৩য় খলিফা উসমান রা. ছিলেন মজলুম শাসক। তাকে জালিমরা অন্যায়ভাবে খুন করেছে আর ইতিহাসবিদদের একাংশ তার কর্মকাণ্ডের অন্যায্য সমালোচনা করে তাঁর মর্যাদাকে খুন করার অপচেষ্টা চালায়। আলী রা.-এর শাহদাতের পর সৃষ্ট শিয়াদের উগ্র অংশ মূলত এসব অবান্তর সমালোচনার আবিষ্কারক। রাষ্ট্র পরিচালনা করতে গিয়ে সাহাবাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতপ্রার্থক্য হলেও সাহাবারা পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। স্বৈরাচারী ইয়াজিদের অপরাধের দায় তার পিতা ও তার বংশের ওপর চাপানো হয়। এভাবে উমাইয়া বংশের হওয়াতে উসমান রা. শিয়াদের উগ্র অংশের হিংসার মুখোমুখি হন।
উসমান রা.-এর বিরুদ্ধে চর্চিত অভিযোগ মোটাদাগে তিনটি।
১. সরকারি পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি
২. আত্মীয়দের মধ্যে রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিলিবন্টনের অভিযোগ
৩. বিশিষ্ট সাহাবী আবু যর রা.-কে বহিষ্কার
সরকারি পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি :
সরকারি পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদ ছিল গভর্নর ও যুদ্ধের সেনাপতি। উসমান রা.-এর শাসনামলে ২৬ জন এসব বড় দায়িত্ব পালন করেন। এর মধ্যে উমাইয়া বংশের ছিল মোটে ৫ জন। তারা হলেন, মুয়াবিয়া রা., আব্দুল্লাহ ইবনে সা'দ, ওয়ালিদ ইবনে উকবা, আব্দুল্লাহ ইবনে আমির ও সাঈদ ইবনুল আস। এর মধ্যে আব্দুল্লাহ ইবনে আমির ও সাঈদ ইবনুল আস নিয়োগ পেয়েছে উসমান রা.-এর শাসনামলে। আর বাকি ৩ জন আগে থেকেই সরকারি দায়িত্ব পালন করতেন। ২৬ জনের মধ্যে মাত্র দুইজন। এটা মোটেই বেশি নয়। আর উমাইয়া বংশের লোকেরা জাহেলি যুগ থেকেই যুদ্ধ ও রাজনীতিতে অগ্রগামী ছিল। সেই হিসেবে অনেক কমই নিয়োগ পেয়েছে উমাইয়া বংশ থেকে।
এখানে যেটা উল্লেখযোগ্য সেটা হলো উমার রা. যোগ্যতা থাকলেও তার বংশের কাউকে নিয়োগ দিতেন না, যাতে কেউ প্রশ্ন তুলতে না পারে। কিন্তু এর মানে এই নয় যে, নিজ বংশের যোগ্যতর কাউকে দায়িত্ব দেওয়া অবৈধ। এই প্রসঙ্গে উসমান রা. বলেন, "উমার রা. আল্লাহর জন্য নিকটাত্মীয়দের বঞ্চিত করতেন। আর আমি আল্লাহর জন্যই আত্মীয়দের দান করি"। অর্থাৎ তাঁর মতে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নির্দেশ আত্মীয়দের প্রতি সদাচরণ ও তাদের হক আদায় করা। যোগ্যতা থাকলেও তাকে নিয়োগ না দেওয়া তাঁর মতে ছিল অবিচার। তাই তিনি এই ব্যাপারে উমার রা.-এর নীতি অনুসরণ করেন নি। যোগ্যতা অনুযায়ী শাসনকার্যে আত্মীয়রা নিয়োগ পেতেন।
উসমান রা. যোগ্যতা ছাড়া কাউকে কোনো এক্সট্রা সুবিধা দেন নি। আর তাছাড়া উসমান রা. তাঁর প্রতিটি সিদ্ধান্তই পরামর্শভিত্তিক গ্রহণ করতেন। বিশেষভাবে আলী রা.-এর মতামতকে তিনি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতেন। এক মজলিসে শুরায় উসমান রা. আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেন, আমি নিজ সম্পর্কে ও যাদেরকে নিয়োগ দিয়েছি তাদের সম্পর্কে তোমাদের অবহিত করবো। আমার পূর্বসূরি দুইজন নিজেদের ওপর জুলম করেছেন। তারা নিকটাত্মীয়ের দূরে রেখেছেন। তোমরা জানো রাসূল সা. স্বীয় আত্মীয়দের নিয়োগ দিতেন ও দান করতেন। আর আমার খান্দানের জনসংখ্যা বেশি, তারা দরিদ্রও বটে। তাই আমি তাদের জন্য হস্ত প্রসারিত করি। তোমরা যদি এটাকে ভুল মনে করো তবে তা ফিরিয়ে নিতে পারো।
মুয়াবিয়া রা. :
মুয়াবিয়া রা. সরকারি কাজে যুক্ত হয়েছে রাসূল সা.-এর আমল থেকেই। তিনি রাসূল সা.-এর দাপ্তরিক কাজের ও অহি লিপিবদ্ধ করার দায়িত্ব পালন করেন। সিরিয়া অভিযানে আবু বকর রা. তাকে তার ভাই ইয়াজিদের সাথে যুদ্ধে প্রেরণ করেন। উমর রা.-এর আমলে সিরিয়াতে পর পর কয়েকজন গভর্নর মহামারীতে মৃত্যুবরণ করেন। সর্বশেষ ইয়াজিদ ইবনে আবু সুফিয়ান রা.। তাঁর মৃত্যুর পর মুয়াবিয়া রা.-কে সিরিয়ার গভর্নরের দায়িত্ব দেন। উসমান রা.-এর আমলে মুয়াবিয়া রা. একই দায়িত্বে বহাল থাকেন। এই সময়ে মুয়াবিয়া রা. নৌবাহিনী গঠন ও নৌযুদ্ধে মুসলিমদের অভিষেকের মতো গুরুদায়িত্ব পালন করেন। তিনি সাইপ্রাস দ্বীপ ইসলামী রাষ্ট্রের অধিকারে আনেন ও ভূমধ্যসাগরে মুসলিমদের কর্তৃত্ব বৃদ্ধিতে দারুণ ভূমিকা রাখেন। তিনি সিরিয়া সীমান্তে রোমানদের কর্তৃত্ব খর্ব করেন। শাসক হিসেবে তিনি তাঁর যোগ্যতার প্রমাণ দেন।
আব্দুল্লাহ ইবনে সা'দ :
আমর ইবনুল আস রা.-এর যোগ্য সহযোগী ছিলেন আব্দুল্লাহ ইবনে সা'দ। মিশর অভিযানে আমর রা.-এর ডেপুটি সেনাপতি হিসেবে ভূমিকা রাখেন। মিশরের বিশাল অংশ নিয়ন্ত্রণে আব্দুল্লাহ ইবনে সা'দ আমর রা.-কে সহায়তা করতেন। উমার রা. আবদুল্লাহ ইবনু সা'দকে মিশরের কিছু অংশের শাসক নিযুক্ত করেছিলেন। এই ব্যবস্থা উসমান রা.-এর আমলের শুরুর দিকেও বহাল ছিলো। কিছুদিন পর মিসরের কতিপয় অধিবাসী শাসক হিসেবে আমর রা.-এর কঠোরতার ব্যাপারে উসমান রা.-এর কাছে অভিযোগ করেন।
তাছাড়া আমর রা.-এর আমলে রাজস্ব আয়ে ঘাটতি দেখা দেয়। তাই উসমান রা. গভর্ণর আমরের কর্তৃত্ব খর্ব করে তাকে শুধু সালাতে ইমামতির দায়িত্ব দেন এবং আবদুল্লাহ ইবনু সা'দকে প্রতিরক্ষা ও রাজস্ব বিভাগের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেন। শীঘ্রই এই নিয়োগের সুফল পাওয়া যায়। আবদুল্লাহ ইবনু সা'দ দায়িত্ব গ্রহণের পর মিসরের রাজস্ব আয় বেড়ে যায়। তবে আমর রা. ও আবদুল্লাহর মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিলে খলিফা উসমান রা. আমর রা.-কে মদিনায় প্রত্যাহার করেন ও রাষ্ট্র পরিচালনায় উপদেষ্টা নিয়োগ করেন। আর মিশরের শাসক হিসেবে আব্দুল্লাহ ইবনে সা'দকে নিযুক্ত করেন। আমর রা. রোমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে পারদর্শীতা দেখালেও আফ্রিকার বিস্তীর্ণ অঞ্চল বিজয় করতে ব্যর্থ হয়েছেন। আব্দুল্লাহ ইবনে সা'দ দায়িত্ব পেয়ে সেই ব্যর্থতাকে সফলতায় পরিণত করেন। সুদান বিজয় করেন।
ওয়ালিদ ইবনে উকবা :
ওয়ালিদ ইবনে উকবা রা.-এর ব্যাপারে একটি নেগেটিভ ঘটনা ছিল। তারপরেও তিনি নবিজীর আমলেই ক্ষমা লাভ করেন ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন শুরু করেন। অনেক মুফাসসির দাবি করেছেন, সূরা হুজুরাতের ৬ নং আয়াত তাঁর ব্যাপারে নাজিল হয়। বনী মুসতালিক গোত্র মুসলমান হলে রসূলুল্লাহ সা. তাদের থেকে যাকাত আদায় করে আনার জন্য ওয়ালীদ ইবনে উকবাকে পাঠালেন। তিনি তাদের এলাকায় পৌঁছে কোন কারণে ভয় পেয়ে গেল এবং গোত্রের লোকদের কাছে না গিয়েই মদীনায় ফিরে গিয়ে রাসূল সা.-এর কাছে এ বলে অভিযোগ করলো যে, তারা যাকাত দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে এবং আমাকে হত্যা করতে উদ্যত হয়েছে। এ খবর শুনে নবী সা. অত্যন্ত অসন্তুষ্ট হলেন এবং তাদের শায়েস্তা করার জন্য এক দল সেনা পাঠাতে মনস্থ করলেন।
কোন কোন হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি সেনাদল পাঠিয়েছিলেন এবং কোন কোনটিতে বর্ণিত হয়েছে যে, পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন। মোটকথা, এ বিষয়েই সবাই একমত যে, এ সময় বনী মুসতালিক গোত্রের নেতা হারেস ইবনে দ্বিরার (উম্মুল মু’মিনীন হযরত জুয়াইরিয়ার পিতা) এক প্রতিনিধি দল নিয়ে নবী সা.-এর খেদমতে হাজির হন। তিনি বললেন, আল্লাহর কসম যাকাত দিতে অস্বীকৃতি এবং ওয়ালীদকে হত্যা করার চেষ্টা তো দূরের কথা তার সাথে আমাদের সাক্ষাত পর্যন্ত হয়নি। আমরা ঈমানের ওপর অবিচল আছি এবং যাকাত প্রদানে আদৌ অনিচ্ছুক নই। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে এ আয়াত নাযিল হয়। তবে আবার কেউ কেউ দাবি করেছেন ওয়ালিদ ইবনে উকবা সেই ব্যক্তি ছিলেন এমন অকাট্য প্রমাণ নেই।
তবে যাই হোক আল ওয়ালিদ কিন্তু উসমান রা.-এর আমলেই প্রথম সরকারি দায়িত্বে নিযুক্ত হন নি। তিনি তার বিশ্বস্ততার দরুণ আবু বকর রা. ও উমার রা.-এর আমলেও যাকাত কালেক্টর হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। আবু বকর রা. তাঁকে জর্ডান অভিযানে প্রধান সেনাপতি হিসেবে নিযুক্ত করেছেন।
কুফায় সা'দ বিন আবি ওয়াক্কাস রা. ও আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা.-এর মধ্যেকার মতবিরোধের দরুণ সা'দ রা.-কে প্রত্যাহার করতে হয়। তদস্থলে উসমান রা. ওয়ালিদ ইবনে উকবা রা.-কে নিয়োগ দেন। আল ওয়ালিদ ইবনে উকবা দায়িত্ব পেয়ে কুফায় শক্তিশালী শাসন চালু করতে সক্ষম হন। উমার রা.-এর আমল থেকেই কুফার বাসিন্দারা শাসকদের নানানভাবে হেনস্থা করতো। মুগিরা বিন শুবা ও আল ওয়ালিদ সেটা দারুণভাবে কন্ট্রোল করতে সক্ষম হন।
এছাড়াও তিনি আজারবাইজান, আর্মেনিয়া ও ইরানে অভিযান পরিচালনা করে প্রাচ্যের বিস্তীর্ণ অঞ্চল ইসলামী রাষ্ট্রের অধিকারে নিয়ে আসেন। তবে তিনি কুফার ষড়যন্ত্রকারীদের কবলে পতিত হন। সমালোচনাকারীরা বলতে চান উসমান রা. এমন একজনকে গভর্নর নিয়োগ দিয়েছেন যিনি মদ্যপানের শাস্তি পেয়েছেন।
কুফার কিছু লোক ইবনে হাইসামান নামে এক যুবককে হত্যা করে। আল ওয়ালিদ এই ব্যাপারে শক্ত অবস্থান নেন। খুনীদের শাস্তি দেন। সেই থেকে খুনীদের আত্মীয়রা আল ওয়ালিদকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেন। আল ওয়ালিদ কতিপয় খ্রিস্টানকে ইসলামের দাওয়াত দেওয়ার জন্য তাদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলেন। এর মধ্যে একজন একদিন মদসহ ওয়ালিদ রা.-এর দরবারে উপস্থিত হন।
তাবারি উল্লেখ করেছেন, আল ওয়ালিদ রা. মদপান করেননি। কিন্তু মদসহ খ্রিস্টান অতিথি দরবারে উপস্থিত ছিল। এই নিয়ে ঐ খুনীদের আত্মীয়দের চারজন উসমান রা.-এর কাছে সাক্ষ্য দেয় যে, তারা ওয়ালিদ রা.-কে মদপান করতে দেখেছে।
সাক্ষ্যের ভিত্তিতে উসমান রা. হদ প্রয়োগ করতে বাধ্য হন। তিনি আত্মীয় বলে তাঁকে ছেড়ে দেননি। উসমান রা. নিজেও বুঝেছেন যে, আল ওয়ালিদ মদপান করেন নি। তিনি আল ওয়ালিদকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমরা সাক্ষ্যের ভিত্তিতে হদ প্রয়োগ করবো। মিথ্যা সাক্ষীর বাসস্থান হবে জাহান্নামে। অতএব ধৈর্যধারণ করো হে ভাই!
এটা উসমান রা.-এর ত্রুটি নয়, বরং প্রশংসার ব্যাপার। তিনি স্বজন বলে ছাড় দেননি। যদিও আল ওয়ালিদ রা. দোষী ছিলেন না। শুধু তাই নয়, বিতর্ক তৈরি হবে বলে তিনি গভর্নরের দায়িত্ব থেকেও অব্যাহতি দিয়েছেন। উসমান রা.-এর সিলেকশনেও ভুল ছিল না। এর আগে বা পরে কখনোই আল ওয়ালিদের বিরুদ্ধে মদপানের অভিযোগ আসে নি।
সাঈদ ইবনুল আস:
আল ওয়ালিদের প্রত্যাহারের পর সাঈদ ইবনুল আসকে কুফার গভর্নরের দায়িত্ব দেওয়া হয়। সাঈদ বাগ্মী ও বিশুদ্ধভাষী ছিলেন। তিনি কুরআন সংকলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিক রাখেন। ইসলামী রাষ্ট্রের দাপ্তরিক দায়িত্বও পালন করেন। কুফার দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি দারুণভাবে কুফাকে সামলেছেন। তিনি প্রাচ্যের বিভিন্ন অঞ্চল ইসলামী রাষ্ট্রের অধিকারে নিয়ে আসেন। তিনি তার দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।
আব্দুল্লাহ ইবনে আমির :
বসরার শাসক ছিলেন আবু মুসা আশআরি রা.। তিনি ভালো শাসক ছিলেন। কিন্তু তিনি নিজ সেনাবাহিনীর বিরাগভাজন হওয়ায় তাকে প্রত্যাহার করতে হয়েছে। এরপর উসমান রা. আব্দুল্লাহ ইবনে আমিরকে শাসক নিযুক্ত করেন। আব্দুল্লাহ ইবনে আমির সেরা গভর্নরদের মধ্যে একজন ছিলেন। প্রাচ্যে কাবুল পর্যন্ত তিনি বিজয়ী হয়। উসমান রা.-এর আমলে সবচেয়ে বেশি এলাকা বিজয় করেন আব্দুল্লাহ ইবনে আমির।
৭ম হিজরিতে কাজা উমরাহ পালন করছিলেন রাসূল সা.। সেসময় আব্দুল্লাহ ইবনে আমির ছিল একেবারে শিশু। মুহাম্মদ সা. তাকে আদর করলেন ও অনিষ্ট থেকে রক্ষার জন্য তার মুখে হালকা থুথু ছিটিয়ে দিলেন। আব্দুল্লাহ ইবনে আমির তা খেয়ে নিল। রাসূল সা. বললেন, এ তো তৃষ্ণা নিবারণকারী হবে। আব্দুল্লাহ ইবনে আমির মরুভূমিতে যে পথ দিয়ে যেতেন সেখানে পানি পাওয়া যেত। এছাড়াও তিনি বসরার শাসক থাকা অবস্থায় প্রায় ১০ টি খাল কেটে মানুষের পানির সমস্যার সমাধান করে দেন।
উসমান রা. নিয়োগকৃত গভর্নর দুইজনই ছিলেন সফল ও কর্মে দক্ষ।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন