানা মওদূদী কর্তৃক লিখিত 'মুহাররমের শিক্ষা' বইয়ের মূল ভাব।
#বুক_রিভিউ
বই : মুহাররমের শিক্ষা
লেখক : সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদূদী
অনুবাদক : আব্দুল মান্নান তালিব
প্রকাশনী : আইসিএস
পৃষ্ঠা : ২৪
মুদ্রিত মূল্য : ১২
জনরা : আত্মউন্নয়ন ও মোটিভেশন
মুসলিমদের প্রয়োজনীয় সব দিককে সামনে রেখেই তিনি কলম চালিয়েছেন। মুসলিমদের দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। মুসলিমদেরকে তাদের ঈমান ও দায়িত্বের ওপর অবিচল থাকার ব্যাপারে নসিহত করেছেন।
মুহাররম নিয়ে মুসলিমদের মধ্যে শোক প্রকাশ তিনি দেখেছেন। কিন্তু কেন হুসাইন রা. জীবন কুরবানী করলেন, তার কী উদ্দেশ্য ছিল এই নিয়ে মুসলিমদের কোনো কর্মকান্ড বা কর্মতৎপরতা তিনি লক্ষ্য করেন নি। তাই এই উদ্দেশ্যে তিনি একটি বই লিখেছেন 'মুহাররমের শিক্ষা' নামে। এই বইটি বাংলায় অনুবাদ করেছেন আব্দুল মান্নান তালিব।
মাওলানা বইয়ের শুরুতে বলেন, হুসাইন রা.-এর উদ্দেশ্যের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে যদি আমরা কিছু না করি, বরং তার বিপরীত কাজই করে যেতে থাকি, তখন নিছক তাঁর ব্যক্তিত্বের জন্যে শোক প্রকাশ এবং তাঁর হত্যাকারীদেরকে গালিগালাজ করে কিয়ামতের দিন আমরা ইমামের নিকট থেকে কোনো বাহবা লাভেরও আশা রাখতে পারিনা। উপরন্তু আমরা এও আশা করতে পারি না যে, আল্লাহ্ও আমাদের এ কাজের কোনো মূল্য দিবেন।
এরপর মাওলানা শাহদাতের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলেন, হুসাইন রা.-এর দৃষ্টি ইসলামী সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রকৃতি, প্রাণশক্তি এবং ব্যবস্থার মধ্যে কোনো বিরাট পরিবর্তনের পূর্বাভাস লক্ষ্য করছিল এবং এর গতিরোধের জন্যে সব ধরণের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া তাঁর নিকট অত্যাধিক প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছিল। এমনকি এজন্যে প্রয়োজনবোধে সশস্ত্র জিহাদে অবতীর্ণ হওয়াকেও তিনি শুধু বৈধই নয়, অবশ্য করণীয় বা ফরজ বলে মনে করেছেন।
ইয়াজিদের ক্ষমতা দখলের ফলে কী পরিবর্তন এসেছে এই নিয়ে মাওলানা বলেন, শাসনব্যবস্থায় তিনটি পরিবর্তন এসেছে।
১। বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন
২। উদ্দেশ্যে পরিবর্তন
৩। প্রাণশক্তির পরিবর্তন
ইসলামী রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য হলো, দেশের মালিক আল্লাহ, জনসাধারণ আল্লাহর প্রজা এবং এই প্রজাপালনের ব্যাপারে রাষ্ট্রকে আল্লাহর নিকট জবাবদিহি করতে হবে। রাষ্ট্র জনসাধারণের মালিক নয় এবং জনসাধারণও রাষ্ট্রের গোলাম নয়। ইয়াজিদের ক্ষমতা দখলের মাধ্যমে রাজতান্ত্রিক শাসন চালুর সাথে সাথে এই বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন হতে থাকলো।
ইসলামী রাষ্ট্রের উদ্দেশ্য হলো, আল্লাহর পৃথিবীতে তাঁরই পছন্দের কাজগুলোর প্রতিষ্ঠা এবং প্রসার আর অসৎ কাজের পথরোধ এবং বিলুপ্তি সাধন। কিন্তু মানবীয় কর্তৃত্ব ভিত্তিক রাজতন্ত্র চালু করার পর রাজ্য জয়, মানুষের উপর মানুষের প্রভুত্ব, কর উসূল এবং বিলাসী জীবন যাপন করা ছাড়া রাষ্ট্রের অন্য কোনো উদ্দেশ্য থাকলো না।
ইসলামী রাষ্ট্রের প্রাণশক্তি ছিল তাকওয়া বা আল্লাহ্ভীতি। রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যেই হতো এর শ্রেষ্ঠ প্রকাশ। রাষ্ট্রের সকল কর্মচারী, বিচারপতি এবং সেনাপতিগণ এই রুহানী শক্তিতে ভরপুর হতেন। কিন্তু রাজতন্ত্রের পথে পা রাখার সাথে সাথেই মুসলমানদের রাষ্ট্র এবং শাসক সমাজ রোমের কাইসার ও ইরানের কিসরার রীতিনীতি এবং চাল চলন অনুকরণ করলো। ইনসাফের পরিবর্তে জুলুম ও নিপীড়ন, আল্লাহ্ ভীতির পরিবর্তে উচ্ছৃংখলতা, চরিত্রহীনতা, গান-বাজনা এবং বিলাসিতার স্রোত প্রবাহিত হলো।
এরপর মাওলানা ইসলামী রাষ্ট্রের ৭ টি ধারা/ মূলনীতি নিয়ে আলোচনা করলেন।
১। জনগণের স্বাধীন মতামতের ভিত্তিতে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে
২। রাষ্ট্রপরিচালিত হবে পরামর্শের ভিত্তিতে এবং পরামর্শও করতে হবে তাদের সাথে যাদের ইলম, তাকওয়া এবং নির্ভুল সিদ্ধান্তে পৌঁছার মতো বুদ্ধিবৃত্তির উপর জনসাধারণ আস্থা রাখে।
৩। স্বাধীন মতামত প্রকাশের ব্যাপারে জনসাধারণকে পুর্ণ সুযোগ দান।
৪। খলীফা এবং তাঁর রাষ্ট্রকে আল্লাহর এবং জনগণ উভয়ের নিকট জবাবদিহী করতে হবে।
৫। রাষ্ট্রের কোষাগার আল্লাহর সম্পত্তি এবং মুসলমানদের আমানত।
৬। রাষ্ট্রে আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে।
৭। অধিকার এবং মর্যাদার দিক দিয়ে পূর্ণ সাম্যের প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
ইসলামী খিলাফতকে রাজতন্ত্রে রূপান্তরিত করার ফলে ইসলামী রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য, উদ্দেশ্য ও প্রাণশক্তির পরিবর্তন হয়। ইয়াযিদের উত্তারাধিকার সূত্রে সিংহাসন দখলের ফলে ইসলামী রাষ্ট্রের অত্যাবশ্যকীয় মূলনীতিরও পরিবর্তনের সূত্রপাত হয়েছে।
হুসাইন রা. ভেবেছেন, ইসলামী রাষ্ট্রের বিচ্যুতির ফলে সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থায় ইসলাম যে পরিবর্তন সাধন করেছিল তা চিরতরে বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এজন্যেই হুসাইন রা. পেরেশান হয়ে গেলেন। তিনি এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালেন। বিপদসাগরে ঝাঁপিয়ে পড়ে এ কথা প্রমাণ করে গেছেন, ইসলামী রাষ্ট্রের বুনিয়াদী নীতিগুলোর সংরক্ষণের জন্য মুমিন যদি তাঁর জান কুরবান করে দেয়, তাঁর আত্মীয় পরিজনকে কুরবানী করে, তাহলেও তাঁর উদ্দেশ্যের তুলনায় এবস্তু নেহায়েত কম মূল্যই রাখে।
আর এই নীতিগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে উপরোল্লিখিত সাতটি পরিবর্তন ইসলাম ও মুসলমানদের জন্যে কেউ হয়তো তাচ্ছিল্ল ভরে একে নিছক একটা রাজনৈতিক কার্য বলতে পারে, কিন্তু হুসাইন ইবনে আলী রা.-এর দৃষ্টিতে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত এটি ছিল একটি দ্বীনি কর্তব্য। এজন্যে শাহাদাতের জযবা নিয়েই তিনি এ কার্যে প্রাণ উৎসর্গ করেছেন।
সুতরাং মুহাররম/ কারবালার শিক্ষা হলো ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও রাষ্ট্রকে তার মূলনীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত রাখা দ্বীনি কর্তব্য। এর জন্য প্রয়োজনে জীবন দিতে হবে। এই শিক্ষা ধারণ করা ছাড়া হুসাইনের জন্য শোক প্রকাশ ও ইয়াজিদের জন্য ঘৃণা কোনো কল্যাণ বয়ে নিয়ে আসবে না। আসুন দ্বীনি দায়িত্ব পালনে আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টায় লিপ্ত হই। এই ছিল মাওলানা মওদূদী কর্তৃক লিখিত 'মুহাররমের শিক্ষা' বইয়ের মূল ভাব।
#বুক_রিভিউ
বই : মুহাররমের শিক্ষা
লেখক : সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদূদী
অনুবাদক : আব্দুল মান্নান তালিব
প্রকাশনী : আইসিএস
পৃষ্ঠা : ২৪
মুদ্রিত মূল্য : ১২
জনরা : আত্মউন্নয়ন ও মোটিভেশন
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন