১৩ নভে, ২০২২

খিলাফত পর্ব-৩৪ : উসমান রা.-এর আর্থিক নীতি যেমন ছিল


রাসূল সা.-এর সময়ে ও আবু বকর রা.-এর সময়ে বাইতুলমাল / কোষাগার প্রতিষ্ঠা হলেও এটি স্বাতন্ত্র ও পূর্ণতা পায়নি। তাঁরা আয় করতেন ও সাথে সাথেই খরচ করতেন। উমার রা. অর্থনৈতিক বিভাগ গঠন করেন এবং এর তত্ত্বাবধানের জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ করেন। উমার রা.-এর সময়ে রাষ্ট্রের আয় ব্যপকভাবে বৃদ্ধি পায়। এগুলোর হিসেব রাখা ও খরচ করার নিমিত্তে তিনি পারসিকদের অনুকরণে নথিপত্র সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেন। যার নাম দেওয়া হয় দিওয়ানী। উসমান রা.-এর আর্থিক নীতি উমার রা.-এর সময়ের আর্থিক নীতিরই অনুরূপ।  

উসমান রা.-এর আর্থিক নীতি 

১.  পূর্বসূরিদের অনুসরণ 
উসমান রা. নিজের ঘোষণা অনুযায়ী অন্যান্য বিভাগের মতো বাইতুলমাল বিভাগেও পূর্বসূরী অর্থাৎ উমার রা.-এর নীতি অনুসরণ করেন। আল্লাহর রাসূল সা.-এর অর্থনৈতিক মূলনীতি অনুসরণ করেন।

২. কর আদায়কারীদের বাড়াবাড়ি থেকে জনগণকে রক্ষা
উসমান রা.-এর আর্থিক নীতির একটি অন্যতম বিষয় ছিল জনগণকে যাকাত, উশর অন্যান্য কর আদায়কারীদের বাড়াবাড়ি ও জুলুম থেকে রক্ষা করা। ন্যায়ানুগ ভিত্তিতে রাষ্ট্রের পাওনা আদায় করার ব্যবস্থা তিনি করেছেন। জনগণের সুযোগ সুবিধার দিকে লক্ষ্য রেখে পাওনা আদায় করতে তিনি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন। যাকাত আদায়ের সময় যাতে নাগরিকদের সবচেয়ে উৎকৃষ্ট সম্পদ্গুলো বেছে বেছে নেওয়া না হয় তার আদেশ দিয়েছেন।   

৩. জনগণের পাওনা যথাযথভাবে আদায় করা 
রাষ্ট্র থেকে জনগণের পাওনা যথাযথভাবে আদায় করার ব্যবস্থা নিয়েছেন উসমান রা.। জনগণ তার পাওনা আদায়ে যাতে ভোগান্তির শিকার না হয় তার ব্যবস্থা করেছেন। এছাড়া রাস্তাঘাট, বাজার, সরাইখানা ইত্যাদির ব্যবস্থা করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব ছিল যা থেকে জনগণ উপকৃত হতো। উসমান রা. জনগণের অধিকার জনগণের নিকট পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। 

৪. জিম্মিদের অধিকার নিশ্চিত
ইসলামী রাষ্ট্রের চুক্তিবদ্ধ অমুসলিম নাগরিকদের নিরাপত্তা দেওয়া, তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণ করা ও তাদের সামাজিক ও ধর্মীয় অধিকার রক্ষায় জোর তাকিদ দিয়েছেন উসমান রা.। উমার রা. মৃত্যুশয্যায় পরবর্তী খলিফার উদ্দেশ্যে এই অসিয়ত করে গিয়েছেন যে, জিম্মীদের সাথে যেন ভালো ব্যবহার করা হয়। তাদের ওপর যেন করের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া না হয়। রাসূল সা.-ও বলে গিয়েছেন, যে চুক্তিবদ্ধ নাগরিকদের ওপর জলুম করে, তার ওপর সাধ্যাতীত বোঝা চাপিয়ে দেয়, তার সম্মানহানী করে, কিয়ামতের দিন তার বিরুদ্ধে জিম্মীদের পক্ষ হয়ে অবস্থান নিবেন। 

৫. বাইতুলমালে বিশ্বস্ত লোক নিয়োগ দেওয়া 
বাইতুলমাল আদায় ও পরিচালনার জন্য উসমান রা. বিশ্বস্ত লোক নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারে আপোষহীন ছিলেন। কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ এলেই তিনি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করতেন ও ব্যবস্থা নিয়েছেন। 

৬. দ্রব্যমূল্য ও বাজার নিয়ন্ত্রণ 
উসমান রা. ব্যবসায়ীদের ব্যবসা করার ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা দিয়েছেন। কিন্তু তিনি তাদের যথেচ্ছাচার রোধ করেছেন। তিনি বাজার নিয়ন্ত্রণে অত্যান্ত কঠোর ছিলেন। বাজারের খোঁজ খবর তিনি বাজার থেকেও নিতেন এমনকি মসজিদে খুতবা দিতে দাঁড়িয়েও জনগণ থেকে খবর নিতেন বাজারের দরদাম ঠিক আছে কিনা।  

বাইতুলমালে আয়ের খাত 

১. যাকাত : উমার রা.-এর মতো উসমান রা.-এর সময়ে যাকাত ছিল বড় রাষ্ট্রীয় আয়ের মাধ্যম।  উসমান রা. যাকাত আদায়, যাকাতের সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ এবং যাকাতের সম্পদ ব্যায়ের জন্য আলাদা যাকাত ম্যানেজমেন্ট কমিটি গঠন করে দেন। যাকাত ব্যয়ের নির্দিষ্ট খাতে যাকাত ব্যয় করা হতো। 

২. জিজিয়া : ইসলামী রাষ্ট্রে যারা অমুসলিম ছিল তারা নিরাপত্তা কর বা জিজিয়া দিতেন। এটাও রাষ্ট্রের উল্লেখযোগ্য আয়ের খাত হিসেবে দেখা দেয়। এই কর প্রত্যেক অমুসলিম স্বাধীন সামর্থবান পুরুষের ওপর ধার্য ছিল। কোনো অক্ষম পুরুষ, মহিলা, শিশু ও দাসের ওপর ধার্য ছিল না। এই করের বিনিময়ে অমুসলিম পুরুষেরা তাদের পরিবার নিয়ে বসবাস করবে ও নিরাপত্তা পাবে। তারা প্রতিরক্ষায় কোনো যুদ্ধ বা প্রতিরক্ষা ব্যয়ে কোনো ভূমিকা রাখবে না। মুসলিম সামর্থবান পুরুষেরা এই কর দিবে না। কিন্তু তাদের প্রতিরক্ষা ব্যয় ও প্রতিরক্ষায় যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে হবে। উসমান রা. তার সময়ে ধনীদের জন্য বার্ষিক ৪৮ দিরহাম, মধ্যবিত্তদের জন্য ২৪ দিরহাম ও নিন্মবিত্তদের জন্য ১২ দিরহাম জিজিয়া নির্ধারণ করে দেন।   

৩. খারাজ : ইসলামী রাষ্ট্র যে জমি কোন অমুসলিমকে বন্দোবস্ত দিয়েছে, এমন জমিকে খারাজি জমি বলে। আর এই জমি হতে যে রাজস্ব আদায় করা হয় তাকে খারাজ বলে। খারাজ সাধারণত বছরে একবার আদায় করা হয়। এটা রাষ্ট্রীয়ভাবে নির্ধারিত হয়ে থাকে। ভূমির উর্বরা শক্তি , ধরন, সেচ ইত্যাদির উপর এর পরিমাণ নির্ভর করে। ইসলামের ২য় খলিফা উমার রা. ইরাক, সিরিয়া ও মিশরের বিশাল বিস্তৃত উর্বর ভূমির উপর খারাজ নির্ধারণের জন্য ভূমি রাজস্ব বিশেষজ্ঞ দলের অন্যতম সদস্য উসমান বিন হানিফকে জমির জরিপকার্য সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করে খারাজ নির্ধারণের নির্দেশ জারী করেছিলেন। উসমান রা.-এর সময়ও এই আয় অব্যাহত থাকে।  

৪. বিদেশী পণ্যের উশর : উশর মানে এক দশমাংশ বা ১০%। ইসলামী রাষ্ট্র যখন অনেক বড় হয়ে যায় তখন এখানে ব্যবসা করার জন্য বহু ব্যবসায়ি আসতে থাকে। ফলে রাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। তৎকালীন বিশ্বের নিয়ম অনুসারে বিদেশী ব্যবসায়ীদের ওপর ১০% কর আরোপ করা হয়। 

৫. উশর : কৃষিজাত পণ্যের ওপর নির্ধারিত যাকাতকে উশর বলে। এটা মুসলিমদের ওপর নির্ধারিত ছিল। সেচবিহীন জমিতে উৎপাদিত ফসলের যাকাত ছিল ১০%। আর সেচ দেওয়া জমিতে উৎপাদিত ফসলের যাকাত ছিল ৫%। এছাড়া গবাদি পশুর ওপরও নির্দিষ্ট হারে যাকাত দিতে হতো। 

৬. গনিমতের এক পঞ্চমাংশ : রাসূল সা.-এর সময় গনিমত বা যুদ্ধলব্ধ সম্পদের পাঁচভাগের এক ভাগ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হতো। এর আবার পাঁচ ভাগ করা হতো। ১ম ভাগ রাসূল সা.-এর, ২য় ভাগ রাসূল সা.-এর আত্মীয়দের, ৩য় ভাগ ইয়াতিমদের, ৪র্থ ভাগ মিসকিনদের এবং ৫ম ভাগ মুসাফিরদের। আবু বকর রা. এবং উমার রা.-এর সময়ে গণিমতের সম্পদ একইভাবে ভাগ হতো। ১ম ভাগ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা থাকতো, বাকি ভাগগুলো আহলে বাইত, ইয়াতিম, মিসকিন ও মুসাফিররা পেয়ে যেত। রাসূল সা.-এর অংশ দিয়ে জিহাদের জন্য যুদ্ধ সরঞ্জাম কেনা হতো। 

৭. ফাই : যুদ্ধ ছাড়াই শত্রুপক্ষ থেকে যেসব সম্পদ অর্জিত হতো সেগুলোকে ফাই বলা হয়। ফাইয়ের পুরোটাই বাইতুলমালে জমা হতো। 

৮. খনিজ সম্পদ : খনির মালিক রাষ্ট্র। এর আয় বাইতুলমালে জমা হতো। 

৯. গুপ্তধন : গুপ্তধনের এক পঞ্চমাংশ রাষ্ট্রীয় কোষগারে জমা করার নির্দেশ দেন উমার রা.। 
   
বাইতুলমালের ব্যয়ের খাত : 

১. যাকাতের অর্থ ব্যয় : উসমান রা. যাকাতের অর্থ থেকে রাষ্ট্রের অনেক খরচ মিটিয়ে ফেলতেন। ফকির, মিসকিন, ঋণগ্রস্থদের সাহায্য করতেন। মুসাফিরদের সেবা ও আপ্যায়নে খরচ করতেন। মুসলিম দাসদের মুক্তির জন্যও এই অর্থ ব্যবহার করতেন। জিহাদের ব্যয় মিটাতেও তিনি যাকাতের অর্থ ব্যবহার করতেন। 

২. গভর্নর ও সরকারি চাকুরেদের বেতন : মুহাম্মদ সা. ও আবু বকর রা.-এর সময়ে এমন বেতনধারী সরকারি লোক ছিল না। উমার রা. তাঁর শাসনামলে সরকারি কাজে নিয়োগ দেওয়া শুরু করেছেন। রাষ্ট্রও তখন অনেক বড় হয়েছিল। তাই রাষ্ট্রীয় কাজে বহু মানুষের দরকার হয়ে পড়ে। তিনি সবার জন্য মর্যাদা অনুসারে বেতনের ব্যবস্থা করেন, যাতে করে তারা সরকারি কাজে মননিবেশ করতে পারে। উমার রা. রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে নিয়মিত বেতনের ব্যবস্থা করেছেন। উসমান রা.-এর আমলে এই ধারা অব্যাহত থাকে।

৩. সেনাবাহিনীর বেতন : মুহাম্মদ সা. ও আবু বকর রা.-এর সময়ে নিয়মিত সেনাবাহিনী ছিল না। যুদ্ধের প্রয়োজন হলে সাহাবারা সবাই যোদ্ধা হয়ে যেতেন আবার ফিরে এসে নিজ নিজ পেশায় চলে যেতেন। উমার রা.-এর সময়ে নিয়মিত রাজ্যজয় ও বিশাল সাম্রাজ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিনি নিয়মিত সেনাবাহিনী প্রতিষ্ঠা করেন। যাদের কাজ ছিল শুধুমাত্র যুদ্ধ করা ও প্রতিরক্ষার দায়িত্ব পালন করা। তাদের অন্য পেশায় লিপ্ত হওয়া নিষিদ্ধ ছিল। উসমান রা.-এর সময়ও রাষ্ট্রীয় খরচের একটা অংশ ছিল সেনাবাহিনীর বেতন। 

৪. নাগরিকদের ভাতা : উমার রা.-এর সময় থেকে যখন রাষ্ট্রীয় আয় অনেক বেশি হয়ে যায় তখন তিনি সকল নাগরিকদের জন্য ভাতা নির্ধারণ করে দেন। এক্ষেত্রে যারা মুহাজির ও বাদরি সাহাবী তাদের পরিমাণ সবার চেয়ে বেশি ছিল। এরপর হুদায়বিয়ার আগ পর্যন্ত যারা ইসলাম গ্রহণ করেছে তাদের স্থান ছিল। তারপর যারা মক্কা বিজয়ের আগে ইসলামগ্রহণ করেছে তাদের স্থান ছিল। এরপর ছিল মক্কা বিজয়ের পরে যারা ঈমান এনেছে তাদের স্থান। এই ভাতা থেকে কেউ বঞ্চিত ছিল না। একজন নবজাতক শিশু জন্ম নেওয়ার সাথে সাথেই তার ভাতা পেয়ে যেত। উসমান রা.-এর সময়ও এই ভাতা অব্যাহত থাকে। 

