উপমহাদেশে ছাত্র রাজনীতির ইতিহাস নিয়ে আমরা আলোচনা করছিলাম। গত পর্বে আমরা উল্লেখ করেছি কীভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতির উত্থান হয়েছিল এবং কীভাবে উপমহাদেশে লেজুড়ভিত্তিক ছাত্র রাজনীতির সূচনা হয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় এই পর্বের আলোচনা করবো।
ইসলামী জমিয়তে তলাবা
১৯৪১ সালে ২৬ আগস্ট উপমহাদেশে জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর জাগরণী সংগঠন জামায়াতে ইসলামীর জন্ম হয় পৃথিবী বিখ্যাত ইসলামিক স্কলার ও সংগঠক মাওলানা সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদূদী রহ.-এর হাত ধরে।[১] অল্প সময়ের মধ্যেই মুসলিমদের মধ্যে সাড়া পড়ে যায়। বহু জিন্দাদিল মুসলিম এমন একটি সংগঠন ও নেতার জন্য অপেক্ষা করছিল। তারা তাদের প্রাণের কাফেলায় যোগদান করে। এই সংগঠনে উল্লেখযোগ্য ছাত্র ও তরুণ যুক্ত হয়।
কয়েকবছর পর দেখা গেল ছাত্র ও যুবকদের গতির সাথে বয়স্করা পেরে উঠছেন না। তাই ছাত্র ও তরুণদের গতি অটুট রাখার জন্য জামায়তে ইসলামীর মজলিশে শুরা ১৯৪৭ সালে ছাত্র ও তরুণদের জন্য একই আদর্শের পৃথক সংগঠন অনুমোদন করে। নতুন সংগঠনের নাম রাখা হয় ইসলামী জমিয়তে তালাবা (ইসলামী ছাত্রসংঘ)। ইসলাম প্রতিষ্ঠা বা দ্বীন কায়েমের ফরজ দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে ইসলামী জমিয়তে তলাবাই উপমহাদেশের ১ম ছাত্র সংগঠন।
গত পর্বে আমরা দুইটি ছাত্র সংগঠনের কথা উল্লেখ করেছি। অল বেঙ্গল মুসলিম স্টুডেন্টস লীগ ও স্টুডেন্ট ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া। এই দুইটি সংগঠন যতটা না ছাত্রদের অধিকার আদায়ে তৈরি হয়েছে তার চাইতে বেশি জোর ছিল তাদের মূল সংগঠনের এজেন্ডা বাস্তবায়নে। ইসলামী জমিয়তে তলাবার ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
ছাত্রদের মধ্যে ইসলামী স্টেট কায়েমের জজবা ও দায়িত্ব উপলব্দি করানোই ছিল জমিয়তে তলাবার মূল লক্ষ্য। ১৯৪৭ সালের ২৩ ডিসেম্বর লাহোরে এই সংগঠনের যাত্রা শুরু হয়। [২] ইসলামী জমিয়তে তালাবার ১ম কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন জাফরুল্লাহ খান। বাংলাদেশের শহীদ মতিউর রহমান নিজামী ছিলেন ইসলামী জমিয়তে তালাবার ১৩ তম কেন্দ্রীয় সভাপতি। বৃটিশদের থেকে স্বাধীনতা লাভের পর গঠিত হওয়া প্রথম ছাত্র রাজনৈতিক দল ইসলামী জমিয়তে তলাবা।
ইস্ট পাকিস্তান মুসলিম স্টুডেন্টস লীগ
গত পর্বে আমরা উল্লেখ করেছি, হুসেইন শহীদ সোহরাওয়ার্দি মুসলিম ছাত্রদের নিয়ে মুসলিম লীগের অধীনে ছাত্রদের একটি সংগঠন অল বেঙ্গল মুসলিম স্টুডেন্টস লীগ গঠন করেন। সভাপতি হন ঢাকার আব্দুল ওয়াসেক, সাধারন সম্পাদক হন যশোরের শামসুর রহমান। বৃটিশ শাসনামলে অনুষ্ঠিত ১৯৩৭ সালের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই দলটি তিন মুসলিম নেতার অনুসারীদের মধ্যে বিভক্ত হয়ে যায়। কলকাতা, হুগলি তথা পশ্চিমবঙ্গ কেন্দ্রীক প্রাধান্য থাকে সোহরাওয়ার্দি ও শেরে বাংলার স্টুডেন্টস লীগ। আবার ঢাকায় থাকে খাজা নাজিমুদ্দিনের স্টুডেন্টস লীগ।
সেসময় স্টুডেন্টস লীগের সভাপতি পদ ছাত্রদের কাছে থাকতো না। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা সভাপতির দায়িত্ব পালন করতেন। সেক্রেটারি হতো মূল ছাত্রদের নেতা। এখন যেরকম ডাকসুতে হয়। ডাকসুর সভাপতি হন ইউনিভার্সিটির ভিসি। আর ভিপি বা ভাইস প্রেসিডেন্ট হলো ছাত্রদের মূল নেতা। ১৯৪৫ সালে অল বেঙ্গল মুসলিম স্টুডেন্টস লীগ তথা ছাত্রলীগের সেক্রেটারি ছিলেন শাহ আজিজুর রহমান। তিনি পরবর্তীতে ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশের ৫ম প্রধানমন্ত্রী হন। [৩]
১৯৪৭ সালেও অল বেঙ্গল মুসলিম স্টুডেন্টস লীগের নেতা ছিলেন শাহ আজিজুর রহমান। এদিকে শেখ মুজিব ছাত্রলীগে কখনোই যুক্ত ছিলেন না। তিনি মূল সংগঠন মুসলিম লীগে সক্রিয় ছিলেন সোহরাওয়ার্দির অনুসারী হিসেবে। শাহ আজিজ সত্যিকার অর্থেই ছাত্রনেতা ছিলেন। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্র ছিলেন। তার কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা তাকে নেতা হিসেবে মেনে নিতে অসুবিধা হয় নি। ঢাবি'র ছাত্ররা স্বভাবতই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে বড় বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে সম্মান করতো। ঢাবির শিক্ষকদের একটি বড় অংশ কলকাতা থেকেই এসেছিল।
১৯৪৭ সালে কলকাতা যাতে পাকিস্তানের অংশ হয় এজন্য সোহরাওয়ার্দি চেষ্টা করেছিলেন। শাহ আজিজ ও শেখ মুজিবও একই পক্ষে ছিলেন। কারণ তারা কলকাতার নেতা। ঢাকায় তাদের অবস্থান দুর্বল। অন্যদিকে কংগ্রেস, হিন্দু নেতা, কলকাতার এলিট শ্রেণি ও দেওবন্দী আলেমদের প্রচেষ্টায় কলকাতা পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হতে পারেনি। অবশেষে মুসলিমদের একটি শহর হিন্দুদের কাছে চলে গেলো। কলকাতাকে মুসলিমদের শহর বলেছি কলকাতার পৌর নির্বাচন থেকে শুরু করে আইন পরিষদের নির্বাচন সব নির্বাচনে মুসলিমরা অধিকাংশবার বিজয়ী হয়েছে। ১৯৩৫ সালে কলকাতার মেয়র নির্বাচিত হন শেরে বাংলা ফজলুল হক।
১৯৪৭ সালের আগস্টে পাকিস্তান স্বাধীন হলো। কলকাতা হয়ে হিন্দুস্থানের অংশ। কলকাতার মুসলিম নেতারা কলকাতা থেকে ঢাকায় চলে আসলো। সোহরাওয়ার্দি তার অধীনস্ত দুই নেতা শাহ আজিজ ও শেখ মুজিবকে তিনি ঢাকায় পাঠান। শাহ আজিজ যেহেতু পুরো ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন তিনি দ্রুতই ঢাকার ছাত্রদের নেতা হয়ে গেলেন। অল্প সময়ের মধ্যে তিনি ঢাকার ছাত্রদের নিয়ন্ত্রণ শুরু করলেন। শাহ আজিজ ও শেখ মুজিব একই নেতার অনুসারী হলেও তারা পরষ্পরের প্রতি সৌহার্দপূর্ণ ছিলেন না। শাহ আজিজ ছাত্রনেতা হিসেবে খ্যাতিমান হলেও শেখ মুজিব মারদাঙ্গা অর্থাৎ সোহওয়ার্দির পেয়াদা হিসেবে খ্যাতিমান ছিলেন। বিশেষত কলকাতায় হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গায় তিনি মুসলিমদের পক্ষে ভূমিকা রেখে নাম করেন।
শেখ মুজিব শাহ আজিজের এই উত্থান মেনে নিতে পারেনি। শাহ আজিজের মতো তিনিও ঢাবিতে ভর্তি হন। এরপর ফজলুল হক হলে তার মতো মারদাঙ্গাদের একত্র করেন। ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি তিনি তার অনুসারীদের মধ্যে ঘোষণা করেন, যেহেতু পাকিস্তান গঠন হয়েছে। বাংলা ভাগ হয়ে গেছে। তাই আমরা এখন আর অল বেঙ্গল মুসলিম স্টুডেন্টস লীগ দলের নাম থাকতে পারে না। আমাদের দলের নাম হবে ইস্ট পাকিস্তান মুসলিম স্টুডেন্টস লীগ। নইমউদ্দিনকে কনভেনর করা হলো। [৪]
নইমউদ্দিনকে কনভেনর করা হলেও শেখ মুজিবই ছিলেন নতুন এ ছাত্রসংগঠনের প্রাণশক্তি। সমসাময়িক ছাত্রনেতৃবৃন্দের মধ্যে অনেকের চেয়ে তিনি ছিলেন বয়সে জ্যেষ্ঠ। হয়তো সে কারণে তিনি নিজেকে ছাত্রসংগঠনের শীর্ষ পদে অধিষ্ঠিত করেননি।
আমরা এখন যে ছাত্রলীগের সাথে পরিচিত তার প্রতিষ্ঠা ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি বলা হলেও এটি ছিল মূলত অল বেঙ্গল স্টুডেন্ট লীগের ভাঙন। এই দিন মূল ছাত্রলীগ থেকে উগ্র ও কমিউনিস্ট ভাবাপন্নরা আলাদা হয়েছিল। শেখ মুজিবের ছাত্রলীগ ১৯৪৮ সালে শাহ আজিজের ছাত্রলীগের সাথে টেক্কা দিতে পারেনি। তারা কয়েকটি দাঙ্গা-হাঙ্গামায় যুক্ত হয়ে পড়ে এবং মুজিবসহ সবাই এরেস্ট হয়।
কিন্তু তার পরের বছর মুসলিম লীগ ভেঙে আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠন হয় তখন শেখ মুজিবের ছাত্রলীগের সুদিন ফিরে আসে। শেখ মুজিবের ছাত্রলীগ আওয়ামী মুসলিম লীগের লেজুড়ভিত্তিক ছাত্র সংগঠনে পরিণত হয়। ফলে শাহ আজিজের ছাত্রলীগ বাংলায় আর ভালো করতে পারেনি। মুজিবের ছাত্রলীগই মূল ছাত্রলীগে পরিণত হয়।
ছাত্র ইউনিয়ন
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট ছাত্রদের সংগঠন। এটি বাংলাদেশের অন্যতম একটি ছাত্র সংগঠন। সংগঠনটি ১৯৫২ সালের ২৬শে এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই সংগঠনের মাদার পলেটিক্যাল পার্টি ছিল পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টি। কমিউনিস্ট পার্টি ছিল গোপন সংগঠন। তাই এদের ছাত্র সংগঠন ছাত্র ইউনিয়নও আন্ডারগ্রাউন্ড পার্টি ছিল। ছাত্র ইউনিয়নের নেতা কর্মীরা প্রকাশ্যে ছাত্রলীগে সক্রিয় ছিল এবং ছাত্রলীগের সিদ্ধান্তকে ম্যানিপুলেট করার চেষ্টা করতো। ভাষা আন্দোলনকে সামনে রেখে কমিউনিস্টরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই ছাত্রসংগঠন প্রতিষ্ঠা করে।
ভাষা আন্দোলনের পটভূমিকায় কমিউনিস্টরা সাফল্য পেলে ১৯৫২ সালের এপ্রিল মাসে ঢাকায় একটি প্রাদেশিক সম্মেলন করে কমিউনিস্ট ভাবাপন্ন ছাত্ররা। যেখানে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল শিক্ষার্থীদের একতাবদ্ধ করতে পারে এমন একটি অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ও কম্যুনিজম রাজনৈতিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ গণ ছাত্র সংগঠন গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় ১৯৫২ সালের ২৬ এপ্রিল ঐক্য, শিক্ষা, শান্তি, প্রগতি -এ চার মূলনীতিকে ভিত্তি করে ঢাকার বার লাইব্রেরি হলে পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠিত হয়। [৫]
জন্মলগ্নে এ-ই সংগঠনের যুগ্ন আহ্বায়ক ছিলেন কাজী আনোয়ারুল আজিম ও সৈয়দ আব্দুস সাত্তার। এরপর ১৯৫২ সালের ডিসেম্বরে প্রথম সম্মেলনে মোহাম্মদ সুলতান সভাপতি ও মোহাম্মদ ইলিয়াস সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়। এই সম্মেলনেই সংগঠনের ঘোষনাপত্র ও গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করা হয়।
স্টুডেন্ট ফোর্স
পাকিস্তান গঠনের সাথে সাথেই কিছু অপরিণামদর্শি মুসলিম বুদ্ধিজীবী সাম্যবাদকে ইসলামেরই অংশ হিসেবে ভাবতে শুরু করেন। তারা ইসলামী কমিউনিজমের প্রচার করেন। এমন একটি ভ্রান্ত মুসলিমরা মিলে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন তৈরি করেন। এদের কাজ ছিল কম্যুনিস্টরা যা করে তারাও তাই করবে শুধু আল্লাহর নাম নিয়ে করবে। গান-বাজনা, থিয়েটার, পথনাটক, সভা, পাঠচক্র ইত্যাদি ছিল তাদের কাজ। এক পর্যায়ে তারা ইসলামের সংস্কারে লেগে পড়েন। তারা বলতে চান ১৪০০ বছর আগের নিয়ম এখন আর কার্যকর নয়। কিছু কিছু সংস্কার করলেই ইসলাম হয়ে উঠবে যুগপোযোগী। এজন্য নারী-পুরুষে সমান অধিকার ও কর্ম, পর্দার শিথিলতা, ইসলামকে ব্যক্তিপর্যায়ে সীমিত করা ইত্যাদি প্রজেক্ট তারা হাতে নেয়।
এই কাজগুলো বাস্তবায়ন করতে সেই অতিবুদ্ধিসম্পন্ন লোকেরা গঠন করে তমদ্দুনে মজলিশ। ইসলামী সাম্যবাদ আদর্শাশ্রয়ী একটি সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাশেমের উদ্যোগে ১৯৪৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর এটি প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এর নামকরণ হয় পাকিস্তান তমদ্দুন মজলিশ। তমদ্দুন মজলিশ প্রতিষ্ঠায় অধ্যাপক আবুল কাশেমের অগ্রণী সহযোগীদের মধ্যে ছিলেন দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ, অধ্যাপক এ.এস.এম নূরুল হক ভূঁইয়া, শাহেদ আলী, আবদুল গফুর, বদরুদ্দীন উমর, হাসান ইকবাল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় সিনিয়র ছাত্র। [৬]
প্রফেসর আবুল কাশেম ছিলেন পাকিস্তান তমদ্দুন মজলিশের প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক। দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ ১৯৪৯ সালে মজলিশের সভাপতি নির্বাচিত হন। তমদ্দুনের লোকেরাই পরে খেলাফতে রব্বানী নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন। এই দলের ছাত্র সংগঠনের নামম স্টুডেন্ট ফোর্স। ১৯৫৪ সালে স্টুডেন্ট ফোর্স গঠিত হয়।
তথ্যসূত্র:
১. জামায়াতে ইসলামীর কার্যবিবরণী - ১ম খন্ড / আবদুল মান্নান তালিব / বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী / পৃষ্ঠা ৮-১২
২. A BRIEF HISTORY OF ISLAMI JAMIAT-E-TALABA PAKISTAN / https://jamiat.org.pk/our-history/
৩. বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী / মুনিবুর রহমান / একাত্তর প্রকাশনী / পৃষ্ঠা ৭০
৪. ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা / প্রথম আলো / ১৬ মার্চ ২০২০
৫. ছাত্র ইউনিয়ন কি এবং কেন? / বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন / পৃষ্ঠা ১
৬. একটি পুস্তিকার প্রকাশ ও ভাষা আন্দোলনে আবুল কাসেম / মোস্তফা কামাল / বণিক বার্তা / ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন