সেনাপতি আমর ইবনুল আস রা. রামাল্লার অভিযান শেষে জেরুজালেমের দিকে এগিয়ে যান। তখন ফিলিস্তিনের শাসনে ছিল আর্তাবুন নামক এক বাইজেন্টাইন। তিনি ছিলেন সম্রাট হেরাক্লিয়াসের দ্বিতীয় প্রধান সেনাপতি। এ ব্যক্তি ছিলেন বাইজেন্টাইনদের (রোমান) মধ্যে সবচেয়ে চতুর ও বুদ্ধিমত্তার অধিকারী। সে রামলা (রামাল্লা) এবং আলিয়ায় (জেরুজালেম) প্রচুর সৈন্য সমবেত করে রেখেছিল। আমর ইবনুল আস আবু উবাইদাহ মারফত খলীফা উমার রা.-কে এ সম্পর্কে জানালেন এবং পরবর্তী নির্দেশের জন্য অনুরোধ করলেন। উমার রা. এ সময়েই তার সেই বিখ্যাত মন্তব্যটি করেছিলেন,
খিলাফত পর্ব-২৭ : মুসলিমদের জেরুজালেম বিজয়
“আমরা রোমান আর্তাবুনের বিরুদ্ধে আরব আর্তাবুনকে পাঠিয়েছি; দেখি কী ঘটে।”
তিনি বুঝাতে চেয়েছিলেন, উভয় সেনাপতিই তাদের নিজ জাতির মধ্যে বিচক্ষণ ও রণকৌশলী। আর্তাবুন রামলা ও আলিয়ায় বেশ বড় এক সেনাবাহিনী প্রেরণ করেছিল। কেননা, জেরুজালেমের এ দুটি শহর আমর ইবনুল-“আসের সেনাবাহিনী দ্বারা আক্রান্ত হওয়া সমূহ আশঙ্কা ছিল। তা ছাড়া এ দুটি ছিল ফিলিস্তিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শহর। ফিলিস্তিনের রাজধানী তখন রামলা আর বৃহত্তম শহর আলিয়া। শহর দুটির মধ্যে দূরত্ব ছিল ১৮ মাইল। আলিয়ার ক্ষমতা ছিল আর্তাবুনের হাতে। অন্যদিকে রামলার গভর্নর ছিল তাদহারিক।
খলীফা উমার ইবনুল খাত্তাব রা.-এর পরিকল্পনা ছিল আজনাদইনে যুদ্ধের সময় ফিলিস্তিনে ‘আমরের অবস্থান গ্রহণের ব্যাপারে রোমানদের বেখবর রাখা। এতে করে পরবর্তীকালে জেরুজালেম ও সিরিয়ার বাকি অঞ্চল জয় করা সহজতর হবে। তিনি মুয়াবিয়া ইবনু আবু সুফিয়ান রা.-কে তার অশ্বারোহী বাহিনী নিয়ে সিজারিয়ায় যাওয়ার নির্দেশ দেন। এর দ্বারা তিনি চেয়েছেন ‘আমরের ওপর থেকে শত্রুপক্ষের দৃষ্টি সরিয়ে রাখতে।
আমর রা. খলীফার পরিকল্পনা অনুসরণ করে ‘আলিয়ায় বাইজেন্টাইন সৈন্যবাহিনীকে বিভ্রান্ত করার জন্য ‘আলকামা ইবনু হাকিম ফিরাসি ও মাসরূক ইবনু ফুলআন মাক্কিকে “আলিয়ায় প্রেরণ করেন। এরপর তিনি আবু আইয়ুব মালিকিকে রামলায় পাঠান আরেক বাইজেন্টাইন বাহিনীকে বিভ্রান্ত করার জন্য। আমরের সাহায্যে অতিরিক্ত মুসলিম সেনা পৌঁছানোর সাথে সাথেই তাদেরকে মুহাম্মাদ ইবনু 'আমরের অধীনে আলিয়ায় আক্রমণকারী বাহিনীর সাহায্যে পাঠিয়ে দেন। একই সাথে তিনি আমারাহ ইবনু আমর ইবনু উমাইয়া আদ-দুমারীকে সৈন্য নিয়ে রামলায় আক্রমণকারী বাহিনীর সাহায্যে পাঠান। এদিকে তিনি আজনাদইনে নিজ বাহিনী নিয়ে আর্তাবুনের সাথে চুড়ান্ত যুদ্ধের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন।
অন্যদিকে বাইজেন্টাইন বাহিনী ‘আলিয়ার নগর প্রাচীরকে মুসলমানদের থেকে রক্ষায় আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছিল। নগরীর চারপাশে ঘোরতর যুদ্ধ বেঁধে যায়। একইসাথে আজনাদইনে মুসলিম ও বাইজেন্টাইন বাহিনী সমবেত হওয়া শুরু করে। তাবারী এ ব্যাপারে বলেন, “মুসলিম এবং বাইজেন্টাইন বাহিনী এমন এক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ল যার তুলনা হতে পারে কেবল ইয়ারমুকের যুদ্ধের সাথে। এতে অসংখ্য মানুষ নিহত হয়েছিল। এ ছিল আরব আর্তাবুনের সাথে বাইজেন্টাইন আর্তাবুনের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। অবশেষে বাইজেন্টাইন সেনাপতি হেরে গিয়ে সৈন্যসামন্ত নিয়ে পালিয়ে গিয়ে আলিয়া শহরে আশ্রয় গ্রহণ করে। মুসলিমরাও পরিকল্পিতভাবে শহরে প্রবেশ করার জন্য তাদেরকে সময় দেয়।”
আমর ইবনুল আস তাঁর বাহিনী নিয়ে অগ্রসর হয়ে ‘আলিয়ার ওপর অবরোধ আরোপ করেন। আমর ইবনুল-আসের নেতৃত্বে মুসলিম বাহিনী আলিয়া শহর ঘেরাও করে ফেলে। এর নগরপ্রাচীর ছিল অত্যন্ত সুরক্ষিত। শহরের দেয়ালগুলোর বর্ণনা দিয়ে ওয়াক্বিদী বলেন, “দেয়ালগুলো মিনজানিক, তলোয়ার, ঢাল এবং শেকল দ্বারা সুরক্ষিত ছিল। অবশেষে তিন দিনের অবরোধের পর মুসলিম বাহিনী নগরপ্রাচীর আক্রমণ করে। রক্ষীসেনার দল দেয়ালের ওপর থেকে তীর ছুড়তে শুরু করলে মুসলিমরা ঢাল দিয়ে নিজেদেরকে রক্ষা করে। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবিরাম যুদ্ধ চলে টানা বেশ কয়েকদিন পর্যন্ত। ১১ তম দিনে আবু উবাইদা, খালিদ ও আবদুর-রাহমান ইবনু আউফ মুসলিম অশ্বারোহী বাহিনী ও সেনাদল নিয়ে যোগ দিলেন। এ দৃশ্য দেখে আলিয়াবাসীর মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এ অবরোধ দীর্ঘ চার মাস যাবৎ অব্যাহত থাকে। প্রতিটি দিন অতিবাহিত হয় রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে। মুসলিম বাহিনী ধৈর্যের সাথে শীত-বৃষ্টি-তুষার উপেক্ষা করে অবরোধ অব্যাহত রাখে। অবশেষে বাইজেন্টাইন বাহিনী জয়ের আশা ছেড়ে দেয়। জেরুজালেমের গোত্রপতি সাফ্রোনিয়াস শেষ চেষ্টা হিসেবে আমর ইবনুল-আসের নিকট অবরোধ উঠিয়ে নেওয়ার জন্য চিঠি পাঠান। তবে এ চিঠিতেও সে লিখেছিল যে, মুসলিমরা কখনোই এ শহর দখল করতে পারবে না।
আলিয়ায় থাকা রোমান সেনাপতি আর্তাবুন ‘আমর ইবনুল-“আসকে লিখে পাঠায়,
“আপনি আমার বন্ধু এবং যুগপৎ প্রতিদ্বন্দ্বীও বটে। আপনার জাতির মাঝে আপনার অবস্থান যেমন, আমার জাতির মাঝে আমার অবস্থানও তেমনই। আল্লাহর কসম, আজনাদইনই শেষ এলাকা। এরপর ফিলিস্তিনের আর কোনো এলাকা আপনি জয় করতে পারবেন না। নিজেকে প্রতারিত করছেন। ফিরে গেলেই আপনার ভালো হবে। নাহলে আপনার পূর্বে যারা এসেছিল, তাদের মতো আপনিও পরাজিত হবেন।”
এর জবাবে ‘আমর লিখে পাঠান, তার হাতেই এ ভূখণ্ড বিজিত হবে। আর্তাবুন "আমরের চিঠি পড়ে হেসে ওঠে এবং ‘আমরের পত্রবাহককে বলে, “বাইতুল-মাকদিস তো উমার নামে এক ব্যক্তির জয় করার কথা।” বার্তাবাহক আর্তাবুনের এ কথা তাঁকে জানান। আর বুঝতে পারলেন, আর্তাবুন যে ‘উমারের কথা বলেছে, তিনি স্বয়ং খলীফা উমার ইবনুল খাত্তাব। আমর ইবনুল আস খলীফার কাছে চিঠি লিখে আর্তাবুনেরে এ কথা অবহিত করেন। একইসাথে সেখানকার কঠিন পরিস্থিতি সম্পর্কেও খলীফাকে জানান এবং তার জরুরি নির্দেশনা কামনা করেন।
মুসলিম বাহিনীর প্রধান হিসেবে আবু উবাইদাহ রা. জেরুজালেমবাসীর নিকট পত্র লিখেন। জেরুজালেমের গোত্রপতি সাফ্রোনিয়াস আত্মসমর্পন করতে রাজি হন তবে এর জন্য খলিফা উমার রা.-এর উপস্থিতি শর্ত হিসেবে জুড়ে দেন। সম্ভবত তাদের জোত্যিষ শাস্ত্র অনুসারে উমারের নাম তারা জানতো। তাদের কাছে এই জ্ঞানও ছিল যে, উমার রা. উপস্থিত থাকলে তাদের প্রাণের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
খলীফা শুরা পরামর্শ শেষে সৈন্যদল নিয়ে সিরিয়ার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তার অনুপস্থিতিতে আলী ইবন আবু তালিব রা. মদিনার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকেন। উমার রা. জাবিয়ার প্রান্তরে এসে শিবির স্থাপন করেন। এখানেই আলিয়াবাসী তাঁর সাথে শান্তিচুক্তি করে।
ইমাম তাবারীর বর্ণনামতে শান্তিচুক্তি ছিল নিন্মরূপ
“পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
আল্লাহর বান্দা, আমীরুল মুমিনীন উমার ‘আলিয়াবাসীর সাথে এ মর্মে নিরাপত্তা-চুক্তি করছেন যে, তিনি তাদেরকে তাদের সম্পদ, তাদের গির্জা ও ক্রুশ, তাদের অসুস্থ ও সুস্থ এবং তাদের সকল ধর্মীয় গোষ্ঠীকে নিরাপত্তা প্রদান করেন। তাদের গির্জা ও সেগুলোর পার্শ্ববর্তী এলাকা বসবাসের জন্য কেড়ে নেওয়া হবে না এবং ধ্বংসও করা হবে না, এসবের কোনো কিছুরই ক্ষতিসাধন করা হবে না, তাদের ক্রুশ সরিয়ে ফেলা হবে না, তাদের সম্পত্তি থেকে কিছু কেড়ে নেওয়াও হবে না। তাদের ধর্মের কারণে তাদের কোনো হয়রানি কিংবা কোনো ক্ষতি করা হবে না। তবে ‘আলিয়ায় কোনো ইহুদিকে বসবাসের অনুমতি দেওয়া হবে না। আলিয়াবাসীকে জিজিয়া পরিশোধ করতে হবে, যেমনটি অন্য শহরবাসীরা পরিশোধ করে থাকে। বাইজেন্টাইন ও লুটেরাদের আলিয়া থেকে বহিষ্কার করা হবে। তাদের মধ্য থেকে যারা চলে যেতে চায়, তারা নিজেদের এবং তাদের সম্পদের নিরাপত্তা পাবে যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা একটি নিরাপদ স্থানে পৌঁছায়। তাদের মধ্যে যারা ‘আলিয়ায় থাকতে চায় তারাও নিরাপত্তা পাবে এবং আলিয়াবাসীর মতো তাদেরকে জিজিয়া প্রদান করতে হবে।
‘আলিয়াবাসীর কেউ বাইজেন্টাইনদের সাথে নিজ সম্পদ নিয়ে চলে যেতে চাইলে তারা যেতে পারবে এবং তারা, তাদের গির্জা ও ক্রুশ নিরাপদ স্থানে পৌঁছানো পর্যন্ত নিরাপদ থাকবে। আলিয়ার ভূমিতে বসবাসকারী অন্যান্য গোত্র ; যাদের শেষ নেতাও মারা গিয়েছে, তাদেরকে এ সুযোগ দেওয়া হচ্ছে যে, তারা ‘আলিয়াবাসীর মতো জিজিয়া প্রদান করে আলিয়ায় অবস্থান করতে পারবে কিংবা তারা চাইলে বাইজেন্টাইনদের সাথে চলে যেতে পারবে অথবা তাদের মূল ভূমিতেও ফিরে যেতে পারবে। তাদের থেকে ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো জিযিয়া সংগ্রহ করা হবে না, যে পর্যন্ত তারা তা পরিশোধে সক্ষম হয়।
মহান আল্লাহ, রাসূল, খলীফা এবং মুমিনদের চুক্তির শর্তাদি মেনে চলার এ অঙ্গীকার ততদিন পর্যন্ত বহাল থাকবে যতদিন পর্যন্ত এখানকার মানুষ জিযিয়া প্রদান করবে"।
সাক্ষী : খালিদ বিন ওয়ালীদ, ‘আমর ইবনুল-‘আস, আবদুর-রাহমান ইবনু ‘আউফ এবং মুয়াবিয়া ইবনু আবু সুফিয়ান।
এরপর উমার রা. জাবিয়াতে মুসলিম সেনাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন। যে বক্তব্যের উদ্দেশ্য ছিল ঈমানের ওপর অবিচল থাকা, জামায়াতবদ্ধ থাকা, বিচ্ছিন্ন না হওয়া এবং চরিত্র হিফাযত করা। তিনি মুসলিমদের স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, একজন পুরুষ ও একজন মহিলা কখনোই এক হতে পারে না তৃতীয়জনের উপস্থিতি ছাড়া। আর সে হলো শয়তান।
শান্তিচুক্তির পর আলিয়াবাসী তথা খৃস্টানরা নগরীর গেট খুলে দেয়। আর্তাবুন তার বাহিনী নিয়ে মিসরে পালিয়ে যায়। উমার রা. মুসলিম সেনাদল নিয়ে মসজিদুল আকসায় প্রবেশ করেন। মুসলিমদের সহায়তায় মসজিদ পরিষ্কার করেন ও সেখানে নামাজ পড়েন। বাইতুল মাকদিসের পাশে আরেকটি মসজিদ নির্মান করেন। ইহুদিদের কাছে সম্মানিত বিশেষ পাথরকে (সাখরা) খ্রিস্টানরা ময়লার ভাগাড়ে পরিণত করেছে। উমার রা. নিজে তা পরিষ্কারের উদ্যোগ নেন। ফিলিস্তিনে/ জেরুজালেমে / আলিয়ায় উমার রা. শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করেন। নিজ নিজ ধর্ম পালনের অধিকার ও মুসলিমদের শান্তিপূর্ণ আচরণে এলাকাবাসী প্রভাবিত হতে থাকে। ধীরে ধীরে এই অঞ্চলের খ্রিস্টানরা মুসলিম হতে থাকে।
এখানে উল্লেখ্য যে, আমাদের কাছে একটি কাহিনী বহুল প্রচলিত আছে যে, উমার রা. একজন ভৃত্য নিয়ে জেরুজালেমের গেইটে পৌঁছান। তখন উটের ওপর ছিল ভৃত্য এবং উমার রা. রশি টেনে যাচ্ছিলেন। খৃস্টানরা এই ঘটনা দেখে উটের ওপর থাকা ভৃত্যকে উমার রা. ভেবেছিল। পরে আসল কথা জেনে অবাক হয়েছিল।
এই ঘটনার ঐতিহাসিক ভিত্তি দুর্বল। বেশিরভাগ বর্ণনায় পাওয়া যায় উমার রা. ছোট একদল সৈন্য নিয়ে ঘোড়ায় করে দ্রুত জেরুজালেমের উদ্দেশ্যে রওনা হন। কিছু বর্ণনা অনুসারে তিনি একজন ভৃত্যকে নিয়ে আসলেও অবশ্যই তিনি এই অবস্থায় জেরুজালেম যাননি ও খৃস্টানদের মুখোমুখি হননি। তিনি জেরুজালেমের অদূরে জাবিয়ায় তাঁবু স্থাপন করেন। এখানে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান আবু উবাইদা রা.-এর নেতৃত্বে সমস্ত কমান্ডারগণ। আমর ইবনুল আস রা. অবরোধের নেতৃত্বে থাকায় তিনি আসেননি।
উমার রা. সেনাদের সাথে পরামর্শ করেন। এরপর আলিয়াবাসী অর্থাৎ জেরুজালেমের প্রতিনিধিদের সাথে সাক্ষাত ও চুক্তি করেন। চুক্তির পর তিনি আবু উবাইদা রা., খালিদ রা. ও অন্যান্য নেতাদের সাথে নিয়ে জেরুজালেম যান। তাই খৃস্টানরা তাঁকে না চেনা বা ভৃত্যকে উমার মনে করার কোনো কারণ নেই। তবে একটি ঘটনার বর্ণনা পাওয়া যায়, আবু উবাইদা রা. খলিফার বেশভূষা দেখে তা পরিবর্তনের জন্য বলেছেন। তিনি বলেছেন ভালো কাপড় পড়লে উমার রা.-এর ব্যাপারে তারা সমীহ করবে। উমার রা. এর দৃঢ় প্রতিবাদ করেন।
চুক্তির পর জেরুজালেমে প্রবেশের সময় উমার রা. উটে করে যেতে চাইলে স্থানীয়রা খচ্চরের পিঠে চড়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। উমার রা. সেই পরামর্শ গ্রহণ করেন। কিন্তু খচ্চরের লাফালাফিতে উমার রা. তার পিঠে করে যেতে পারেন নি। অবশেষে উটে চড়েই গিয়েছেন। জেরুজালেমে ১০ দিন থেকে তিনি মদিনায় ফেরত যান।