৫. গনীমতের সম্পদ ব্যয় : গনীমতের সম্পদ পাঁচ ভাগের এক ভাগ বাইতুলমালে জমা হতো। আর বাকী চার ভাগ মুজাহিদদের মধ্যে বন্টিত হতো। পদাতিক সৈন্যরা পেত এক ভাগ আর অশ্বারোহীরা পেত তিন ভাগ। অশ্বারোহীরা বাড়তি ঘোড়া ক্রয় ও লালনপালনের জন্য। এই কারণে দেখা যেত সেসময়ে সরকারি চাকুরেদের মধ্যে সবচেয়ে ধনী ছিল সেনাবাহিনী।

৬. খলিফার ভাতা : বাইতুলমাল থেকে খলিফার ভাতা নির্ধারণের বিষয়টা আবু বকর রা.-এর সময় থেকে চালু হলেও উসমান রা. বাইতুল মাল থেকে ভাতা নিতেন না। উসমান রা. সেসময়ের শীর্ষ ধনীদের একজন ছিলেন। 

৭. মুয়াজজিনদের জন্য ভাতা : উসমান রা. মসজিদের মুয়াজজিনদের জন্য ভাতার ব্যবস্থা করেন। উমার রা.-এর সময়ে এর প্রচলন ছিল না। মুয়াজজিনগণ মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণ ও দেখাশোনা করতেন।  

৮. মসজিদুল হারাম সম্প্রসারণ : উমার রা.-এর সময় থেকেই মক্কা সারা পৃথিবীর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ শহরে পরিণত হয়। এখানে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়তেই থাকে। উসমান রা. হারামের আশেপাশের জমি ক্রয় করে হারামের এরিয়া বাড়ান। ২৬ হিজরিতে তিনি মসজিদুল হারামের এরিয়া সম্প্রসারণ করেন। 

৯. মসজিদে নববী সংস্কার : মদিনা ছিল পৃথিবীর রাজধানী। মুসলিম জাহানের খলিফা এখানে থেকেই রাষ্ট্র পরিচালনা করতেন। পৃথিবীর সেরা গুরুত্বপূর্ণ শহরে পরিণত হয়েছিল মদিনা। এখানে বসবাসকারীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় মসজিদে নববীতে স্থান সংকুলান হচ্ছিল না। ২৯ হিজরিতে উসমান রা. মসজিদে নববী ভেঙ্গে নতুন করে ও বড় করে প্রস্তুত করেন।  

১০. জিদ্দায় নৌ-বন্দর নির্মাণ : মক্কাবাসীদের নৌ-যোগাযোগ সুবিধার জন্য জিদ্দায় সর্বপ্রথম উসমান রা. নৌ-বন্দর নির্মাণ করেন। এটাই রাষ্ট্রের প্রধান নৌবন্দরে পরিণত হয়। ২৬ হিজরিতে এই বন্দর প্রতিষ্ঠা হয়। 

১১. নৌ-বাহিনী সৃষ্টি : উসমান রা.-এর আমলে সিরিয়ার গভর্নর মুয়াবিয়া রা. রোমানদের বিরুদ্ধে নৌযুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার জন্য অনুমতি চেয়েছিলেন। প্রথমে উসমান রা. অনুমতি না দিলেও পরে নানান দিক বিবেচনায় নৌ-যুদ্ধের অনুমতি দেন। এজন্য মুয়াবিরা রা.-এর নেতৃত্বে প্রথম নৌ-বহর তৈরি করেন। এই নৌবাহিনী তৈরিতে বাইতুলমালের অর্থ ব্যয় হয়। 

১২. হাজ্জ ব্যবস্থাপনা : উসমান রা.-এর আমলে বিশাল সংখ্যক হাজিদের জন্য হজ্ব ব্যবস্থাপনায় বাইতুলমালের অর্থ ব্যবহার করা হতো। 

১৩. মসজিদে খাবারের ব্যবস্থা : মসজিদে ইতিকাফকারী ও ইবাদতকারীদের কষ্ট লাঘব করার জন্য বাইতুল মাল থেকে তাদের খাবারের ব্যবস্থা করা হতো। গরিব ও অসহায়রাও এই খাবারের সুযোগ নিতে পারতো। 


0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন